আপনি কি এক জন সফল ব্যবসায়ী হতে চান? আরেকজন সৃজনশীল উদ্যোক্তা হতে চান? তাহলে পোস্টটি শুধু আপনার জন্যই। কারণ এখানে একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়ার সকল ধাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
দেরি না করে চলুন কাজের কথায় আসা যাক। আপনি যদি শুরুতেই প্রথমে ব্যবসা শুরু করার জন্য লেগে যান তাহলে সেটা বোকামি হবে। ব্যবসা করবেন এটা ভাবা যেত যায় সহজ কিন্তু তার চূড়ান্ত পর্যায়ে সফলতা লাভ করা তত কঠিন।
একটি ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রচুর পরিমাণ সময়, ধৈর্য, প্রচেষ্টা এবং কঠোর পরিশ্রমই থাকতে হতে হবে। তা না হলে আপনি প্রথমে ব্যর্থতা অর্জন করবেন। ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনার কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে। এগুলো অভিজ্ঞতা অর্জন করেই তবে ব্যবসায় যাওয়া ভালো।
এখন ব্যবসার ধাপগুলো বিস্তারিত আস্তে আস্তে আপনাদেরকে বলা হবে-
পরিকল্পনাঃ
আপনি কোন ব্যবসা টা করতে আগ্রহী সে বিষয়ে প্রচুর পরিমাণ ধারণা থাকতে হবে। কোন ব্যবসা করলে সবচেয়ে লাভজনক এজন্য বাজার নিয়ে গবেষণা করতে হবে। আপনি যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তা নিয়ে বাজার করন কেমন সুবিধা অসুবিধা এ নিয়ে গবেষণা করে ধারণা অর্জন করতে হবে।
পণ্যটির উৎপাদন উৎস সম্পর্কেও ধারণা থাকতে হবে। আপনি যে কোম্পানি বা পণ্য জাতকরন করবেন এমন অন্যান্য ব্যবসায় থাকলে তাদের সাথে কথা বলুন। তাদের থেকে যতটা পারেন বুঝে নেন।
এ কাজ শুরু করতে হলে তারপর নিজেকে বারবার যাচাই করতে হবে। আপনি কেন এ কাজটি করতেছেন? আপনি কিভাবে এ কাজটি করবেন? আপনার শেষ লক্ষ্য কি? কিভাবে আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্থিক খরচ ব্যয় করবেন?
মূলধনঃ
আপনার পরিকল্পনাটি বাস্তবিকভাবে রূপান্তর কত ভাগ নিশ্চিত? আপনার সময় ,ধৈর্য, কাজে কতটা দিতে পারবেন? এগুলো নিয়ে বারবার ভেবে চিন্তেই এ সিদ্ধান্তে যাওয়া উচিত।
যদি আপনারা এগুলো সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে এবার আসা যাক আর্থিক মূলধনের দিকে। আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূলধন নির্ধারিত করতে হবে। তারপর সেই মূলধন অনুযায়ী একটি পরিকল্পনা রুটিন বানাতে হবে।
আপনারই মূলধন দিয়ে আপনি কি পরিমাণ পণ্য যোগান দিতে পারবেন এবং অন্যান্য খাতে ব্যয় করতে পারবেন। মূলধন আপনার নিজস্ব হতে পারে আবার আপনি চাইলে কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কাজ করতে পারেন।
নিবন্ধন বা লাইসেন্সঃ
কিছু কিছু ব্যবসা বা কোম্পানি দিতে হলে অবশ্যই একটি লাইসেন্স দরকার হয়। বাংলাদেশ সরকারের থেকেও অনুমোদিত। তাই এরকম ভালোবাসোই লাইসেন্স ঠিক করে নেবেন। যাতে কোন প্রকার আইনি ঝামেলায় না পড়তে হয়।
আইনি ঝামেলায় বা অন্যান্য ঝামেলায় পড়ে গেলে ব্যবসার দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অর্থাৎ এর উপর একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আপনার ক্রেতাদের কাছে একটি নেতিবাচক ধারণা ফেলবে। কোন কাজ ছোট মনে করে পরের সময়ের জন্য রেখে দিবেন না।
বিজ্ঞাপন – প্রচার প্রসারণঃ
আপনি অনেক অর্থ অনেক কিছু নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন এ নিয়ে প্রথমে লাভজনক হবে এ ধারণাটি ভুল। আপনাকে কে নিয়ে প্রচার করতে হবে প্রথমে। আপনি একটি ব্যবসা শুরু করেছেন তা মানুষ সাথে সাথেই জানবে না। তা জানাতে হবে।
তারা মানুষদেরকে অর্থাৎ আপনার টার্গেটকৃত ক্রেতাদের নিকট আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানাতেই বিজ্ঞাপন করা হয়। এতে ক্রেতাদেরকে আপনার ব্যবসার দিকে টেনে আনতে সাহায্য করে।
আর একজন সফল ব্যবসায়ী হতে আপনার কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এর মানে হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। হতে হবে সত্যবাদী, স্পষ্টভাষী , ভালো ব্যবহার, নেতৃত্বদানের গুণাবলী। আর প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য থাকতে হবে। বিপদ জনক অবস্থায় নিজের মনোবল হারানো যাবে না।
আপনি ব্যক্তিগত ভাবে সুন্দর হলে আপনার ব্যবসার দিক গুলো আস্তে আস্তে সুন্দর ও জনপ্রিয়তা লাভ করবে।