স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা নিয়ে কিছু কথা এখানে লিখা হলো। আমাদের সবার উচিৎ এই সম্পর্ক কে ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী ঠিক করে রাখা। কারন এই সম্পর্ক হলো একটি চিরস্থায়ী সম্পর্ক।
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা
স্বামী ও স্ত্রীর বন্ধন নাকি সাত জনমের। অর্থাৎ এই জীবনে যে আপনার স্ত্রী বা সহধর্মিণী হবেন বা হয়েছেন তার সাথে এ জনমের পরেও আবার দেখা হবে বা পূর্ব জনমেও দেখা হয়েছে। একজন স্বামীর যেমন তার স্ত্রীর উপর অনেক দায়িত্ব থাকে। তেমনি স্ত্রী এর ও অনেক দায়িত্ব থাকে তার স্বামীর প্রতি।কিন্তু এই সম্পর্কটি শুধুমাত্র দায় বা দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি ভালবাসার সম্পর্ক মায়ার সম্পর্ক।আর এটি শুধু মানুষের কথা নয়।ধর্ম ও বিজ্ঞান উভয়ই এর সমর্থন করে।অনেকেই মনে করেন ইসলাম ধর্মে ভালবাসা বলতে কোন বিষয় নেই এবং এটি সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। কিন্ত না মহানবী বলেছেন “তোমরা ঐ পর্যন্ত জান্নাতে যেতে পারবেনা যতক্ষণ না পর্যন্ত মুমিন হও, আর ততক্ষন পর্যন্ত মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষণ না পর্যন্ত একে অপরকে ভাল না বাসো।” তাহলে ভালোবাসার গুরুত্বপূর্ণতা বুঝতেই পারছেন।তবে এ ভালবাসা হতে হবে বৈধ ও সমাজ স্বীকৃত।আর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক সামাজিক ও ধর্মীয় উভয় দিক থেকে পবিত্র সম্পর্ক।
কিন্তু আসল কথা হলো স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কেমন হতে পারে বা হওয়া উচিত? স্বামী-স্ত্রীর মাঝের ভালবাসা হওয়া উচিত সত্য এবং কোনরূপ মিথ্যা পূর্ন নয়।কারন সম্পর্কটা কিন্তু একদিন বা দুইদিনের নয় সারাজীবনের।আর মিথ্যা কখনো চাপা থাকে না একদিন তা প্রকাশ পাবেই।আর তখন এই মিথ্যা ভালোবাসার সাময়িক সুখ পরিনত হয়ে যাবে অশান্তির কালো মেঘে।তাই এই সম্পর্কের মাঝে কখনোই মিথ্যা যেন আসতে না পারে সে বিষয় দুজনেরই সমান এবং সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত।
একে অপরকে বুঝতে হবে।কোন বিষয় সঙ্গীর ভালো লাগে বা কোন বিষয়ে সে কষ্ট পায় সেগুলো জানতে হবে।এবং তার খারাপ লাগে এমন কাজ করে তাকে কখনোই কষ্ট দেওয়া উচিত নয়।বরং তার ভাল লাগাকে গুরুত্ব দিতে শিখুন।দেখবেন দাম্পত্য জীবন হয়ে উঠবে সুখী এবং সমৃদ্ধ!
স্বভাবতই পুরুষরা চাকরি বা অন্য কাজ করে পরিবারের পরিচলন খরচের যোগান দেন।এবং নারীরা থাকে গৃহ পরিচালনার দায়িত্বে।আর এমনটিই চলে আসছে আমাদের সমাজে যুগের পর যুগ।এবং অনেক পুরুষ আছে যারা কাজ শেষে বাসায় ফিরে স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।যা একদমই ঠিক নয়।কারন আপনি যেমন বাহিরে কাজ করে পরিশ্রান্ত তেমনি আপনার স্ত্রীও কিন্তু সারাদিন বাসার সকল কাজ সামলিয়েছে।কষ্ট তারও হতে পারে এটা বুঝতে শিখুন।এবং সারাদিনের কর্মব্যস্ত জিবনে শেষে বাসায় ফিরে তার সাথে মিষ্টি আচারন করুন।তার খোজ নিন সারাদিন কেমন কাটল ইত্যাদি।দেখবেন সেও ভালবাসা দিয়ে আপনার সমস্ত ক্লান্তি দূর করে দিবে।কারন মনের প্রশান্তি হলো সবচেয়ে বড় জিনিস।
তাহলে বুঝতেই পারছেন একটি সুখী সুন্দর দাম্পত্য জীবন কাটাতে স্বামী স্ত্রী এর মাঝে ভালোবাসা থাকাটা কত জরুরি।এবং এটি একদিকে যেমন আপনার জীবনকে করে তুলবে সুখী তেমনি একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ ও জাগ্রত করে তুলবে।