ভালোবাসার গল্প

অনেক গুলো সেরা ভালোবাসার গল্প এবং রোমান্টিক প্রেমের গল্প এখানে পাবেন । ভালোবাসার গল্প গুলো পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে । আশাকরি এই ভালোবাসার গল্প ও রোমান্টিক প্রেমের গল্প গুলো আপনার কাছেও ভালো লাগবে । ভালো লাগলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের । এখানে আমরা আরো অনেক নতুন নতুন ভালোবাসার গল্প যোগ করবো । তাই আমাদের সাথেই থাকবেন । ধন্যবাদ ।
ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসার গল্প ১ :

সপ্না আর নিলয় ছোট বেলা থেকেই এক সাথে বড় হয় । সপ্নার বাবা ট্যাক্সি চালায়, আর নিলয়ের বাবা একজন গ্রাম্য ডাক্তার । দুই ফ্যামিলির মধ্যে সম্পর্কটা খারাফ নয় । সপ্না নিলয়কে মনে মনে ভালোবাসতো । কিন্তু কখনো বলতে পারে নি । তারা একত্রে অনার্স পাশ করে । নিলয়ের সরকারী চাকরি হয় । বাসা থেকে ধুমধাম করে বিয়ে দিয়ে দেয় । সপ্না বেচারি ঘরে বসে একা কাঁদে । কিছুই করার থাকে না তার ।

সপ্নার অবস্থা দেখে তার মা সপ্নাকে চেপে ধরে । জিজ্ঞেস করে সমস্যা কি ? কান্নাবিজড়িত গলায় সপ্না জানায় তার লুকানো প্রেমের কথা । তার একপেশে ভালোবাসার কথা । সপ্নার পরিবারে দুঃখ নেমে আসে । সপ্নার বাবা জানতে পেরে মেয়েকে জলদি বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে চান । কিন্তু সপ্নার এক কথা, তার মনের কোঠায় গভীরে সে নিলয়কেই বসিয়েছে । এখন কোন অবস্থাতেই তার বিয়ে করা সম্ভব নয় । সে এমনকি এই বলে হুমকি দেয় যে – বাড়াবাড়ি করলে সে আত্মহত্যা করবে । সপ্নার পরিবারের সবাই খুব ভয় পেয়ে যায় । সাথে সাথে কষ্টও পায় । একমাত্র মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিছুই করার নেই ।

বছর পাঁচেক পরের ঘটনা । সপ্না এখন ঢাকাতে একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষিকা । গ্রামে ইদানিং যায় না সে। বাবা মার সাথে ফোনে কথা হয়। ইদের ছুটিতে ৫ দিনের জন্য গ্রামে গেলো সে। সে কি তখনো জানতো এই বারের গ্রামে ফেরা তার জীবনটা আমূল পাল্টে দেবে ? সপ্না বাসায় ফিরে দেখে বাসার সবার মাঝেই একটা কষ্ট উপলব্ধি করতে পারে । সপ্না মাকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে ? সপ্নার মা প্রথমে সপ্নাকে কিছুই বলে না। মেয়ের চাপাচাপিতে তিনি সব খুলে বলেন ।

নিলয় গ্রামে এসেছে। তার একটা ফুটফুটে বাবু হয়েছে। বাবুটার বয়স মাত্র ২ বছর । বাবুটাকে জন্ম দিতে গিয়ে তার মা মারা যায়। নিলয় গ্রামে এসে সপ্নার মা বাবার সাথে দেখা করতে আসে। ছেলেটার মনে এক অদ্ভুত ক্ষোভ দেখতে পান তারা । এক চাপা কষ্ট । সপ্না ঘটনা শুনে থ হয়ে যায়। জীবনটা কোন সিনেমা নয় যে নিলয়ের বাচ্চাকে বড় করবে । তাকে নিজের মেয়ের মত করে পালেব। কিন্তু সপ্নার খুব ইচ্ছে করে। আরো একবার সপ্না নিজের কাছে হেরে যায়। মুখ ফুটে বলতে পারে না তার গোপন ইচ্ছের কথা।

ইদের ছুটি শেষ। আজ বিকেলে সপ্না ঢাকায় ফিরে যাবে। ব্যাগ গুচাচ্ছে এসময় সপ্নার মা দৌড়ে এসে খবর দিলেন নিলয় এসেছে। সপ্না চমকে যায়। সে চাচ্ছিলো যেন নিলয়ের সাথে তার দেখা না হয় । কি লাভ কষ্টের বোঝা বাড়িয়ে ? মায়ের কথায় অবশেষে নিলয়ের সাথে দেখা হয় তার। দুজনেই চুপচাপ। হটাত নিলয় বলে উঠে ” ঢাকায় থাকো শুনলাম ” ? আমিও ঢাকায় থাকি । পরিবাগে । তুমি ? সপ্না উত্তর দিলো – “ধানমন্ডিতে, আমরা দুজন ফ্রেন্ড একসাথে থাকি । ও আমার সাথে একই স্কুলে পড়ায়। আমাদের পাশের গ্রামেরই মেয়ে ।”

এভাবে আরো কিছু কথা বলে তারা। একে অপরকে বিদায় জানায়। “ভালো থেকো” বলে নিজের রুমের দিকে হাঁটতে থাকে সপ্না। অজানা কষ্টে বুকটা ধুমরে মুচড়ে যাচ্ছে। নিজের মনের উপর অসম্ভব জোর খাটিয়ে ফিরে চলে সে রুমের পথে। ঘাড় ঘুরিয়ে শেষ বারের মত ফিরে তাকায় সে। দেখলো নিলয় দাঁড়িয়ে আছে তার কোলে একটা ফুটফুটে বাচ্ছা নিয়ে। নিলয়ের চোখটা ভেজা। দূর থেকেও দেখা জাচ্ছে অশ্রুকণা গুলো। কেন যেনও বাচ্চা টাকে দেখার পর নিজেকে আটকে রাখতে পারলো না সপ্না ।

Read more: >>> ভালোবাসার এসএমএস

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প :

স্ত্রী খুব অসুস্থা অবস্থায় আছে । এমন সময় স্বামী তার কাছে এলো । স্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করলো, ওগো তুমি তো আমাকে খুব ভালোবাসো, আমি মরে গেলে তুমি কয়দিন পর আবার বিয়ে করবা । স্বামী খুব চুপ হয়ে পরে বললো । যেদিন তোমার কবরের উপর থেকে পানি শুকিয়ে যাবে, সেদিন । স্ত্রী বললো, তুমি ঠিক বলছো তো ? স্বামী বললো, হাঁ আমি সত্যি করে বলছি । স্ত্রী বললো তাহলে তুমি আমাকে কথা দাও এর আগে বিয়ে করবা না । তখন স্বামী তার হাত ধরে কথা দিলো, যে স্ত্রীর কবর শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত সে বিয়ে করবে না ।

তারপর, অনেক দিন অসুস্থ থাকার পর স্ত্রী মারা গেলো । স্বামী অনেক কান্নাকাটি করে তাকে বিদায় দিলো । ঠিক ঠাক মত কবর ও দিয়ে আসলো । তারপর ৩-৪ দিন পর স্ত্রীর কবরে গেলো, এটা দেখতে যে তার কবর শুকিয়ে গেছে কিনা ! কিন্তু সে দেখলো কবর এখনো শুকায় নি । সে মনে করলো আরো কিছুদিন অপেক্ষা করি, তারপর যাই । তাই সে আবার ৭-৮ দিন পর আবার গেলো, সে তাও দেখলো, কবর এখনো শুকায় নি ।

সে অনেক টা আশ্চর্য হয়ে, এটা দেখার চেষ্টা করলো, যে কবর কেন শুকায় না ? সে অনেক সময় ধরে কবর পাহারা দিতে লাগলো । তারপর সকাল বেলা হটাত করে দেখলো, তার শালা একটা বালতি তে করে এক বালতি পানি এনে কবরে ভিজিয়ে দিয়ে গেলো । তখন সে তার শালা বাবুর সাথে কথা বলে এটা জানতে চাইলো যে সে কেন এমন টা করে ? তার শালা বললো, তাকে তার বোন মৃত্যুর আগে এটা করতে আদেশ দিয়ে গেছে । যেন সে তার কবরে প্রতিদিন সকালে এক বালতি পানি দিয়ে যায়, যাতে কবর না শুকায় ।

প্রিয় বন্ধুরা, গল্পটি যদিও কাল্পনিক । তবুও এখানে স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর যে ভালোবাসা বা সে যে মরে গেলো তার স্বামীর ভাগ কাউকে দিতে চায় না, সেটাই বুঝা গেছে । যদিও সবার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয় । অনেক অনেক ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য । গল্পটি আমার শুনা থেকে বলেছি, কোন ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । ধন্যবাদ ।

হারনো ভালোবাসার গল্প :

মেয়েঃ আমি তোমাকে অসম্ভব মিস করেছি ।
ছেলেঃ হ্যা, তো ?
মেয়েঃ সত্যি আমি তোমাকে অনেক কাছে পেতে চেয়েছি।
ছেলেঃ ঠিক আছে বিশ্বাস করলাম।
মেয়েঃ আমাকে ক্ষমা করে দাও ?
ছেলেঃ কেনো ?
মেয়েঃ তুমি আমার সাথে যত যোগাযোগ করতে চেয়েছও সব ইগনর করার জন্য ।
ছেলেঃ অহ, ব্যাপার না। প্রথম প্রথম খারাফ লাগতো, তার পর একসময় আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, তার পর আমি চেষ্টা ছেড়ে ভুলা শুরু করেছিলাম।
মেয়েঃ আমিও তোমাকে ভুলতে চেয়েছি কিন্তু তোমার কথা শুধুই আমার মনে পড়তো । আর…
ছেয়েঃ …
মেয়েঃ আমি ভেবেছিলাম আমি হয়তো তোমাকে আর পাবো না, কারন পাঁচ বছর গত হয়ে গিয়েছিলো ।
ছেলেঃ ঠিক আছে ।
মেয়েঃ কীভাবে ঠিক আছে ? আমি কিছুই ঠিক দেখতে পাচ্ছি না ।
ছেলেঃ আমি ভাবতাম তুমি ফিরে আসবে । কিন্তু ছয় বছরেও আসনি । তারপর প্রকৃতি আমাকে বাস্তবতা শিখিয়েছে । আর আমিও আশা ছেড়ে এগিয়ে চলেছি ।
মেয়েঃ মানে ? আমি কি খুব দেরি করেছি ?
ছেলেঃ কিসের জন্য দেরি করেছো ?
মেয়েঃ তোমার কাছে ফিরে আসার জন্য ?

ছেলেঃ জানো এই কথা টা আমি আরো ২ বছর আগেও শুনতে ছেয়েছিলাম তোমার কাছে । কিন্তু এটা শুধু ইচ্ছে হিসেবেই রয়ে গেছে । তারপর আমি অনুভব করেছি এটা সম্ভব নয় । তারপর আমি আশা করা ছেড়ে দিয়েছি ।
মেয়েঃ আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত , এই বার আমি তোমার সব স্বপ্ন পুরন করবো ।
ছেলেঃ এটা কখনই আর সম্ভব নয় । আমার জীবনে অন্য একজন ২ বছর আগে চলে এসেছে ।
মেয়েঃ তোমার জন্য তো ভালো হয়েছে এটা । কিন্তু সে কে ? তার সাথে আমি কি একটু দেখা করতে পারি ?
ছেলেঃ সে তো তোমার সাথে দেখা করবে না কখনই ।
মেয়েঃ কেনো ?
ছেলেঃ (ধীরে ধীরে বলছে) সে এমন কারো সাথে দেখা করতে চায় না যে আমাকে কষ্ট দিয়েছে । তোমার কাছে এইবার আমি ক্ষমা চাই । তুমি একবার আমার হৃদয় ভেঙ্গেছো । আমি সেই ঝুকি পুনরায় নিতে পারবো না। যাই হোক ৫ টি বছর কিছু না বলে নিরব থাকার পর আমার সাথে কথা বলতে আসার জন্য ধন্যবাদ।
মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো । মেয়েটি চলে যাবার পর – ছেলেটি তার মানি ব্যাগ বের করলো আর সেখান থেকে মেয়েটির ছবি বের করলো । কয়েকফোটা জল তার চোখ থেকে বের হয়ে বুকের উপর পড়লো । আর সে বলোঃ ” সেই মেয়েটি আজো তুমি”

রোমান্টিক প্রেমের গল্প :

যেদিন তোর সাথে প্রথম দেখা হয়…কেন জানি ভালো লাগেনি!মুডি টাইপ একটা মেয়ে মনে হচ্ছিল!কথা বলতি ঠিক ই…কিন্তু,একটা কথা ও প্রয়োজনের বেশি না।রাগ হতো খুব!ভার্সিটি লেভেলে এসেও একটা মেয়ে এমন হবে কেন?…কোন ও ফর্মালিটির বালাই নাই!সবার উপরই কেমন একটা আজব ধরণের অধিকারবোধ!কেউ কিছু উল্টাপাল্টা করলে সাথে সাথে ঝাড়ি…কোন ও স্যরির ধার ধারেনা…

অথচ পরক্ষণেই তার মন ভালো করতে উঠে পড়ে লাগা!……সময় গেল…আস্তে আস্তে অনেকটা চিনলাম তোকে…বুঝলাম…তুই এমনই…কারো প্রতি তোর কেয়ারটা সরাসরি দেখাতে তোর যত অনীহা …তোর সাথে একই গ্রুপে পড়ি…তাই,ঘনিষ্ঠতা হতে সময় লাগলোনা…একসাথে গ্রুপ-স্টাডি…আড্ডাবাজি…মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়া…এভাবেই দূর্বল হয়ে যাচ্ছিলাম তোর প্রতি…তুই বুঝতি কী না কে জ়ানে!হয়তো বুঝেও না বোঝার ভাণ করতি!তোর সামনে ভালোবাসা নিয়ে কিছু বলতে গেলেই ভীষণ বুদ্ধিমতীর মত প্রসঙ্গ পাল্টে দিতি……।

তুই কখনোই বলিসনি…আমাকে ভালোবাসিস…তবু আশ্চর্য একটা অধিকারবোধ নিয়ে আমার অনেক কিছুর খেয়াল রাখতি…শাসন করতি…মায়াও করতি বোধহয়!পড়াশোনা বল…বা ফ্যামিলির কোনও সমস্যা বল…তুই আমার সব সমস্যাতেই আমার পাশে…
শুধু ভালোবাসার প্রসঙ্গ তুললেই ‘কবি নীরব’!তোকে ইম্প্রেস করার জন্য এত ছেলের এতো চেষ্টা……তোর শুধু কোন ও দিকেই খেয়াল নাই!
ভাবলাম,মেয়েরা এমনিতেই একটু লাজুক টাইপ হয়…তাই,মুখ ফুটে বলছিস না হয়তো।সিদ্ধান্ত নিলাম,আমিই বলবো…
যেই ভাবা সেই কাজ!পরদিন লাস্টক্লাসে এক্সাম ছিল একটা।এক্সাম শেষে বের হয়েই ড্রামাটিক স্টাইলে হাঁটু গেড়ে প্রপোজ করলাম।

আমাকে অবাক করে দিয়ে তুই মুখটা শ্রাবণের আকাশের মত কালো করে ফেললি।একটা কথাও না বলে চলে গেলি চুপচাপ।পাগলের মততোর ফোনে ট্রাই করতে থাকলাম…অপারেটর খুব শান্ত ভঙ্গিতে বারবার মোবাইল সংযোগ দিতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে থাকলো।দুদিন ভার্সিটিতেও এলিনা তুই।দুশ্চিন্তায় আমার মনে হচ্ছিল মরে যাই!তোর বাসায় যেতেও ভয় লাগছিল…পাছে তোকে দেখলে আবার ইমোশনাল হয়ে পড়ি!
৩য় দিন ভার্সিটিতে তোর সাথে দেখা হওয়া মাত্রই একগাদা প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিলাম…”কি হয়েছে তোর?কোথায় ছিলি?ফোন বন্ধ ছিল কেন?” তুই শুধু ম্লান একটু হেসে বললি…”আমার এসব নিয়ে কথা বলতে এখন একদমই ভাল লাগছে না।জ্বালাস না প্লিজ।” দমে গেলাম ভীষণ।
তুই বদলে যেতে শুরু করলি…আমার পৃথিবীটার মত!যে তুই আমার সাথে সারাদিন অনর্গল কথা বলতি আমার সাথে…সেই তুই আমাকেই এড়িয়ে চলতে শুরু করলি সবখানে…বন্ধুদের আড্ডা বল…আর আইসক্রিম পার্লার…সব আছে…আগের মতই…শুধু আমরা বাদে…
ভেঙ্গে চুরে চুরমার হয়ে যাচ্ছিলাম। …একসময় আর সহ্য করতে না পেরে তোকে একটা টেক্সট মেসেজ দিলাম…”আমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে আমার কাছ থেকে দূরে সরানোর অধিকার দেইনি তোকে আমি!”

এর কদিন পর…আমার জন্মদিন ছিল…সারাদিন একসাথে ক্লাস করলাম…অথচ তুই উইশ করলি না!প্রচন্ড রকম খারাপ লাগছিল…ভার্সিটি থেকে বের হয়ে যাব এমন সময় তুই পেছন থেকে ডাক দিলি…দেখি তোর হাতে অনেকগুলো কাঠ গোলাপ!আমার প্রিয় ফুল!কাছে যেতেই ফুল গুলো হাতে দিয়ে বললি,”শুভ জন্মদিন,দোস্ত!” ওদিন অনেকক্ষণ ছিলি আমার সাথে…একসময় আমি জিজ্ঞেস না করতেই বললি…”আমাকে মাফ করিস দোস্ত।আমি জানি,তুই আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসিস…যে ভালোবাসার মূল্য দেবার ক্ষমতা আমার নেই…কারণ আমি অন্য কাউকে অনেক বেশি ভালোবাসি।তার ভালোবাসার সাথে আমি বিশ্বাস-ঘাতকতা করতে পারবনা।

কোন ও কিছুর বিনিময়েই না।” ঈর্ষা থেকেহোক,আর যেকারণেই হোক…আমি একটা কথা না জিজ্ঞেস করে পারলাম না…”যাকে এত ভালোবাসিস…সে কী সত্যিই তোর এত ভালোবাসার যোগ্য?সে কি তোকে এত ভালোবাসে?” তুই অন্যদিকে তাকিয়ে রইলি…বলতে হতোনা…আমি জানতাম,তোর চোখে সেই জল,যা মুছে দেবার ক্ষমতা বা অধিকার,কোনোটাই নেই আমার!

তুই না করেছিলি,তাই ওই বিষয়ে আর কিছু কখনো জিজ্ঞেস করিনি তোকে…কিন্তু,তোর চোখ দেখলেই বুঝি…তুই ভালো নেই।
…ইস্পাত কঠিন তোর মধ্যে আমি ভীষণ দূর্বল তোকে খূঁজ়ে পাই…তোর নিস্তব্ধতায় আমি ভাঙ্গনের শব্দ শুনতে পাই…তোর কৃত্রিম হাসির পেছনে তোর অশ্রু দেখি!বন্ধু তো!নিজের জন্য এখন আর ভাবি না…কারণ,তোর ভালোবাসা পাবার ইচ্ছে ছিল,করুণা না!তোর জন্য খারাপ লাগে না…খারাপ লাগে ওই দূর্ভাগার জন্য…যে জানে না…তার কে ছিল?কী ছিল!তুই ভালো থাকবি…তোকে ভালো থাকতেই হবে..আমার জন্য……আমাদের জন্য……তোকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখা এত মানুষের ভালোবাসার জন্য!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *