জাপানে উচ্চ শিক্ষা (ইংরেজি ভার্সন)

শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য একটি অন্যতম তীর্থস্থান হচ্ছে জাপান। উচ্চশিক্ষার জন্য অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এ দেশ। জাপানে রয়েছে বিশ্বমানের কিছু বিদ্যালয় এবং তাদের উন্নত গবেষণা ও শিক্ষা ব্যবস্থা তাদেরকে পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত করেছে। পৃথিবীর বহু স্থান থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী এখানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য আসে এবং বাংলাদেশ ও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জাপানে পড়াশোনা কিছুটা হলেও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এর প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশের তুলনায় জাপানে পড়াশোনার খরচ অনেক বেশি। এই কারণে জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ এর কোন বিকল্প নেই। আপনি যদি IELTS পরীক্ষার মাধ্যমে জাপানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে চান তাহলে আপনার জন্য ২০% থেকে ১০০% পর্যন্ত স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ থাকে। তাছাড়া ওখানে পড়ার আরো একটি সুবিধা হলো আপনি যদি চান তাহলে আপনি পড়াশোনার খরচ ওখানে যেয়ে প্রদান করতে পারেন, দেশে থেকে অগ্রিম প্রদান করার প্রয়োজন পরে না।

জাপানে শিক্ষা ব্যবস্থা:

জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ৫ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নের সুযোগ রয়েছে। এগুলো নিম্নে দেওয়া হলো:

১. গ্রাজুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়
২. আন্ডার গ্র্যাজুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়
৩. কলেজ অফ টেকনোলজি
৪. জাপানিজ স্টাডিজ
৫. প্রফেশনাল ট্রেনিং স্কুল

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কোর্সের মেয়াদ:

যদি আপনি আন্ডারগ্রাজুয়েট ক্ষেত্রে পড়াশোনা করতে চান তবে সে ক্ষেত্রে কোর্সের মেয়াদ হবে ৪ বৎসর। কিন্তু মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি ও ভেটেরেনারি সায়েন্সের ক্ষেত্রে এর মেয়াদ হয় ৬ বৎসর। আবার আপনি যদি পোস্ট গ্রাজুয়েট ক্ষেত্রে পড়াশোনা করতে চান সে ক্ষেত্রে কোর্সের মেয়াদ হবে ২ বছর। যদি আপনি ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করতে চান সেক্ষেত্রে কোর্সের মেয়াদ হবে ৩ বছর। তবে মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি ও ভেটেরেনারি সাইন্স এর ক্ষেত্রে এর মেয়াদ হবে ৪ বৎসর।

Read More >>  Bangladeshi Cuisine Paragraph

শিক্ষাবর্ষ:

জাপানে যে সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোতে সাধারণত শিক্ষাবর্ষ শুরু হয় এপ্রিল মাস থেকে এবং সেটি শেষ হয় মার্চ মাসে এসে। প্রতিটি শিক্ষাবর্ষ দুইটি সেমিস্টারে বিভক্ত হয়ে থাকে এবং সেটি হল এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত।
আপনি চাইলে জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য ব‍্যচে‌‌লার ডিগ্রী, মাস্টার্স ডিগ্রী ও ডক্টরেট গ্রহণ করতে পারেন। জাপানে সাধারণত এপ্রিল, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে সেমিস্টার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

শিক্ষাগত ন্যূনতম যোগ্যতা:

আপনি যদি জাপানে ইংরেজি ভার্সনে পড়াশোনার জন্য যেতে চান তবে আপনার জাপানিজ ভাষা শেখার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে আপনার যদি জাপানিজ ভাষা শেখা থাকে তবে দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্রে আপনি বাড়তি সুবিধা পাবেন। যদি কোন শিক্ষার্থী আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ে ভর্তি হতে চাই তবে তার অবশ্যই উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং তার জিপিএ ন্যূনতম ৩.৫ হতে হবে। এছাড়াও কোন শিক্ষার্থী যদি ব্যাচেলার ডিগ্রি সম্পন্ন করে থাকে তাহলে সে মাস্টার্সে ভর্তির জন্য জাপানে আবেদন করতে পারে। যেহেতু ইংরেজি ভার্সন তাই তাকে অবশ্যই IELTS সম্পন্ন করতে হবে এবং এক্ষেত্রে আপনার পয়েন্ট হতে হবে সর্বনিম্ন ৬।

Read More >>  A winter morning paragraph

জাপানে পড়াশোনা এবং জীবনযাপনের খরচ:

আপনি যদি মানের দিক থেকে বিবেচনা করতে চান তাহলে জাপানের পড়াশোনার মান যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি এসব দেশের তুলনায় কোনো অংশেই কম না। আর পড়াশোনার খরচ এসব দেশের তুলনায় অনেকাংশে কম হয়ে থাকে। তাছাড়াও আপনি সেখানে অন্যান্য দেশের তুলনায় শিক্ষাবৃত্তি এবং টিউশন ফি ছারেরও ব্যবস্থা থাকে।
জাপানে সাধারণত এলাকাভেদে জীবনযাপনের খরচও ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে যদি গড় বিবেচনা করা হয় তবে একজন শিক্ষাথীর মাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।

কেন জাপান এবং পড়াশোনার সুবিধা:

জাপান শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অন্যতম সেরা স্থান যেখানে পড়াশোনার মান খুবই উন্নত। এখানে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি যে কোন বিষয় নিয়ে গবেষণার সুযোগ পাবেন। তাছাড়া এখানে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম যে কোন কাজ ও করতে পারবেন। এসব পার্ট টাইম কাজের জন্য আপনার প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১০০০ ইয়েন পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আপনি চাইলে মাসে সেখানে প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। আপনার এই আয়ের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই সেখানে ভালো ভাবে থাকতে পারবেন। পড়াশোনা শেষে আপনি এখানে ফুল টাইম চাকরির সুবিধা পাবেন। তাছাড়া আপনি যদি এখানে বৈধভাবে ১০ বৎসর থাকেন তাহলে এখানে স্থানীয় হওয়ার সুযোগ পাবেন।

Read More >>  A Postman Paragraph

বৃত্তির সুবিধা:

জাপান আন্তর্জাতিক শিক্ষাথীদের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা দেয় সেটি হলো বিভিন্ন বৃত্তি ও টিউশন ছাড়ের সুবিধা। এই সুবিধার মাধ্যমে একজন শিক্ষাত্রী বিনা খরচে তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। শুধুমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান না বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো সাধারণত বৃত্তি দিয়ে থাকে শিক্ষাত্রীদেরকে। তাছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব বৃত্তির ব্যাবস্থাও সেখানে আছে।

উপসংহার:

জাপানে শিক্ষাত্রীদের জন্য একটি আদর্শ স্থান যেখানে শিক্ষাথীরা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের ক্যারিয়ারও আরো সমৃদ্ধ করতে পারবে।শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্য না এই দেশটিতে স্থায়ী হওয়া খুব সুযোগ এবং এখানে কাজের কোনো অভাব নেয়।তাই শুধুমাত্র পড়াশোনা নয় অন্যান্য ক্ষেত্রেও এই সবার এই স্থানটিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত। আপনারা চাইলে আমাদের এখান থেকে খুব সহজেই কিছু কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে জাপানে পড়াশোনা করতে পারেন এবং আমরা আপনাকে জাপানে খুব কম খরচে সব থেকে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ করে দেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *