এখানে ৩ টি প্রথম প্রেমের কবিতা দেয়া হলো । কবিতা গুলো লিখেছেন মেহজাবিন সাবিহা মিধা । যারা প্রেমের কবিতা পছন্দ করেন । তাদের জন্য এই পোস্ট এর লিচে অনেক গুলো প্রেমের কবিতা এর লিংক দেয়া আছে । আশা করি সময় পেলে সেগুলো একবার পড়ে দেখবেন । ধন্যবাদ ।
প্রথম প্রেমের কবিতা :
১. প্রথম প্রেম
দেখেছিলেম যেদিন তোমায় অঝোর আলোর পরশে,
থাকতে আর পারি নি সেদিন একলা চুপটি বসে।
কী সন্দর সেজেছিলে!- যেন মায়া ভরা সেই মুখ,
ওই বদন এই লুকিয়ে আছে আমার সকল সুখ।
চুপি চুপি পায়ে হাঁটছিলাম তোমার আঁচল ধরে,
কি-বা শঙ্কায় উঠলে মেতে, ফুল গুলো গেল পড়ে।
সেই ফুল তো লাগিয়ে ছিলেম তোমার কানের পিঠে,
সেই ফুল গুলো শুধু ই স্মৃতি, রুপ নিয়েছে হয়তো কীটে।
মিছে কথা আর বলি না আমি, সত্যি বলছি ভারি,
সেই মিথ্যার আঁচড়ে ই তো করেছিলে তুমি আড়ি।
সেই থেকে আর পাই নে খুঁজে তোমায় আমি কোথাও,
কেন আমায় ছেড়ে গেলে ওগো, হয়ে গেলে তুমি উধাও?
২. অদেখা সত্য ( প্রথম প্রেমের কবিতা ):
আমি তো জানতাম, তুমি আমার কখনো হবে না আর,
তবু ও এক অদৃশ্য টান কাছে ডাকতো বারংবার।
আমি ও যেতাম ছুট্টে চলে, সকল কার্য ফেলে,
তুমি ও দেখাতে অবহেলা, দিতে তাড়িয়ে হেসে-খেলে।
আমি তো জানতাম, তুমি যে হবে অন্য কারোর প্রিয়া,
সত্য জেনে ও তোমাকে ই কেন মন চাইতো?- বল হিয়া!
যেদিন তোমায় দেখেছিলেম অন্য কারোর সাথে,
তুমি ও ছিলে হাসি-খুশি, হাত রেখেছিলে তার হাতে।
সত্যি বলছি, সেদিনের পর কষ্ট হয়েছে অনেক,
সেই কষ্ট কে বুঝবে বলো?- তবু বুঝিয়েছি প্রতি জনেক।
তোমার পাশের কলঙ্কিত “আমি” টা না হয় মুছে যাক,
তোমায় প্রণয় অন্যের সাথে- অদেখা সত্য হয়ে ই থাক!
৩. বিয়ের কার্ড
সেদিন আমার কাছে এলো এক সোনা রঙা লাল কার্ড,
তারিখ টা ছিল ভয়াবহ, আগস্ট মাসের থার্ড!
বর ছিল বুঝি “জুয়েল রানা”, কনে রূপে ছিলে তুমি,
জুয়েলের সাথে কবে ভাব জমালে?- বলো তো দেখি শুনি!
বিয়ের কার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, হতবাক হয়ে প্রায়,
কবে আমাকে ছেড়ে জুয়েল কে বর বানালে তোমার হায়!
বেলা গড়ায়, দিন পেরোয়, বিয়ের তারিখ ঘনিয়ে আসে,
আমার হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত, কেউ ছিল না তখন পাশে।
মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ে বিয়ের কার্ড টা দেখি,
কী সুন্দর নিষ্পাপ ছিলে, আজ করলে তুমি একি!
তোমার সাথের মধুর স্মৃতি বিষের মতন ঠেকে,
আমার কলিজায় রয়েছিলে তুমি, প্রতি টা বাঁকে বাঁকে।
আজ সবকিছু দুর্বিষহ, জীবন থমকে গেছে,
তোমার বিয়ে তে অ্যাট্যান্ড করা ছাড়া, আর কী-বা করার আছে?
অবশেষে এলো সেই দিনটি, আগস্ট মাসের থার্ড,
তোমাকে অন্যের বধূ হিসেবে দেখা ছিল খুব হার্ড।
কিন্তু কই! বিয়ে তে গেলাম, জুয়েল রানা- সে কই?
আমার দু’জন ই তোমাকে চেয়েছি, তাই পরিচিত ও হই।
আমাকে দেখে ই হেসে দিলে তুমি, কী মায়াময় সেই হাসি,
হাসি দেখলে ই মন টা চায়, আরো বেশি বেশি ভালোবাসি।
কিন্তু কী আর করার?- তুমি হবে এখন অন্য কারোর বউ,
তুমি তো জনাব জুয়েল রানার, আমার তো আর নও!
আমায় দাঁড়াতে বলে তুমি, কোথায় যে চলে গেলে?!
আমাকে আবার হেয় করলে, ছেড়ে গেলে মোরে ফেলে।
ফিরে আসলে- হাতে কী যেন এক গোল বাক্স নিয়ে,
অর্ডার করলে- আমায় নাকি সাজতে হবে এইটা দিয়ে।
আমি তো হায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছি তখন,
বক্সে ছিল- ধুতি, পাঞ্জাবি- খুলে দেখালে তুমি যখন।
আমার বললে- “বুদ্ধু তুমি, কিচ্ছু বোঝো না যে!
আমার বর তো তুমি ই ওগো, জুয়েল রানা ফের কে?”
আমি তো তখন বোকা বনে গেছি, কিচ্ছু বঝি না আর,
তুমি বললে, “প্র্যাঙ্ক ছিল এটা, করো না মুখ আর ভার।”
আমি বললাম, “এসব তবে কী সাজানো নাটক ছিল?”
তুমি বললে, “হ্যাঁ, গো মশাই, সাজানো নাটক ই ছিল।”
হাফ ছেড়ে বেঁচে আমি বললুম- “এসব করো না কভু আর।”
তুমি মিষ্টি স্বরে বললে, “না না, আরো করবো বার বার।”
তুমি ই আমার প্রথম প্রেম, তুমি ই আমার শেষ,
তোমার সাথে ই প্র্যাঙ্ক করবো, ভালো ই আছি বেশ।