সূরা ইখলাস এর আরবি উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ সহ ফযিলত আলোচনা করা হলো । মহিমান্বিত সূরা আল ইখলাস পবিত্র আল কুরআনের ১১২ তম ও সবচেয়ে ছোটো সূরাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই সূরায় আল্লাহর পরিচয় পাওয়া যায়। অতি সূক্ষ্মভাবে মিলে আল্লাহ তায়ালাকে নিয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর। মাত্র ৪ আয়াতের এই সূরা ফযিলতে পূর্ণ। এটা সেই ছোটো সূরা যে সূরা একনাগাড়ে মাত্র তিন বার পাঠ করলে একবার পুরো কোরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায়। নীচে সূরা ইখলাসের আরবী, বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অনুবাদসহ ফযিলত দেওয়া হলো।
সূরা ইখলাসের আরবীঃ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
اللَّهُ الصَّمَد
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَد
সূরা ইখলাস এর বাংলা উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
১. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ্
২. আল্লাহুস সামাদ্
৩. লাম ইয়ালিদ্ ওয়ালাম ইউলাদ্
৪. ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ্
সূরা ইখলাসের বাংলা অর্থঃ
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি।
১. বলুন, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়।
২. আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী (নির্ভর) নয়, সকলেই তার মুখাপেক্ষী (নির্ভরশীল)।
৩. তিনি কাউকে জন্ম দেয় নি এবং তিনিও কারো কাছ থেকে জন্ম নেন নি।
৪. আর তার কেউ সমকক্ষও (তার সমান) নেই।
সূরা ইখলাস এর ফযিলতঃ
মহান আল্লাহ তায়ালার অতি পছন্দের সূরা এ-ই সূরা । যে ব্যক্তি এই সূরাকে ভালোবাসে আল্লাহও তাকে ভালোবাসে। এই সূরাকে সমস্ত কোরআনের তিন ভাগের এক ভাগ বলা হয়।
রাতে ঘুমানোর আগে দুই হাতের দুই তালুতে তিন কুল তথা সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়ে ফুঁ দিয়ে আবার যতটুকু সম্ভব শরীরে হাত বুলিয়ে দেওয়া সুন্নত। এবং সকাল সন্ধ্যায় এই সূরাত্রয় পড়লে বিপদাপদ কাছে ঘেঁষে না।
জান্নাত লাভঃ তাফসীরে কাসীরে বর্ণনা করা আছে, ঈমানের সহিত প্রত্যেক ফরজ নামাজে ১০ বার এই সূরা পাঠ করলে তার জান্নাতের দরজা খুলে যাবে। এছাড়া বেশি বেশি করে সূরা ইখলাস পাঠ করলে জান্নাত লাভ অবধারিত হয়ে যায়।
শয়তানের পিছুটানঃ দুবুরে মানসুরে বলা আছে, যে ব্যক্তি ১১ বার এই সূরা পড়বে তার নিজের ইচ্ছে ব্যতীত কোনো খারাপ কাজে শয়তান তার সকল বাহিনী পেছনে লাগিয়ে দিলেও তাকে গুনাহে লিপ্ত করতে পারবে না।
দরিদ্রতা দূর ও গুনাহ মাপঃ তিরমিজী শরীফের এক হাদীসে আছে, এই সূরা প্রত্যহ ২০০ বার পড়লে ব্যক্তির ৫০ বছরের সকল গুনাহ মাপ হয়ে যাবে। এছাড়া ঘরে প্রবেশের সময় সালাম দিয়ে এই সূরা পাঠ করলে কিছুদিনের মধ্যে দারিদ্র্য দূর হয়ে যায়।
ইখলাস মানে একনিষ্ঠতা। একজনের কাছে মাথানত করা তথা তাওহিদে বিশ্বাস করা, উপাস্য করা এবং সবকিছু শুধু সেই মহান সত্ত্বা আল্লাহর উদ্দেশ্যেই করা। সূরা ইখলাসে বেধর্মীদের আল্লাহকে নিয়ে করা সব ভ্রান্ত প্রশ্নের মোক্ষম জবাবের সুস্পষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে।