সমাজ কাকে বলে : আমরা বড় হয়ে কি করব না করব, আমাদের আচার-আচরণ কেমন হবে ? ভালো হবে না মন্দ হবে, তার কিন্তু অনেকটাই নির্ধারিত আমরা কোন সমাজে বড় হচ্ছি এর দ্বারা । কিন্তু কথা হলো, আমরা এই সমাজ সম্বন্ধে কতটুকুই বা জানি ? সমাজ নিয়ে কিছু বিখ্যাত উক্তি ।
তবে চলুন, আমাদের আজকের আলোচনায় জেনে আসা যাক সমাজ নিয়ে কিছু জানা অজানা কথা।
প্রথমেই জেনে নিই-
সমাজ কাকে বলে :
সহজ কথায় বলতে গেলে সমাজ হলো এমন এক ধরনের ব্যবস্থা যেখানে কিছু নিয়ম কানুন এর উপর ভিত্তি করে একটি বসবাস উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। আর এই পরিবেশ কেমন হবে তা নির্ভর করে পরিবেশে বসবাসকারী প্রানীগুলোর উপরই। এখানে আমি প্রাণী শব্দটি ব্যবহার করলাম এই কারণে যে, মানুষ ছাড়াও আরো অনেক ইতর প্রাণীর ক্ষেত্রেও খুব সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা দেখা যায়। তবে মানবসমাজ অনেকটা সুগঠিত এবং নিয়মভিত্তিক।
সমাজ এর উপাদানঃ
সমাজের সবচেয়ে মৌলিক এবং প্রাধান উপাদান হলো সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেকটি মানুষ। এরপর যে এককটির কথা না বললেই নয় তা হলো পরিবার। কতগুলো পরিবার নিয়েই গঠিত হয় সমাজ। এছাড়া মানুষের প্রয়োজনে সমাজে তৈরি হয়েছে স্কুল-কলেজ,মসজিদ-মাদ্রাসা এবং আরো অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান; যার সবগুলোই সমাজের একেকটি উপাদান।
নিয়মকানুনঃ
প্রতিটি সমাজ কিছু লিখিত কিংবা অলিখিত নিয়ম কানুন এর উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। আর এই নিয়ম কানুন সমাজে বসবাসকারী মানুষের দ্বারাই ঠিক করা হয়। তবে মাথায় রাখতে হবে, এই নিয়ম দ্বারা যেন সমাজের কোন উপাদানের ক্ষতি না হয়।
সমাজের পরিসরঃ
একটি সমাজের পরিসর বিভিন্ন রকম হতে পারে। আগেই বলেছি সমাজ হলো এক ধরনের ব্যবস্থা। সুতরাং পরিবেশ বিদ্যমান বিভিন্ন ব্যবস্থায় বিভিন্ন রকমসমাজ সৃষ্টি হতে পারে। যেমনঃ খেলাধুলারসমাজ,সংস্কৃতিকসমাজ, স্কুলসমাজ ইত্যাদি । আর এসব সমাজের পরিসর এবং নিয়মকানুনও হবে আলাদা আলাদা। এছাড়াও তিন ধাপে আমরা সমাজকে চিন্তা করতে পারি। যেমনঃ পারিবারিকসমাজ, দেশীয়সমাজ ও আন্তর্জাতিক-সমাজ।
সমাজের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
আমাদের প্রধান দায়িত্ব হলো আমাদের বসবাসরত সমাজকে একটি আদর্শসমাজ হিসেবে পরিণত করা। আর একটি আদর্শসমাজ পরিণত করতে হলে আমাদের প্রত্যেকের মৌলিক দায়িত্ব হওয়া উচিত সর্বপ্রথম নিজেকে একজন আদর্শ ব্যক্তি হিসেবে গঠন করা। কেননা ব্যক্তি গঠনই হলো একটি আদর্শসমাজ গঠনের মূল হাতিয়ার।