ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ সহজে খুজে পাওয়া যাবেনা। ফুলের সুগন্ধ আমাদের মনকে মাতিয়ে দেয় ।ফুলের মন মাতানো গন্ধ আর দৃষ্টিনন্দন আমাদের প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। আমাদের দেশের একেক ঋতুতে একেক ধরনের ফুল ফোটে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফুলের সমাহার ঘটে থাকে। ফুল তার নিজস্ব রঙ গন্ধ আর আকৃতির কারণে সকলের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। ফুল হলো উদ্ভিদের এমন একটি অংশ যা সকলকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমরা অনেকেই আমাদের পছন্দমত ফুল গাছ লাগিয়ে থাকিএর সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য। নিম্নে বাংলাদেশের কিছু অপরূপ ফুল সম্পর্কে তুলে ধরা হলো।
গোলাপ :
গোলাপ ফুল আমরা সবাই খুব পছন্দ করি। কারণ এর গন্ধ আমাদের সকলকে মোহিত করে ।তাই গোলাপ সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। গোলাপের বৈজ্ঞানিক নাম রোজ এস পি পি ।গোলাপ একটি রঙিন ফুল এর বিভিন্ন রং রয়েছে যেমন সাদা ,গোলাপি, হলুদ, কমলা, কালো ইত্যাদি। বিভিন্ন রঙের গোলাপের প্রতীক আলাদা আলাদা অর্থ প্রকাশ করে। যেমন সাদা গোলাপ পবিত্রতার প্রতীক, লাল গোলাপ ভালোবাসার প্রকাশ ,হলুদ রঙের গোলাপ বন্ধুত্ব এবং যত্নশীল হওয়ার প্রতীক প্রকাশ করে ।আবার গোলাপ যে শুধু প্রতীক হিসেবে কাজ করে তা নয় এর ব্যবহার রয়েছে অনেক জায়গায় যেমন সুগন্ধি, গোলাপ জল, ঔষধ, খাবার এবং পানীয় ইত্যাদি। রোজ হিপ ভিটামিন সি এর গৌণ উৎস এই কারণে গোলাপকে ফুলের রানী বলা হয়।
শাপলা :
শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। শাপলা হল হাইড্রোফাইট উদ্ভিদ ।আমাদের দেশে দুই প্রজাতির শাপলা রয়েছে। শাপলা ফুল জল যুক্ত এলাকায় বেড়ে ওঠে এটা সাধারণত গোলাপি এবং সাদা বর্ণের হয় ।শাপলা ফুল ফোটে পুরো জলাভূমিতে যেন সৌন্দর্যের এক আশ্চর্য ভূমি ।শাপলা ফুল জলজ উদ্ভিদের মধ্যে একটি সহজ স্বীকৃত ।বর্তমানে এই ফুলটি ব্যবসার জন্য একটি উপায় এবং আয়ের উৎস হিসেবে খোলা হয়েছে
বেলি ফুল :
বেলি ফুল যা অনেক ছোট একটি ফুল। কিন্তু এর সুগন্ধ আমাদেরকে মোহিত করে এই ফুল আকারে ছোট হয় এবং সাদা রংয়ের হয় । ফুলটি সাধারণত রাতের বেলায় ফোটে এবং সকালে বন্ধ হয়ে যায়। বেলি ফুল গ্রীষ্ম ও বর্ষার ফুল তবে শীতে ছেটে দিতে হয় তবে ফুলটি খুব সুন্দর ভাবে ফুটে ।
সূর্যমুখী :
সূর্যমুখী আমাদের দেশে একটি সাধারণ ফুল। সূর্যমুখী ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম হেলিয়ান্থাস আনুযাস ।এই ফুলটি হলুদ, কমলা ,লাল ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। সূর্যমুখী ফুল একটি বার্ষিক উদ্ভিদ। সূর্যমুখীর ‘পুরো বীজ’ স্নাক্স খাবার ,সালাদ, পাখির খাবার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় ।আবার সূর্যমুখী তেল রান্নার জন্য ব্যবহৃত হয়।
কৃষ্ণচূড়া :
কৃষ্ণচূড়া ফুলটি পৃথিবী সব দেশেই পাওয়া যায় ।এর বৈজ্ঞানিক নাম দেলোনিক্স রেজিয়া এই গাছটি অনেক বড় না হলেও মাঝারি আকারের হয়ে থাকে যা ছড়িয়ে থাকে গম্বুজ আকারে ।এর পাতাগুলো ছোট আকারের হয়। কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ।এই ফুল একসঙ্গে অনেকগুলো ফুটে এই ফুলের রং লাল এবং কমলা হয় ।বর্তমানে এই ফুলের চাষ করা হয় যা বৈদেশিক মুদ্রার একটি নতুন উৎস হিসেবে যোগ হয়েছে
ফুল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ।আমাদের দেশে ছয় ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফুটে থাকে। ফুল আমাদের জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। আমাদের দেশে ঐতিহ্যবাহী কোন অনুষ্ঠান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে সেখানে আমাদের ফুল দরকার হয়। আবার আমাদের দেশের মেয়েরা মাথায় ফুল দিতে খুব পছন্দ করে। ফুল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে জড়িয়ে আছে সেটা রোমান্টিক স্বার্থের জন্য হোক বা কাউকে উৎসাহিত করার জন্য আমরা ফুলের উপর নির্ভর করি। আবার ইভেন্টগুলোতে ফুল ছাড়া আমাদের কোন অনুষ্ঠান বা ভালো মুহূর্ত যেন সম্পূর্ণ হয় না। তাই ফুল হচ্ছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে জড়িয়ে আছে। তাই এই ফুলের যত্নে আমরা সবাই সচেতন হব এবং ফুলের যত্ন নিব।