মেয়েদের কষ্টের স্ট্যাটাস উক্তি মেসেজ ও এসএমএস নিয়ে আমাদের আজকের পোস্ট । ছেলেদের যেমন কষ্টের কিছু কথা থাকে, ঠিক তেমনি মেয়েদেরও মনের মাঝে অনেক কষ্টের কিছু কথা থাকে । কিন্তু ছেলেরা তাদের কষ্টের কথা গুলো খুব সহজে শেয়ার করতে পারলেও, মেয়েরা কিন্তু তা পারে না । আমরা এর আগে ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস দিয়েছি আমাদের এই সাইটে, তাই আজ মেয়েদের কষ্টের স্ট্যাটাস ও মেসেজও দেয়া হলো এখানে । চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক স্ট্যাটাস গুলো ।
মেয়েদের কষ্টের স্ট্যাটাস :
১. মেয়েরা সবসময় বিসর্জন দিতেই বেশি পছন্দ করে। কাউকে ভালোবেসে সবকিছু উজাড় করে দিতে তারা পিছুপা হয় না। কখনো বাধ্য হয়ে অথবা পরিস্থিতির শিকার হয়ে একজন মেয়ে নিজের দুঃখটা মেনে নেয়। মেয়েদের দুঃখ যেনো নদীর মতো বহমান।
২. প্রায়ই মানুষ মেয়েদের চোখের পানিকে সস্তা ভাবে। অথচ কেউ বুঝতে চায় না যে একজন মেয়ের হৃদয় নিংড়ানো কষ্ট ছুঁয়ে ছুঁয়ে চোখে অশ্রু ঝরে।
৩. মেয়েদের কষ্ট টা আসলে সীমাহীন আকাশের মত। এই বুঝি মনে হলো শেষ, অথচ সেখান থেকেই আবার শুরু হয়। সহ্য সীমা অতিক্রম করে কোনো মেয়ে ই আর নমনীয় থাকে না।
৪. মেয়েদের জীবনের সবচেয়ে বড় একটা কষ্ট হলো তার প্রেমিককে কাছে না পাওয়া, নিজের করে না পাওয়া। একজন মেয়ে যাকে দিয়ে এত স্বপ্ন সাজিয়ে ছিল অথচ শেষ পর্যন্ত তাকে আর পাওয়া হয় না।
৫. জীবনের একটা সময় গিয়ে প্রচন্ড রকমের একা হয়ে পড়া মেয়েটা জানে, তার জীবনে দুঃখের আর কোন অন্ত নেই। আঁকড়ে ধরার মতো কেউ থাকেনা।
৬. পেশি শক্তিতে মেয়েরা পিছিয়ে থাকলেও ধৈর্য এবং সহ্যশক্তিতে মেয়েদের তুলনা হয় না। কতশত না বলা ব্যথা বয়ে বেরিয়ে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সে টিকে থাকতে পারে। মেয়েদের কষ্টটা যেনো সারা জীবন অবর্ণনীয় থেকে যায়।
৭. সারাদিন প্রচন্ড ব্যস্ততায় অন্যের খেয়াল রাখা মেয়েটাও দিন শেষে নীরব কষ্ট নিয়ে কাঁদে। না সে কিছু বলতে পারে, না পারে সইতে। চোখের জলে ভিজে আসা দৃষ্টি ও যেনো থেমে যায় গভীর ঘুমে।
৮. জীবনে কোন মেয়েকে কষ্ট দেওয়ার আগে অন্তত একবার ভেবে নিও। কে জানে হয়তো তুমি এমন কোন এক হৃদয়কে আঘাত করবে, যে হৃদয় অত্যন্ত গোলাপধারি কমল।
৯. একটা মেয়ের কাছে তার পরিবার এবং কাছের মানুষ ঘিরে তার পৃথিবী। এদের মধ্যে কেউ একজনও যদি তাকে কষ্ট দেয়। তাহলে মেয়েটার স্বপ্নের পৃথিবীটা ভেঙ্গেচুরে খানখান হয়ে যায়। যেনো ঠুনকো কাচের মতো সহস্র টুকরোতে স্বপ্নগুলোর মৃত্যু হয়।
১০. যেকোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মেয়েরা বরাবরই এগিয়ে। একজন মেয়ে তার সর্বোচ্চটা দিয়ে তার সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। প্রচন্ড কষ্ট সহ্য করে হলেও একজন মেয়ে হৃদয় থেকেই একটা সম্পর্কের ভিত গড়ে দিতে চায়।
মেয়েদের কষ্টের এসএমএস :
১১. হাসিখুশি প্রাণোচ্ছল কিশোরী মেয়েটাও একসময় প্রচন্ড কষ্ট সহ্য করতে শিখা যায়। সংসারের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে ছোট্ট মেয়েটার স্বপ্ন মরে যায়। মেয়েটা একসময় ভুলে যায় যে তারও একটা সুন্দর অতীত ছিল।
১২. অন্য কাউকে খুশি করতে করতে একটা মেয়ের জীবন পার হয়ে যায়। কখনো বাবা-মা কখনো স্বামী এবং তার পরে নিজের সন্তানের জন্য হলেও একজন মেয়ে তার দুঃখ ব্যাথা কে সয়ে নেয়।
১৩. একটা মেয়েকে তুমি যতটাই শান্ত মনে করো না কেন। তার দুঃখ কষ্টের একটা সীমারেখা থাকে। তোমার আঘাতে যদি সেই সীমা লঙ্ঘন হয়, তাহলে তুমি ধরে নাও তোমার ধ্বংস অনিবার্য।
১৪. এই পৃথিবীতে হাজারো মেয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে পরিবারের বোঝা টেনে চলছে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে বারবার। কতটা কষ্ট সয়ে একজন মেয়ে নিজের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারে। তা শুধু একজন পরিবারের মা ই বলতে পারে।
১৬. কখনো নাবালিকা কখনো ষোড়শী কখনো অষ্টাদশী অথবা যুবতী। যখন যেভাবে প্রয়োজন ঠিক সেভাবেই একজন মেয়েকে আমরা আমাদের সামনে পেয়েছি। অথচ নিজ অস্তিত্ব হারিয়ে একজন মেয়ের কষ্ট মাখা ক্লান্ত চেহারাটা আমাদের কারো নজরে পড়ে না।
১৭. আজ সেই মেয়ে শিশু নিষ্পাপ গভীর ঘুমে নিদ্রা যাচ্ছে। আগামীতে এই মেয়েটাই হাজারো কষ্ট দুঃখ সয়ে নিজের সন্তানকে ঘুম পাড়ানী গান শোনাবে। একজন আদর্শ মায়ের দায়িত্ব পালন করবে।
১৮. শিশুকাল থেকে একজন মেয়ে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট লাঘব করা শিখে যায়। একসময় অনন্যা অসাধারণ হয়ে ওঠে। মাঝখান থেকে হারিয়ে যায় তার সুন্দর হাসিটা।
১৯. একজন মেয়ে অবহেলায় আর অনাদরে নিজের জীবনের কতগুলো বসন্ত পার করে নেয়। কত সুপ্ত ইচ্ছা ই আর কাউকে বলার সুযোগ হয় না। সবার মধ্যে শুধু সেই মেয়েগুলোই ভাগ্যবতী যাদের একজন বন্ধুরূপী স্বামী আছে।
২০. কত শত মেয়ে দায়িত্বের চাপে নিঃষ্পেশিত হচ্ছে। না সে পায় নিজের পায়ের তলায় মাটি, না সে পায় নিজের একটা ঠিকানা। জলে ভাসা পদ্মের মতোই একজন মেয়ে যেন অস্থায়ী এই পৃথিবীতে। একটা মেয়ে যেন সুখের অভাবী এবং দুঃখের সাথী না হয় এই কামনা থাকবে।