২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য

২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য : ২৬ মার্চ বাঙালী জাতির মুক্তির দিন এটি। দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়। এটি একটি জাতীয় দিবস। দিনটি প্রতিটি বাঙ্গালীর জন্যই আনন্দ এবং উৎসবের দিন। ২৫ মার্চ মধ্য রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র ও নিরীহ এই দেশ এর বাঙ্গালীর উপর বর্বরোচিত হামলাম মেতে ওঠে। ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য

এই রাতে বহু সংখ্যক মানুষকে তারা নৃশংস ভাবে হত্যা করে। বহু বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে এবং ধরে নিয়ে যায়। এর মধ্যে অনেকের লাশ পাওয়া যায় আবার অনেককে আর খুজেই পাওয়া যায় না। পরদিন ২৬ মার্চ তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এবং মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন। তার এই ডাকে সাড়া দিয়েছিল এদেশের সর্বস্তরের জনগণ।

হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল ধর্ম এবং ধনী গরিব ও সকল পেশার মানুষ তার এই ডাকে মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। এবং ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে রুখে দারিয়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা। এ কারনেই একদিন দিনটি যেমন আমাদের বাঙালি জাতির কাছে আনন্দের এবং গর্বের তেমনি দিনটি বেদনার। কারন এই যুদ্ধে বহু মা হারিয়েছেন তার সন্তান। অনেকে হারিয়েছে তাদের পরিবার পরিজন। কেউ হয়েছে পিতৃ মাতৃ হারা।

Read More  Make deposit in just one way

২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য

দিনটি স্বাধীনতা দিবস হওয়ার কারনে ২৬ মার্চ সারা দিন বিভিন্ন উৎসব এবং উদ্দিপনার মধ্যে কাটে। সারাদেশে বিভিন্ন যায়গায় বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এবং বিভিন্ন ধরনের দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়। এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে থাকে এসকল কর্মকাণ্ড।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করা ও পাকিস্তানি শত্রুদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার লক্ষ্যে তিনি তার জিবন বাজি রেখে সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছেন। মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার মূল কারন ছিল এদেশের সর্বস্তরের মানুষদের পাকিস্তানিদের শাসন এবং শোষণ হতে রক্ষা করা। ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগের পরে ভারতবর্ষ দ্বিখণ্ডিত হয়ে সুচনা হয়েছি নতুন একটি রাষ্ট্র যার নাম দেওয়া হয় পাকিস্তান।

আবার এই পাকিস্তান ছিল দুইটি আলাদা আলাদা ভূখণ্ডে অবস্থিত। যা পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান নামে পরিচিত। পূর্ব পাকিস্তান সংখ্যা গরিষ্ঠ হওয়ার পরেও তারা তাদের সকল প্রকার নাগরিক সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছিল। এবং পূর্ব পাকিস্তানের অর্থ দিয়ে উন্নয়ন হচ্ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। কিন্তু তারপরে তাদের হাতে ক্ষমতা তুলে না দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চেয়েছিল।

Read More  Romantic love proposal

এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবর্তে তারা তাদের শোষনের মাত্র আরো বাড়িয়ে দেয়। আর এ কারনেই মুলত স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক কালজয়ী ভাষনের গুরুত্ব অপরিসীম। কারন তিনি তার এই একটি মাত্র ভাষনের মাধ্যমেই সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঔক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এবং যুদ্ধের ডাকও তিনি এই ভাষনের মাধ্যমেই দিয়ে দিয়েছিলেন।

সর্বোপরি ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের মাধ্যমে আমরা যেমন আমাদের স্বাধীনতাকে উদযাপন করি ঠিক তেমনি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে থাকি এর সাথে সাথে আমাদের সকলের উচিত এই দিনটি অঙ্গীকার বদ্ধ হওয়ার যাতে করে আমরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এবং স্বাধীনতা দিবসের মর্যদাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারি এবং সমুন্নত রাখতে পারি। এছাড়াও আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা দিবস এবং সংগ্রামের সঠিক তথ্য গৌরবগাঁথা পৌছে দিতে সচেষ্ট থাকতে হবে। এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছে তারা আজও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই স্বাধীনতার গৌরবে কালিমা লেপন করতে। তাই তারা যেন কোন ভাবেই সফল হতে না পারে সে বিষয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিক হওয়ার সুবাদে আমাদের সকলে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।

About the Author:

Habibur Rahman is an expert writer about Bangla poems, romantic stories, captions, status and quotes. He is writing about all romantic and motivational quotes, poems, captions, and status messages from the past 12 years. He has completed honors and master's degrees in literature from Dhaka University.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *