বেগ কাকে বলে , কত প্রকার ও কি কি ?

বেগ কাকে বলে : বিজ্ঞানের সবচেয়ে রহস্যময় আর মজার বিষয় হলো পদার্থবিজ্ঞান। আর পদার্থবিজ্ঞানের সূচনা হয় গতিবিদ্যা থেকে। আমাদের আজকের পর্বে আমরা গতিবিদ্যার অন্তর্ভুক্ত বেগ নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব। আমরা মূলত যে যে বিষয় নিয়ে আজ কথা বলবো, তা হলো-

গতিবেগ বা বেগ কাকে বলে?

দ্রুতি ও বেগের মধ্যে পার্থক্য

এবং বিভিন্ন প্রকার বেগ

 

প্রথমেই জেনে আসি-

বেগ বা গতিবেগ কাকে বলে ?

সময়ের সাথে বস্তুর সরণের হারকেই বেগবলে। এখন কথা হলো, সরণ বলতে আসলে আমরা কী বুঝি? সরণ হলো নির্দিষ্ট দিকে কোন বস্তুর অতিক্রান্ত দূরত্ব। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন, কোন বস্তুরবেগ পরিমাপ করতে হলে সেটিকে অবশ্যইয় একটি নির্দিষ্ট বা সোজা পথে চলতে হবে।

আরো দেখতে পারেনঃ পদার্থ কাকে বলে

এবার আরেকটু সোজা করে বললে, একক সময়ে কোন বস্তু নির্দিষ্ট দিকে যে পরিমাণ দুরত্ব অতিক্রম করে তাকেইবেগ বলে। যেহেতু নির্দিষ্ট দিকে, তাই বেগএকটি ভেক্টর রাশি।

উদাহরণ হিসেবে, ৫ সেকেণ্ডে যদি কোন বস্তু ২০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে, তবে তার বেগহবে  ২০÷৫=৪ মিটার/সেকেণ্ড।

Read More  স্বার্থপর স্ট্যাটাস

বেগ এর এককঃ

বিভিন্ন পদ্ধতিতে বেগের একক বিভিন্নরকম। যেমন, cgs পদ্ধতিতে বেগের একক সেন্টিমিটার/সেকেণ্ড। আবার আন্তর্জাতিক SI নিয়মে এর একক মিটার/সেকেণ্ড।

বেগ এর মাত্রাঃ

যেহেতু সরণের মাত্রা [L] এবং সময়ের মাত্রা [T] , সুতরাং বেগের মাত্রা হলো [L]÷[T]= [LT-1]।

দ্রুতি ও বেগের মধ্যে পার্থক্যঃ

দ্রুতি হলো সময়ের সাথে দূরত্বের পরিবর্তনের হার। আর অন্যদিকে বেগহলো সময়ের সাথে সরনের পরিবর্তনের হার। অর্থাৎ, দ্রুতি= দূরত্ব÷ সময় এবং বেগ= সরন÷সময়। যেহেতু দ্রুতির কোন সুনির্দিষ্ট দিক নেই,তাই এটি একটি স্কেলার রাশি।কিন্তু বেগ ভেক্টর রাশি।

বিভিন্ন প্রকার বেগঃ

আসলে বেগকে মূলত দুই ভাগেই ভাগ করা হয়।

১।রৈখিকবেগঃ সরলপথে বা রৈখিক ভাবে কোন বস্তুর সরনের পরিবর্তনের হারকে বলে রৈখিকবেগ। এর একক মিটার/সেকেন্ড।

২। কৌণিকবেগঃ কোন বস্তুর কৌণিক সরনের হারকে কৌণিকবেগ বলে। এর একক রেডিয়ান/সেকেণ্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *