নিশি রাতের প্রেমের কবিতা পড়তে খুবই ভালো লাগে । তাইতো নিয়ে এলাম কিছু দারুণ দারুণ কবিতা । কবিতা গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগছে । তাই সবার সাথে শেয়ার করলাম । ভালো লাগলে শেয়ার করবেন । ধন্যবাদ ।
নিশি রাতের প্রেমের কবিতা :
প্রিয়ার প্রেম
কাওছার আহাম্মেদ অন্তর
চাঁদের আলোতে যত দেখি ঐ মুখ,
তবু না ইচ্ছে ফুরায়।
তোমার বুকে মাথা রাখিয়া,
আমি তোমাতে হারাই।
ওহে মোর প্রিয়া বাতাসে ভাসিয়া
কেনো আসোনা মোর কাছে?
তুমি কি জানো না তোমার জন্য
এই অভাগা একটু হাসে?
দিনের পরে দিন চলে যায়,
দেখা নাহি মেলে তোমার।
অমাবস্যার চাঁদের দেখা পাওয়া
লজ্জায় হয়ে যায় অবতার।
আমি অভাগা কালো মেঘে ঢাকা
আকাশ দেখিয়া হয়েছি বড়।
তুমি কেন প্রিয়া মোরে কাপুরুষ
ভাবিয়া হাসিয়া টলিয়া পড়ো?
হতেই পারে আমি তোমার কাছে
নয় অবতার নয় ভাঁড়।
তবু সত্যি বলছি প্রিয়া, তোমার প্রেমেতে,
জীবন হয়েছে স্রোতধার।
বন্ধু তুমি
কাওছার আহাম্মেদ অন্তর
বন্ধু তুমি, শত্রু তুমি,
তুমি খেলার সাথী।
তোমায় নিয়ে দেখতে যাবো
চিড়িয়াখানার হাতি।
রাগ করেনা বন্ধু আমার,
দুষ্টামি টা করলাম।
মনে আছে কী? ছোট বেলাতে
কত একসাথে খেলতাম।
বড় হয়ে গেছো বন্ধু তুমি,
শরীরে তোমার যৌবন।
ছোট্ট বেলার বন্ধু আমার,
হবে কী আমার আপন?
মনে আছে তোমার?
খেলতাম একসাথে,
পুতুল বিয়ের খেলা।
সেই খেলা কি করবে আবার?
পুতুল হবো আমরা!
লজ্জা পেয়ে বন্ধু আমার,
মুখ লুকালো হাতে।
সম্মতি দিয়ে বলল, সুজন,
আছি তোমার সাথে।
খেলবো আবার পুতুল বিয়ে,
সাজব আমরা পুতুল।
চাঁদনী রাতে কাঁধে মাথা রেখে,
হবো ভালোবাসায় আকুল।
বাসবো তোমাকে ভালো, ওগো প্রিয়তমা,
বাসবো তোমাকে ভালো।
ছোট্ট বেলার বন্ধু আমার,
ভালোবেসে করবো জীবন আলো।
প্রেমিকার ফুল
কাওছার আহাম্মেদ অন্তর
চাঁদনী রাতে নদীর তীরে
ভাবছে দুঃখু মিয়া,
এই জগতে কার ভালোবাসায়
ভরবে রে তার হিয়া।
আশায় আশায় কাটছে না দিন,
ক্লান্ত সে জে ভিসন।
প্রেমের নেশায় ক্লান্ত দুঃখুর
চোখ আটকায় কীরণ।
এই কীরণ ভাই সেই কীরণ নয়,
নয় এ চাঁদের কীরণ।
ভিষন দশ্যি ছুনবুনে মেয়ে,
এ জে সেই কীরণ।
গ্রামের দশ্যি সুন্দরী মেয়ে
দুঃখুর দিকেই আসছে।
এতো রাতে এটা কীরণ?
নাকী ভুত প্রেত আসছে।
না না, এ ভুত নয়,
নয় এ কোনো প্রেত।
এ তো দেখছি দিব্যি কীরণ
মাড়িয়ে আসছে খেত।
হাতে ফুল আর ভালোবাসা নিয়ে কীরণ,
দুঃখু মিয়ার দিকে ছুঁড়লো।
যাক, অবশেষে দুঃখুর নসিবে
প্রেমিকার ফুল জুটলো।