বিদ্যা অমূল্য ধন ভাবসম্প্রসারণ

বিদ্যা অমূল্য ধন ভাবসম্প্রসারণ

সম্প্রসারিত ভাব : যার মধ্যে প্রাণ আছে তাকে আমরা বলি প্রাণী। যার মধ্যে মনুষ্যত্ব আছে তাকে বলি মানুষ। আর যার মধ্যে বিদ্যা আছে তাকে বলা হয় বিদ্যান। এ বিদ্যা অর্জনের নির্দিষ্ট কোনাে সীমা পরিসীমা নেই। বিভিন্ন মনিষীর মতে একটি মানুষকে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিদ্যা অর্জন করা উচিত। প্রকৃত পক্ষে নিজেকে একজন ব্যাক্তিত্বপূর্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বিদ্যা অর্জনের কোন বিকল্প নেই। বিদ্যা ও জ্ঞানের ক্ষেত্র অনেক বিশাল ও সীমাহীন।

একজন মানুষ প্রচুর ধন সম্পত্তির মালিক হতে পারে কিন্তু সে যদি মূর্খ হয় তাহলে সমাজের তার কোন ভূমিকাই থাকে না। আমরা চক্ষু দিয়ে সকল কিছু দেখতে পাই, কিন্তু আমাদের এই চোখের বাইরেও আরেকটি চোখ আছে , সেটি হচ্ছে – জ্ঞান চক্ষু। যার বিকাশ ঘটে বিদ্যা আর্জনের মাধ্যমে। মানুষের জন্ম প্রতিটি প্রানির ন্যায় নয়। একজন মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়ে তার উচিত বিদ্যা অর্জন করা এবং তার অর্জিত বিদ্যার দ্বারা সমাজ এবং পৃথিবীর কল্যানের জন্য কাজ করা। মানুষের ধন সম্পত্তি কোন কারনে সে হারাতে পারে কিন্তু তার অর্জিত বিদ্যা কখনো হারাবে না। তাই জায়গা-জমি টাকা পয়সা কে সম্পদ না ভেবে একজন ব্যাক্তির বিদ্যাকে তার সম্পদ ভাবা উচিত।

Read More  বাংলা প্রবাদ বাক্য

নির্দিষ্ট পরিসরের শিক্ষা লাভের মাধ্যামে বিদ্যা অর্জন করা যায় না। এবং জ্ঞান, পাণ্ডিত্য, মেধা ও প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে হলে পৃথিবী বা বিশ্ব নামক উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যা অর্জন করে বিদ্যান হয়ে উঠতে হবে। শুধু পাঠ্য পুস্তকের জ্ঞান লাভ করেই নিজেকে বিদ্যান দাবি করা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। যে সুশিক্ষা যে লাভ করেছে সে সুশিক্ষিত অন্যদিকে সে স্বশিক্ষিতও বটে।

শুধু মাত্র বিদ্যা অর্জন করেই কখনো বিদ্যান হওয়া যায়না। অর্জিত বিদ্যাকে আমাদের সকলের উচিত মানুষ,সমাজ তথা বিশ্বের কল্যানের জন্য প্রয়োগ করা। তাহলেই আমাদের বিদ্যা অর্জন পূর্নতা পাবে।

এর থেকে আমরা বুঝতে পারি একটি মানুষের জীবনে বিদ্যা অর্জন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এবং বিদ্যা মানুষের জীবনের অমূল্য সম্পদ। তাই প্রতিটি মানুষে বিদ্যা নামক অমূল্য সম্পদ অর্জনের কোন বিকল্প নেই।পরিশেষে আমরা বলতে পারি বিদ্যা অমূল্য ধন।

মন্তব্য : একটি মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে অবশ্যই বিদ্যা অর্জন করা উচিত। একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে সম্পদশালী ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে বিদ্যাকে অবলম্বন করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *