ইফতার নিয়ে উক্তি

ইফতার নিয়ে উক্তি হাদিস কোরআনের আয়াত বাণী স্ট্যাটাস ক্যাপশন পোস্ট এখানে পাবেন । ইফতার হলো মুসলমানদের জন্য আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে এক প্রকার নেয়ামত । সারাদিন রোজা রেখে যখন কোন মুসলমান ইফতার করতে যায়, তখন আল্লহ অনেক খুশী হয়ে যান এবং আল্লাহ্‌ ওই মানুষের উপর রাজিখুশি থাকেন । তাই ইফতার হলো আমাদের জন্য অনেক বড় একটি নেয়ামত । আসুন তাহলে ইফতার নিয়ে আমাদের লিখা টি পরে দেখি ।ইফতার নিয়ে উক্তি

ইফতার নিয়ে উক্তি :

রমজান মাসের সবচেয়ে প্রতিক্ষিত মূহুর্ত হলো ইফতার।

রোযা মুসলমানদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেয় আর ইফতার মুসলমানদেরকে আর্শীবাদে পূর্ণ করে।

ইফতারের অতি সুন্দর মুহুর্তে রোজা ভাঙ্গার সময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রোযাদারের গুনাহ মাপ করে দেন।

ইফতারের মুহুর্তটা সবচেয়ে মঙ্গলময় মুহুর্ত। তাই এই সময়টাতে মহান আল্লাহর কৃপা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করুন ।

পবিত্র রমজান মাস ক্ষমার মাস। আর ইফতারের আগমূহুর্তে আল্লাহ তায়ালা বান্দার দোয়া কবুল করে। তাই ইফতারের সময় মহান রবের কাছে বেশি করে দোয়া করুন।

রমযান মাসে একজন মুসলিমের নিকট ইফতার সবচেয়ে আনন্দময় মুহুর্ত। এসময় অভাবীকে আপনার খাবার শেয়ার করুন এবং সকলের মাঝে মানবতা ছড়িয়ে দিন।

ইফতারের সময়টা সবচেয়ে বরকতময় সময়গুলোর মধ্যে একটা। ইফতারের সময় শেষ হওয়ার আগে এই সময়ে আলাহর নিকট মন খুলে প্রার্থনা করুন ।

ইফতার নিয়ে স্ট্যাটাস :

এখানে পাবেন আরো অনেক গুলো ইফতার নিয়ে উক্তি ও স্ট্যাটাস । এই উক্তি বা স্ট্যাটাস গুলো আগের গুলোর চেয়েও ইউনিক । তাই এগুলো সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে আশাকরি । চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক স্ট্যাটাস গুলো ।

১. এ পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দরতম মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে, পরিবারের সবাই মিলে একসাথে ইফতার করা। ইফতারের প্রতিটি মুহূর্তে যেন আল্লাহর রহমত এবং বরকতে পূর্ণ হয়ে যায়।

২. জীবনে প্রথমবার নিজের প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করার মুহূর্তটা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকে। যেন ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ।

৩. পৃথিবীতে অপেক্ষা করাটা যে কতটা কষ্টকর এবং আনন্দের, তা ইফতারের সময় বোঝা যায়। এক মিশ্র অনুভূতিতে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ জেগে ওঠে।

৪. আমাদের জীবনেও সব রকম হতাশা কাটিয়ে ধৈর্যকে সঙ্গী করে নেয়া উচিত। যেভাবে আমরা সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার করি ঠিক সেইভাবে।

৫. রমজানের রোজায় সবচেয়ে আকুল ভাবে প্রতীক্ষিত মুহুর্ত হলো ইফতার। প্রতীক্ষাও যে কতটা নির্মল হয় তা যেন ইফতার প্রমান করে।

৬. আপনার সমস্ত আকুতি নিয়ে ইফতারের সময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন। কারণ ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়।

৭. ইফতারের সময়ের শরবত যেনো হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করে তোলে। বছরের অন্য সময় গুলিতে এই অনুভূতি টুকু পাওয়া যায় না।

৮. জীবিকার তাগিদে পরিবার-পরিজন ছেড়ে কত মানুষ একা একা ইফতার করে। তারা যেন আল্লাহর রহমতের ছায়া পায়।

৯. ইফতারের সময়টাতে কোন নিষ্পাপ শিশুর অনর্গল হাসি যেন মুহূর্তগুলোকে আরো মহিমাময় করে তোলে। অবশ্যই ইফতারের সময় আপনার শিশুটিকেও সাথে রাখুন।

১০. এক মুহূর্তের ইফতারে, রোজার সারাদিনের ক্লান্তি যেন ধুয়ে মুছে যায়। সবরের ফল সত্যিই সুমিষ্ট।

ইফতার নিয়ে ক্যাপশন :

এখনে আমরা আরো অনেক গুলো ইফতার নিয়ে উক্তি ও ক্যাপশন দিয়েছি আপনাদের জন্য । আমাদের এই লিখা গুলো আগের গুলোর চেয়ে একটু ভিন্ন রকম, তাই এগুলো আপনার কাছে আরো ভালো লাগবে । চলুন তাহলে শুরু করা যাক ।

১. আপনি আপনার চরম দুঃখর সময় কিভাবে ভালো কিছুর জন্য অপেক্ষা করবেন? ঠিক যেভাবে সারাদিন রোজা রাখার পর মানুষ ইফতারের জন্য অপেক্ষা করে।

২. ইফতার হচ্ছে সুনিশ্চিত প্রত্যাশিত সুখী মুহূর্ত। যা রোজাকে আরো বেশি বরকতময় করে তোলে।

৩. রমজানের প্রতিদান আল্লাহ নিজে দিবেন। তাই হয়তো ইফতার এত বরকতময় মুহূর্ত।

৪. রমজান মাসেই আল্লাহ মানুষকে বেশি বেশি ক্ষমা করেন। তাই অবশ্যই ইফতারের সময় আমাদের উচিত, আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমাপ্রার্থনা করা।

৫. ইফতার সাজাতে অবশ্যই আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে কাজ করুন। কে জানে হয়তো আপনাদের ভাঙ্গা সম্পর্ক গুলো জোড়া লেগে যেতে পারে।

৬. আপনার যেটুকু সাধ্য তার ভেতরে ই ইফতার করুন। বেশি কিছু নেই বলে আফসোস করবেন না।

৭. রমজানের মধ্যে ইফতার বরাবরই এক পবিত্র আনুষ্ঠানিকতা। যার মাধ্যমে পরিবারের সবাই একে অপরের কাছাকাছি আসতে পারে।

৮. পবিত্র মাহে রমজানে ইফতারের সময়টুকুতে আল্লাহ যেন প্রতিটি বান্দার হৃদয়ে প্রশান্তি দ্বারা পূর্ণ করে দেন। এই দোয়া থাকবে সবার জন্য।

৯. ইফতারের আগ মুহূর্তে আপনার প্রতিপালকের কাছে সমস্ত চাওয়া গুলো পেশ করুন। কে জানে কোন চাওয়াটা সবার আগে পূর্ণ হবে।

১০. প্রতিবছর রমজান আসে তার সাথে আছে ইফতারের আনন্দময় মুহূর্ত। ইফতারের কত চির সবুজ স্মৃতি এখনো মনের গভীরে দাগ কেটে আছে। ‌

১১. ইফতারের একটু আগে মায়ের কাছ থেকে আগেই বেগুন ভাজা খেয়ে নেওয়া। এ যেন প্রতিটি শিশুর আনন্দময় শৈশবকাল।

ইফতার নিয়ে হাদিস :

এখানে আমরা দিয়েছি অনেক গুলো ইফতার নিয়ে হাদিস বা ইসলামিক বাণী । অনেক গুলো ইফতার নিয়ে উক্তি ও স্ট্যাটাস দেয়ার পর এবার হাদিস দেয়া হয়েছে আপনাদের জন্য । আশাকরি এই হাদিস গুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে ।

যখন রাত পূর্ব দিগন্তে ঘনিয়ে আসে ও দিন চলে যায় এবং পশ্চিমে সূর্য ডুবে, তখন রোজাদার ইফতার করবে
– বুখারি, হাদিস: ১৮৩০

রাসূল (সা.) খেজুর দিয়ে ইফতার করা পছন্দ করতেন, আর কোনো কিছু না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করে নিতেন।
– আল হাদিস

ইফতার করো খেজুর দিয়ে কারণ খেজুরে রয়েছে প্রচুর বরকত। খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করো কেননা পানি উত্তম পরিষ্কারক।
– আনাস ইবনে মালেক (রা.); তিরমিজী

Read more: রোজা নিয়ে উক্তি ও হাদিস

একজন রোজাদারকে ইফতারের সময় যে আহার করান, রোজা রাখার সমান সওয়াব সে ব্যক্তি পাবে, কিন্তু তাতে রোজাদারের সওয়াবে কোনো কমতি হবে না।
– জায়েদ ইবনে খালেদ (রা.); তিরমিজী

ইবনে সা’দ (রাঃ) বলেন যে, রাসূল (সা.) বলেছেন, লোকেরা যতদিন দ্রুত ইফতার করবে ততদিন তারা কল্যাণের ওপর থাকবে। কেননা দেরীতে ইফতার করা ইহুদি খ্রিষ্টানদের স্বভাব ।
– (বুখারী ও মুসলিম)

রমজান মাস শুরু হলে বেহেশতের দুয়ার খুলে দেওয়া হয় আর দোযখের দুয়ার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবং এসময় শয়তানকে শিকলে বেঁধে রাখা হয় ।
– রাসূল (সা.) (ইমাম বুখারী)

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সা.) বলেন, হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, আমার বান্দাদের মধ্যে তারা আমার বেশি প্রিয়, যারা দ্রুত ইফতার করে।
– তিরমিজি: ৫৬০

যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে। এবং ওই রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে।
– হযরত মুহাম্মদ (সা.)

পানি মিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি খেজুর অথবা এক ঢোঁক পানি দ্বারাও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব ওই ব্যক্তি পাবেন।
– হযরত মুহাম্মদ (সা.)

রোযাদারকে তৃপ্তি সহকারে ইফতার করালে আল্লাহ তায়ালা আমার হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত পিপাসার্ত হবে না।
– হযরত মুহাম্মদ (সা.)

রাসূল (সা.) তিনটা তাজা-পাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাজা-পাকা খেজুর না পেলে তিনটা শুকনো খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। আর তাও না পেলে তিন ঢোঁক পানি পান করে ইফতার করতেন।
– আনাস ইবনে মালেক (রা.); তিরমিজী

যখন কোনো রোজাদার রোজা নেই (বে-রোজাদার) এমন কাউকে আপ্যায়ন করে, তখন তার আহার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফেরেশতারা রোজাদারের ওপর রহমত বর্ষণ করতে থাকে ।
– উম্মে আমাবাহ আল আনসারিয়া (রা); তিরমিজী

শেষ কথা :

প্রিয় বন্ধুগণ, আমাদের এই ইফতার নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন ও হাদিস গুলো পড়ে আশাকরি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে এবং আপনাদের অনেক কাজে এসেছে । আমরা এখানে চেষ্টা করেছি সবচেয়ে সেরা লিখা গুলো আপনাদের কে দিতে । যদি আপনাদের কাছে সামান্য ভালো লাগে তাহলেই আমাদের এই কষ্টের সার্থকতা । ভালো লাগলে আমাদের নিচের পোস্ট গুলো পড়ে দেখার নিমন্ত্রন রইলো ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *