ল্যাপটপ ভাইরাসমুক্ত রাখার উপায় : বর্তমান এই প্রযুক্তির যুগে ল্যাপটপ হচ্ছে আমাদের কাছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিভাইস। কারণ বর্তমান সময়ে অফিস-আদালত কিংবা অন্যান্য সকল কাজেই অনলাইনের মাধ্যমে করা সম্ভব। আরে সকল কাজ করার জন্য ল্যাপটপ দরকার। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ভাইরাসের আক্রমন।
ল্যাপটপ ভাইরাসমুক্ত রাখার উপায়
আমরা যখন ল্যাপটপ এর সাহায্যে ইন্টারনেট ব্রাউজ এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ফাইল আদান প্রদান করে থাকে তখন আমাদের ল্যাপটপের বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের বা ম্যালওয়্যারের আক্রমণ হতে পারে। যার কারণে লাপটপটির সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ক্ষতিগ্রস্ত হবার সাথে সাথে আমাদের বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্র বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং আসুন জেনে নেই ল্যাপটপ ভাইরাসমুক্ত রাখার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়:
উন্নত মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা: ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কে ভাইরাসের আক্রমণ হতে রক্ষা করতে বাজারে বিভিন্ন ধরনের এন্টিভাইরাস পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহারের ফলে আপনার ল্যাপটপটি থাকবে ভাইরাস বা ম্যালওয়ার হতে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির এন্টিভাইরাস পাওয়া যায় এর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় এন্টিভাইরাস হচ্ছে- Kaspersky antivirus, Avast antivirus ইত্যাদি।
ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন: প্রধানত আমাদের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ভাইরাস প্রবেশ করে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সময় আমরা যখন বিভিন্ন ধরনের ফাইল ডাউনলোড করি সেখানে থেকে। এছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে লেপটপে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই ল্যাপটপকে ভাইরাসমুক্ত রাখতে হলে আমাদের অবশ্যই ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এবং যেকোনো ধরনের ফাইল আদান প্রদানের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।
ইন্টারনেট থেকে নাম না জানা বা অচেনা এন্টিভাইরাস ইনস্টল না করা: অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় ইন্টারনেটে অনেক নাম না জানা এবং অচেনা এন্টিভাইরাস পাওয়া যায়। যেগুলো উচ্চমানের সিকিউরিটির নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এগুলো আসলে কোন এন্টিভাইরাস নয় বরং এটি হচ্ছে আসলে ভাইরাস। আর আপনি যদি ভুল করে এ ধরনের এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে ফেলেন তাহলে আপনার ল্যাপটপটি ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হবে।
অধিকতর সুরক্ষার জন্য একাধিক এন্টিভাইরাস ইন্সটল না করা: অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় ভাইরাসের থেকে সুরক্ষার জন্য অনেকে একাধিক এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে সুফলের চাইতে কুফলের পরিমাণে বেশি দেখা যায়। কারণ একাধিক এন্টিভাইরাস ব্যবহারের ফলে ল্যাপটপ স্লে হয়ে যেতে পারে এবং ভাইরাস শনাক্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অপ্রয়োজনীয় এবং অযথা সফটওয়্যার ইন্সটল হতে বিরত থাকুন: আমরা অনেকেই অপ্রয়োজনীয়’ অনেক সফটওয়্যার ইন্সটল করে রাখি কম্পিউটারে। যেগুলো একদিকে ল্যাপটপের পারফরমেন্স কমিয়ে দেয় তেমনি সকল সফটওয়্যার ইন্সটলের সাথে সাথে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে ল্যাপটপে।
এন্টিভাইরাস নিয়মিত আপডেট করা: অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় এন্টিভাইরাস ব্যবহার করলেও সেটি তারা নিয়মিত আপডেট করে না। বাড়তি ঝামেলার কারন মনে করে তারা করেনা এ কারণে এন্টিভাইরাস গুলো ঠিক মতো কাজ করে না এবং ভাইরাস শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়।
সর্বোপরি আমাদের সকল ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ আমাদের একটু ভুলের জন্য আমাদের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হতে পারে এবং এর ফলে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার জনিত ক্ষতির পাশাপাশি আমাদের বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বেহাত হয়ে যাওয়ার মতো বিপদের মধ্যে পড়তে পারে।