জাহান্নাম বা দোজখ নিয়ে উক্তি হাদিস আয়াত পোস্ট স্ট্যাটাস : প্রিয় বন্ধুরা, আজ আপনাদের সামনে জাহান্নাম সম্পর্কে কোরআন হাদীসের বেশকিছু উক্তি নিয়ে আসছি। এসব বাণীগুলো আপনাকে জাহান্নাম সম্পর্কে ভাবতে বেশ সহায়তা করবে। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিই জাহান্নাম সম্পর্কে উক্তিসমূহঃ
জাহান্নাম নিয়ে উক্তি হাদিস আয়াত :
রমজান জাহান্নাম হতে বেঁচে যাওয়ার ঢাল।
–আল হাদিস
শয়তানের অনুসরণকারীর আশ্রয়স্থল হলো জাহান্নাম।
–সূরা আল-হিজরঃ ৪২
তোমরা জাহান্নামকে ভয় কর যা অবিশ্বাসীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
–সূরা ইমরানঃ ১৩১
নিঃসন্দেহে মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে।
–সূরা নিসাঃ ১৪৫
কবর কারো জন্য হবে জান্নাতের বাগান আর কারো জন্য হবে দোযখের গর্ত।
–আল হাদীস
আরো আছেঃ>>> জান্নাত বা বেহেস্ত নিয়ে উক্তি হাদিস আয়াত
আমি সেই দিন জাহান্নামকে অবিশ্বাসীদের সামনে তুলে ধরবো।
–সূরা আল-কাহফঃ ১০০
অবিশ্বাসীদের আশ্রয়স্থল হবে জাহান্নাম এবং তারা সেখান থেকে মুক্তি পাবে না।
–সূরা নিসাঃ ১২১
জান্নাতের অবস্থান সাত আসমানের উপরে আর জাহান্নামের অবস্থান সাত যমীনের নীচে।
–তাফসীরে বাগাবী।
নিঃসন্দেহে জাহান্নাম আল্লাহর গোপন একটা ফাঁদ যা সীমালংঙ্গনকারীদের জন্য প্রত্যাবর্তনস্থল।
–সূরা নাবাঃ ২১
কৃপণ লোক আল্লাহর নিকট হতে দূরে থাকে, সমাজে ঘৃণার পাত্র ও দোযখের নিকটবর্তী হয়।
–আল হাদীস
মিথ্যাবাদীদের জন্য রয়েছে উত্তপ্ত পানির বাসস্থান এবং জাহান্নামের আগুন।
–সূরা ওয়াকিয়াহঃ ৯২
দোজখ সম্পর্কিত উক্তি হাদিস আয়াত :
জাহান্নামের সবচেয়ে সহজতর শাস্তি হলো ঐ ব্যক্তিকে আগুনের ফিতাসহ দু’খানা জুতা পরানো হবে।
–মুসলিম
যারা আমার নির্দশনাবলী ও আমার রাসূলদের উপহাস করেছিলো তাদের পরিণাম জাহান্নাম।
–সূরা আল-কাহফঃ ১০৬
যে মন্দভাবে আয় করে এবং তার পাপ তাকে ঘিরে রাখে – তারাই জাহান্নামী; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।
–সূরা বাকারাঃ ৮১
বেহেশতী ব্যক্তি দুনিয়ায় দূর্বল ও অসহায় হবে আর জাহান্নামীরা হবে অবাধ্য, কলহপ্রিয় ও অহংকারী।
–বুখারীঃ ৬২০২
রাসূল (সাঃ) বলেন, আমার বিষয়ে মিথ্যা বলো না, যে আমার বিষয়ে মিথ্যা বলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
–সহীহ মুসলিমঃ ১৭৫৪
যারা কুফরী করবে ও আমার আয়াতসমূহকে স্বীকার করবে না, তারাই জাহান্নামের অধিবাসী। তারা সেখানে অনন্তকাল থাকবে। –সূরা বাকারাঃ ৩৯
যারা অবিশ্বাস করে, তাদের বলো, “তোমরা পরাজিত হবে এবং জাহান্নামের দিকে একত্রিত হবে এবং এটাই নিকৃষ্ট আবাস। –সূরা ইমরানঃ ১২
আমি তোমাকে সত্যসহ সুসংবাদদাতা ও হুশিয়ারকারীরুপে পাঠিয়েছি এবং দোযখের অধিবাসীদের সম্পর্কে তোমাকে প্রশ্ন করা হবে না। –সূরা বাকারাঃ ১১৯
প্রত্যহ নিজেকে দোযখের কথা স্মরণ করান কেননা নিশ্চিতভাবে জাহান্নামের প্রখরতা অত্যন্ত বেশি, গভীরতা অত্যধিক এবং এর অস্ত্র হলো লোহা। –উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ)
হে নবী! অবিশ্বাসী ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন আর তাদের উপর কঠোর হবেন। এবং তাদের শেষ আবাসস্থল জাহান্নাম আর তা কতইনা নিকৃষ্ট! –সূরা তাওবাঃ ৭৩
যখন তাকে বলা হয়, ‘আল্লাহকে ভয় কর’ তখন তার গর্ব-অহংঙ্কার তাকে পাপাচারে আরো উৎসাহ দেয়। কাজেই দোযখই তার জন্য যথেষ্ট যা কতইনা নিকৃষ্ট জায়গা! –সূরা বাকারাঃ ২০৬
মুনাফিক নারী-পুরুষ ও কাফেরদের জন্য রয়েছে দোযখের আগুন এবং সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আর সেটাই তাদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাদের লানত করেছেন এবং তাদের জন্য অনন্তকাল আযাবের ব্যবস্থা রয়েছে। –সূরা তাওবাঃ ৬৮
নিশ্চয় যারা আমার আয়াতসমূহকে অবিশ্বাস করে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। যতবারই তাদের চামড়া পুড়ে যাবে তাদের পরিবর্তে অন্য চামড়া দিয়ে দেব যাতে তারা শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করতে পারে। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বদা পরাক্রমশালী এবং প্রজ্ঞাময়। –সূরা নিসাঃ ৫৬
প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি জাহান্নাম নিয়ে উক্তি আপনাদের ভালো লেগেছে। আসলে আমরা কেউই দোযখের আগুনে পুড়তে চাই না। জান্নাতের বাগানে চিরকাল থাকতে চাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো জাহান্নামের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনেও আমরা না জানার ভান করি। বুঝতে চেষ্টা করি না যারা আল্লাহকে অবিশ্বাস করে, তার বিধিনিষেধ অমান্য করে তাদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি অবধারিত। তবে সৎ কর্মের মাধ্যমেই জাহান্নাম হতে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই আশা করি আজকের জাহান্নাম সম্পর্কে বাণীগুলো অন্যর মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে জান্নাত লাভে সহায়তা করবেন। আর পোস্টটা সম্পর্কে যেকোনো মতামত থাকলে কমেন্টবক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।