ইসলামিক স্ট্যাটাস

আমাদের অনেক সময় কিছু সুন্দর সুন্দর ইসলামিক স্ট্যাটাস প্রয়োজন হয় । আবার ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য অথবা ভিডিও তৈরি করার জন্য এই স্ট্যাটাস গুলো দরকার হয় । তাই আমরা এখানে আপনাদের জন্য কিছু সেরা এবং নতুন ইসলামিক স্ট্যাটাস দিয়েছি । এগুলো আপনারা চাইলে যেকোন কাজে ব্যবহার করতে পারেন । এখানে যে ছোট স্ট্যাটাস গুলো দেয়া হয়েছে, সেগুলো মূলত কিছু হাদিস এবং মুসলিম মনিষীদের কথা । তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল লেখায় চলে যাই ।

ইসলামিক স্ট্যাটাস :

১। দুঃখ কষ্ট নিয়ে আপসোস করবেন না, কারণ এখানে কোন কিছুই স্থায়ী নয় ।

২। লক্ষ যদি হয় দুনিয়া, তাহলে সব হারাবেন । আর লক্ষ যদি হয় জান্নাত, তাহলে সফল হবেন ।

৩। দুনিয়াতে থেকে যদি পরকাল এর কথা ভুলে যান, তাহলে এই জীবনের কোন মূল্য নেই ।

৪। মানুষকে ভালোবাসলে সব হারাবেন, আল্লাহ্‌কে ভালোবাসলে সব কিছুই পাবেন ।

৫। মানুষকে সাহায্য করলে আল্লাহ্ খুশী হন, তবে সব কিছুই করতে হবে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য ।

৬। তারাই সফল যারা একে অন্যকে আল্লাহ্‌র জন্যই ভালোবাসেন ।

৭। দুনিয়ার কষ্ট স্থায়ী নয়, তবে পরকালের কষ্ট চিরস্থায়ী ।

৮। দুনিয়াতে দুঃখ অথবা সুখে থাকুন, সময় চলে যাবে, তবে পরকালের দুঃখ অথবা সুখ দুটোই সীমাহীন ।

৯। জীবনকে রাঙ্গিয়ে দিন ইসলাম দিয়ে, আল্লাহ্‌ পরকাল রাঙ্গিয়ে দিবেন জান্নাত দিয়ে ।

১০। দুনিয়ার অল্প জীবন খুবই মূল্যবান, এখানে যারা ভালো কাজ করবে, তারাই অনন্ত কালের সুখের জীবন (জান্নাত) পাবে ।

১১। মুখ এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করুন, এর বিনিময়ে আল্লাহ্‌ জান্নাত দেবেন ।

১২। পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরাপদ এবং শান্তির জায়গা হলো মসজিদ ।

১৩। দুনিয়াতে করা ভালো কাজ গুলোই আপনার পরকালকে সাজিয়ে দিবে ।

১৪। পৃথিবীতে স্থায়ী কোন সফলতা নেই । চিরস্থায়ী সফলতা হচ্ছে জান্নাত ।

১৫। মনে শান্তি নেই ? মসজিদে গিয়ে অল্পকিছুক্ষন গভীর ভাবে আল্লাহ্‌কে স্মরণ করুন ।

১৬। মানুষকে ভালোবাসলে কষ্ট পাবেন, আল্লাহ্‌কে ভালোবাসলে পাবেন শান্তি আর সফলতা ।

১৭। পৃথিবীর সকলের সাহায্যের দরজা বন্ধ হয়ে গেলেও, আল্লাহ্‌র দরজা কখনই বন্ধ হবে না ।

১৮। মানুষের কাছে না চেয়ে যিনি মানুষকে দেন তার কাছেই চাইতে হবে ।

১৯। নিজেকে নিয়ে অহংকার করা বা ঘৃণা করা, কোনটাই আল্লাহ্‌ পছন্দ করেন না । কারণ তিনি যত্ন করে আপনাকে আমাকে বানিয়েছেন ।

২০। সবাই দূরে ঠেলে দিলেও আল্লাহ্‌ কখনই দূরে ঠেলে দিবেন না । কারণ তিনি কখনই চান না তার কোন বান্দা ধ্বংস হোক ।

২১। নামাজের মত এমন মধুর আর শান্তির কাজ দুনিয়াতে নেই ।

২২। সুখে দুঃখে বিপদে এবং সফলতায়, সর্ব অবস্থায় আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলাই হলো ধৈর্য ।

২৩। যার কাছে কেউ কোন কিছু চেয়ে খালি হাতে ফেরেন নি, তিনি হলেন পরমকরুনাময় সর্ব শক্তিমান আল্লাহ্‌ ।

২৪। পৃথিবীতে এত লক্ষ লক্ষ পরিবার থাকতে আল্লাহ্‌ আমাকে নিজ দয়ায় মুসলিম পরিবারে পাঠিয়েছেন । আলহামদুলিল্লাহ্‌ ।

২৫। যত পাপই করেন না কেন মনে রাখবেন কোন কিছুই আল্লাহ্‌র দয়ার চেয়ে বড় নয় । তিনি মাফ করে দিবেন ।

২৬। আল-কোরআনঃ মানব জীবনের সম্পূর্ণ জীবন বিধান ।

২৭। যেখানে মানুষের চেষ্টার শেষ, সেখান থেকেই আল্লাহ্‌র সাহায্য শুরু ।

২৮। সবকিছুরই সদকা থাকে, দেহের সদকা হলো রোজা ।

২৯। রোজাদার বান্দাগন রাইয়ান নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে । সুবহান-আল্লাহ ।

৩০। আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করতে পারলে আল্লাহ্‌ সব কিছুই দেন । তিনি কাওকেই হতাশ করেন না ।

৩১। মানুষ মনে প্রানে যা চায়, আল্লাহ্‌ তাকে তাই দেন ।

৩২। মানুষের ভাগ্য যদিও নির্ধারিত তবে একমাত্র দোয়ার মাধ্যমেই ভাগ্যকে পরিবর্তন করা যায় ।

৩৩। অহংকার, লোভ, হিংসা এবং গীবত থেকে যে নিজেকে দূরে রাখতে পারবে, দুনিয়া এবং আখেরাতে সেই সফল ।

৩৪। আজকে মারা গেলে কালকে সবাই ভুলে যাবে, কি হবে দুনিয়াতে এত কিছু করে । সাথে যাবে শুধু আমল ।

৩৫। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আপনাকে যে সফলতা আর শান্তি দিবে, তা দুনিয়ার কেউ দিতে পারবে না ।

৩৬। এই যুগের সবচেয়ে ভয়ংকর বাক্য, “নামাজ না পড়লে কি হবে আমার ঈমান ঠিক আছে” ।

ইসলামিক ছন্দ স্ট্যাটাস :

১। “পথ হারা বান্দা আমি চাই যে আলোর দিশা,
মুছে দাও হে আল্লাহ সকল পাপের নিশা,
ক্ষমা ও ভালোবাসা তোমার অবদান,
তাইতো তোমার নাম রেখেছ রহিম রহমান ।”

২। “মক্কার বাগানে ফুটিল এক ফুল
নাম রাখিল তার মোহাম্মাদ রাসুল
সুবাস ছড়িয়ে গেল সারা বিশ্বে
আল্লাহ দিলেন তার মর্যাদা সবার শীর্ষে ।”

৩। “মাটির দেহ নিয়ে কখনো করিওনা বড়াই,
দুচোখ বন্ধ হলে দেখবে পাশে কেউ নাই ,
যাকে তুমি আপন ভাবো সে ভাবে পর ,
আপন হবে নামাজ-রোজা অন্ধকার কবর ।”

৪। “আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা, নামাজ পড়তে যাই,
রাস্তা ঘাটে বসে থেকে কোন লাভ নাই,
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে ভালো হয় মন,
এসো আমরা নামাজ পড়ে ধন্য করি জীবন”

ইসলামিক ক্যাপশন :

1. আল্লাহ্‌র প্রতি ভরসা রাখুন, তিনিই সর্বশক্তিমান।

2. নামাজ হলো মুমিনের মিরাজ।

3. সুবহানাল্লাহ্‌ – সৃষ্টিকর্তার সৌন্দর্য ও মহিমার প্রশংসা।

4. কুরআন শরীফ হলো আমাদের জীবনের পথপ্রদর্শক।

5. ধৈর্য ধারণ করুন, আল্লাহ্‌ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন।

6. “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” – জীবনের সর্বোচ্চ সত্য।

7. জিকির করুন, আল্লাহ্‌ আপনার মনের প্রশান্তি দেবেন।

8. আল্লাহ্‌ যা কিছু করেন, তা আমাদের কল্যাণের জন্যই করেন।

9. পবিত্রতা হলো ঈমানের অঙ্গ।

10. ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম।

11. আল্লাহ্‌র রহমত সবসময় আমাদের উপর বিদ্যমান।

12. দোয়া করুন, আল্লাহ্‌ আপনার প্রার্থনা কবুল করবেন।

13. ভালো কাজ করুন, জান্নাত আপনার প্রতিদান।

14. সবর (ধৈর্য) হলো মুমিনের শক্তি।

15. রাসূল (সাঃ) আমাদের একমাত্র আদর্শ।

16. পবিত্র রমযান মাস হলো বরকতের মাস।

17. হালাল রুজি কামাই করুন, আল্লাহ্‌ তাতে বরকত দেবেন।

18. ইসলামি শিক্ষার আলোয় জীবন গঠন করুন।

19. জীবনের প্রতিটি কাজে আল্লাহ্‌কে স্মরণ করুন।

20. কুরআনের আলোয় জীবন পরিচালিত করুন।

21. আল্লাহ্‌র নাম নিয়ে দিন শুরু করুন, শান্তি পাবেন।

22. যিকির করুন, এটি হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করে।

23. ইমান হলো জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।

24. যেখানেই থাকুন, আল্লাহ্‌ সবসময় আপনার সাথে আছেন।

25. পাপ থেকে বাঁচুন, আল্লাহ্‌র রহমত পাবেন।

26. পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী, আখিরাত চিরস্থায়ী।

27. নামাজে মনের শান্তি ও আত্মার সান্ত্বনা।

28. প্রতিদিন কুরআন পড়ুন, আল্লাহ্‌র নির্দেশনা পাবেন।

29. ইখলাস (নির্মলতা) আল্লাহ্‌র নিকট প্রিয়।

30. সহানুভূতি ও দয়া হলো ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য।

31. আল্লাহ্‌র নির্দেশ মেনে চলুন, সফলতা আপনার।

32. জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহ্‌কে স্মরণ করুন।

33. ধৈর্য্য ও ইমান আপনাকে সবসময় সঠিক পথে রাখবে।

34. দান করুন, আল্লাহ্‌ আপনাকে বহুগুণে প্রতিদান দেবেন।

35. মিথ্যা থেকে দূরে থাকুন, সত্যের পথে চলুন।

36. ভালো কাজের ফল অবশ্যই পাবেন।

37. ইসলামের শিক্ষা অনুসরণ করুন, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসবে।

38. আল্লাহ্‌র রহমত ও মাগফিরাত চেয়ে দোয়া করুন।

39. পরিপূর্ণ তাওয়াক্কুল (আস্থা) আল্লাহ্‌র উপর রাখুন।

40. ইসলামের পথে চলুন, জীবনের সকল সমস্যার সমাধান পাবেন।

নবী এবং সাহাবিদের কথা :

১। “রাগ মানুষের ঈমানকে নষ্ট করে, হিংসা মানুষের নেক আমল কে ধ্বংস করে, আর মিথ্যা মানুষের হায়াত কমিয়ে দেয় ।”
— বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

২। “তুমি জান্নাত চেয়েও না বরং তুমি দুনিয়াতে এমন কাজ করো যেন জান্নাত তোমাকে চায় । ”
— হযরত আলী (রাঃ)

৩। “পৃথিবীতে সবচাইতে কঠিন কাজ হলো নিজে সংশোধন হওয়া, আর সবচাইতে সহজ কাজ হলো অন্যের সমালোচনা করা ।”
— হযরত আলী (রাঃ)

৪। “যে মেয়ে মাথায় কাপড় ছাড়া চলবে, কিয়ামতের দিন তার এক একটা চুল সাপ হয়ে তাকে কামড়াবে ।”
— আল হাদিস

৫। “মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অক্ষম ঐ ব্যক্তি, যে ব্যক্তি দোয়া করিতে অক্ষম অর্থাৎ দোয়া করে না ।”
— হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

৬। “ধ্বংস তার জন্য, যার আজকের দিনটা গতকালের চেয়ে উত্তম হলো না ।”
— আল কোরআন

Read more:>>> জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস

৭। “যদি মনে হয় তুমি সব হারিয়ে ফেলেছো, তবে মনে রেখো গাছেরাও তাদের পাতা হারায় প্রতিবছর, তবুও দাঁড়িয়ে থাকে আগামীর শুভ দিনের অপেক্ষায় ।”

৮। “যে বিয়েতে খরচ কম এবং সহজ হয়, সে বিয়ে বরকতময় হয় ।”
— মিশকাত ২৬৭

৯। “রাগকে মনে জায়গা দিলে সম্পর্ক নষ্ট হয়, অভিমানকে মনে পুষে রাখলে দূরত্বের সৃষ্টি হয় , কিন্তু সব ভুলে ক্ষমা করে দিলে প্রতিটি সম্পর্ক স্থায়ী হয় ।”

১০। “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, হারানো সন্তান খুঁজে পেলে মা যেমন খুশি হয় , তেমনি আল্লাহর পাপী বান্দা তওবা করলে, আল্লাহ তার চেয়ে বেশি খুশি হন ।”
— আল হাদিস

১১। “মানুষ যদি মৃত ব্যাক্তির আর্তনাদ দেখতে এবং শুনতে পেত, তাহলে মানুষ মৃত ব্যক্তির জন্য কান্না না করে নিজের জন্য কান্না করত ।”
— হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

১২। “মানুষের মনে এমন ভাবে নিজের জন্য জায়গা করে নাও, যেন তুমি মরে গেলে তোমার জন্য তারা দোয়া করে , আর বেঁচে থাকে তোমাকে ভালোবাসে।”
— হযরত আলী (রাঃ)

১৩। “মুসলমান যখন মসজিদের দিকে রওনা হয় সে তার ঘরে ফিরে আসা পর্যন্ত তার প্রতি কদমে আল্লাহ একটি নেকি দান করেন এবং একটি করে গুনাহ মোচন করেন ।”
— বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

১৪। “মৃত্যুর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকো, কারণ মৃত্যুর দূত তোমার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে, তার ডাক দেবার পর আর প্রস্তুত হবার সময় থাকেনা ।”
— হযরত আলী (রাঃ)

১৫। “কেয়ামতের দিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকটতম ব্যক্তি হবে সেই, যে তার প্রতি অধিক পরিমাণে দুরুদ পাঠ করেছেন ।”
— তিরমিজি

১৬। “যে ব্যক্তি কোন বিপদে পড়ে বলবে, হে আল্লাহ আমাকে আমার বিপদের প্রতিদান দিন এবং আমাকে এর চেয়ে উত্তম কিছু দান করুন । আল্লাহ তাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন ।”
— সহিঃ মুসলিম ২১৬৫

১৭। “একটি মশার ভয়ে যদি আপনি মসারীর ভিতরে ঢুকতে পারেন, তাহলে দোযখের আগুনের ভয়ে কেন মসজিদে যেতে পারবেন না ।”

১৮। “যে ব্যক্তি রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে “সামি আল্লাহ হু-লিমান হামিদা” বলার পর “রাব্বানা লাকাল হামদ” বলে । মহান আল্লাহপাক ৩০ জন ফেরেশতা দারা তার জন্য সওয়াব লেখার প্রতিযোগিতা করায় ।”
— বুখারী শরীফ ৭৬৩

১৯। “যখন তুমি কোন রাস্তা দিয়ে যাও, তখন আল্লাহ্‌র নামে জিকির করো । কেননা ওই কঠিন হাশরের দিন সেই রাস্তাটি তোমার হয়ে তোমার জন্য সুপারিশ করবে ।”
— হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ)

আরো দেখুনঃ>>> ঈদ মোবারক স্ট্যাটাস

ইমোশনাল ইসলামিক স্ট্যাটাস :

কিছু ইমোশনাল ইসলামিক স্ট্যাটাস নিচে দেয়া হয়েছেঃ

১। মানুষ সব সময় মৃত্যু থেকে বাঁচার চেষ্টা করে, কিন্তূ জাহান্নাম থেকে নয়, অথচ মানুষ চাইলে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে পারে কিন্তু মৃত্যু থেকে নয় ।

২। ইমাম সাহেবের বেতন পরি’শোধ না করে
৩০ হাজার টাকা দিয়ে বক্তা এনে ওয়াজ করার মানে হলো ,
মাকে ভা’ত না দিয়ে
শা’শুড়িকে হজ্ব করানো মত।

৩। মাগো আমি শিখব না আর হাট্টিমা টিম টিম, কোরআন থেকে শিখব আমি আলিফ -লাম- মীম, ১ টা করে হরফে ১০ টা করে নেকী, চল সবাই আজ থেকে কোরআন হাদীস শিখি

৪। কিসের আমার বাহাদুরী কিসের অহংকার দম ফুরালে মাটির নিচে বন্ধ হবে দ্বার। এই দুনিয়ার আলো বাতাস লাগবে না আর গায় কে যাবে রে অচিন দেশে পাল তোলা এই নায়। তুমি যাবে আমি যাবো যাবে প্রিয়জন আসা যাওয়া চলছে খেলা থাকবে পড়ে ধন।।

৫। অবুঝ শিশুরা যেমন কেঁদে কেঁদে সমস্ত সমস্যার সমাধান করে তার মায়ের কাছে, ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের উচিৎ আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে সব সমস্যার সমাধান করে নেওয়া।

৬। দেখতে চাই স্বপ্ন , থাকতে চাই মগ্ন। হতে চাই কবি, লিখব আমি সবি। বাসতে চাই ভালো, জ্বালাতে চাই ইসলামের আলো।

৭। মাটির দেহ নিয়ে কখনও করিওনা বরাই, দুচোখ বন্দ হলে দেখবে পাশে কেউ নাই। যাকে তুমি আপন ভাবো সে হবে পর, আপন হবে নামাজ,রোজা অন্ধাকার কবর।

৮। দুনিয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করা অন্তর হলো অন্ধকারাচ্ছন্ন, আখিরাত নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করা অন্তর হলো আলোকিত।

৯। সোনার গাছে হিরার পাতা।।। ভুলিও না আল্লাহর কথা।।। টাকা পয়সা কতকাল।।। জান্নাতে রবে চিরকাল।।। সাগরের মাঝখানে এক বুক পানি।।।আমার রব আল্লাহু ই জানি।।।।।

১০। কারো কাছ থেকে কিছু পেতে হলে যেমন তার সাথে সম্পর্ক ভাল রাখতে হয়। ঠিক তেমন আল্লাহর কাছ থেকে কিছু পেতে হলে, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ভাল রাখতে হবে!!!

১১। পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল অংকের নাম জীবন। যে সূত্রেই প্রয়োগ করা হোক না কেন, ফলাফল কিন্তু মৃত্যুই আসবে।।

১২। নামাজ সব সমস্যার সমধান।, নামাজ সব রোগের প্রধান ওষুধ।, নামাজ নিজে পড়ুন।।, অন্যকে পড়ার জন্য তাগিদদিন।, নামাজই আপনার আসলইনকাম।, নামাজ বেহেস্তের চাবি।

১৩। হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি তো জানেন আমরা যা কিছু গোপনে করি এবং যা কিছু প্রকাশ্য করি। আল্লাহর কাছে পৃথিবীতে ও আকাশে কোন কিছুই গোপন নয়।

১৪। যদি কাঁদতে চাও,তবে নামাজপড়ে আল্লাহরদরবারে কাঁদ, কারণতোমার চোখের পানিরমূল্য কেউ না দিলেও,আল্লাহ তোমারপ্রতি ফোঁটা অশ্রুরঅনেক মূল্য দেবেন।

১৫। ভবিষ্যতে সবকিছু অনিশ্চিতহলেও,নিজের মৃত্যু নিশ্চিত।।!!

১৬। আলিম হব,জাহিল থাকবনা। দাড়ি রাখব,মিছা কথা বলব না। মিছামিছি হাসবনা, ঈমান ঠিক রাখব।মসজিদ আবাদ করব,জলে উঠুন ঈমানি শক্তিতে।

১৭। মুসলিম আমার নাম! কুরআন আমার জান! নামাজ আমার গাড়ি! জান্নাত আমার বাড়ী! আল্লাহ্ আমার রব!নবী আমার সব! ইসলাম আমার ধর্ম! এবাদত আমার কর্ম!

১৮। যাকে ভয় করি।।!!তার নাম হাশর।।।!!!যাকে বিশ্বাস করি।।!!তার নাম কুরআন।।।!!!যার কাছে আমি ঋণী।।!!তার নাম মা।।।!!!যাঁকে নেতা মানি।।।!!তিনি হলেন রাসূল(স)।।।!!যার কাছে মাথা নতকরি।।!!তিনি হলেন আল্লাহ!!!

১৯। যেই মন তোমাকে ঘর থেকে মসজিদে নিতে পারে না সেই মন তোমাকে কি করে কবর হতে জান্নাতে নিবে বল।

২০। লোক আসবে দেখতে আমায়,দেখবে আমার লাশ,কেউ খুড়বে কবর আর কেউ কাটবে বাঁশ,কেউ করাবে গোসল,কেউ করবে দাফন।নবী ছাড়া সেদিন আমার কেউ হবে না আপন।।।

২১। আল্লাহ বলেছেন যে ব্যক্তি আমার ভয়ে ১ ফোটা চোখের পানি ফেলবে আমি আল্লাহ তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবো।

২২। ওজু করার পর আকাশের দিকে তাকিয়ে কালিমাশাহাদাত পাঠ করিলে ৪৯ কোটি নেকি আমল নামায় লেখা হয়।

২৩। আল্লাহকে বলোI MISS YOU=নামাযকে বলোI BELEIVE YOU=কুরআনকে বলI TRUST YOU=রাসুলকে বলI LIKE MUST=ইসলামকে বলI HATE YOU= শয়তানকে বলI DONT CARE=দুনিয়াকে বল

২৪। রাত সুন্দর হয়চাঁদ থাকলে== দিন সুন্দর সুর্য উঠলে== আকাশ সুন্দরতাঁরা জ্বললে== বাগান সুন্দর ফুল ফুটলে== সাগর সুন্দরঢেউ উঠলে== পাহাড় সুন্দরঝর্ণা থাকলে== জীবন সুন্দর৫ ওয়াক্ত নামাযপড়লে

Islamic status bangla :

নতুন কিছু ইসলামিক স্ট্যাটাস (Islamic status Bangla) পেতে নিচে দেখুনঃ

১। নিশ্চই নিজের সন্তানকে উত্তম ব্যবহার শেখানো, গরিবকে শস্য দান করার চেয়েও উত্তম
– মুসলিম

২। যখন এমন কাউকে দেখবে যাকে তোমার চেয়ে বেশি সম্পদ ও সৌন্দর্য দেয়া হয়েছে, (তখন আফসোস করার বদলে) এমন মানুষের দিকে তাকাও যাকে কম দেয়া হয়েছে
– মুসলিম

৩। দয়া বিশ্বাসীর একটি চিহ্ন; যার দয়া নেই, তার মাঝে বিশ্বাস (ঈমান) নেই
– মুসলিম

৪। সব সময়ে সত্য বল – এমনকি যদিও তা অন্যদের কাছে কঠিন ও অপছন্দনীয় হয়
– বায়হাকী

৫। তুমি তোমার হৃদয়কে সকাল থেকে রাত, ও রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অন্যের ওপর হিংসা করা থেকে বিরত রাখো। – হে আমার উম্মত, এটি আমার আইনগুলোর একটি, এবং যে আমার আইনকে ভালোবাসে- সে আমাকেও অত্যন্ত ভালোবাসে
– বুখারী

৬। যারা তাঁর সৃষ্টির ওপর দয়া করবে না, আল্লাহ্‌ও তাদের ওপর দয়া করবেন না
– আবু দাউদ ও তিরমিযী

৭। আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিকূলকে সৃষ্টি করার পর তাঁর আরশের ওপর লিখেছিলেন: নিশ্চই আমার দয়া আমার ক্রোধকে প্রশমিত করবে
– বুখারী ও মুসলিম

৮। তুমি যদি পূর্ণভাবে আল্লাহর ওপর ভরসা করো, যেমনটা করা উচিৎ, তাহলে তিনি অবশ্যই তোমার সব প্রয়োজন পূরণ করবেন, যেমনটা তিনি পাখিদের জন্য করেন। তারা ক্ষুধার্ত হয়ে বাসা থেকে বের হয়, কিন্তু ভরা পেট নিয়ে নীড়ে ফেরে
– তিরমিযী

৯। কোন কাজগুলো সর্বোত্তম? – মানুষের মনে খুশির সৃষ্টি করা, ক্ষুধার্তকে খাবার দেয়া, পঙ্গু ও অসুস্থদের সাহায্য করা, দু:খীদের দু:খকে হাল্কা করা, এবং আহতের যন্ত্রণাকে লাঘব করা
– বুখারী

১০। সব ধরনের দাগ দূর করার জন্য কিছু না কিছু আছে; মনের দাগ দূর করার জন্য আছে আল্লাহ্‌র স্মরণ
– বুখারী

১১। একজন মুসলিম যদি গাছ লাগায়, অথবা জমি চাষ করে – যেখান থেকে পশু ও পাখিরা খেতে পারে – তাহলে সে একটি সদকা করল
– মুসলিম

১২। এক ব্যক্তি রাসুল (স:) কে এসে বলল, আমাকে এমন কিছু শেখান যাতে আমি সুন্দর ভাবে জীবন কাটাতে পারি। কিন্তু এমন কঠিন কিছু নয়, যা আমি ভুলে যেতে পারি। রাসুল (স:) বল্লেন: রাগ করো না
– আল হাদিস

১৩। অর্ধেকটা খেজুর দান করেও তোমরা নিজেদের জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে পারো। যদি তা-ও না থাকে, তবে সুন্দর করে কথা বলো
– বুখারী

ইসলামিক ছোট স্ট্যাটাস :

হাদিস থেকে আরো কিছু ইসলামিক ছোট স্ট্যাটাস এখানে পাবেনঃ

1. তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম মানুষ তারাই,যাদের আচার আচরণ সবচেয়ে ভালো
– বুখারী

2. প্রতিটি মানুষ তার কাজের সেই ফলই পাবে,যা সে নিয়্যত করেছে।
– বুখারী

3. কুরআনকে আঁকড়ে ধরলে কখনো বিপথগামী হবেনা।
– মিশকাত

4. যে জ্ঞান অর্জনের খোঁজে বের হয় , সে আল্লাহর পথে বের হয়।
– তিরমিযী

5. অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলা সবচেয়ে বড় জিহাদ।
– তিরমিযী

6. আল্লাহর পথে একটি সকাল কিংবা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে উত্তম।
– বুখারী

7. যে পবিত্র থাকতে চায় , তাকে আল্লাহ পবিত্র রাখেন।
– সহীহ বুখারী

8. যার দুটি দিন একই রকম কাটলো, সে ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
– আল হাদিস

9. তোমরা একে অন্যের প্রতি হিংসা করোনা , ঘৃণা বিদ্বেষ করোনা এবং একে অপরের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়োনা
– মুসলিম

10. তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম, যে তার পরিবার পরিজনের কাছে উত্তম।
– ইবনে মাজাহ

11. আল্লাহ ততোক্ষণ বান্দাহর সাহায্য করেন, যতোক্ষণ সে তার ভাইকে সহযোগীতা করে।
– সহীহ মুসলিম

12. কোন মানুষটি আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়? – যার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র অন্য সৃষ্টিকূল উপকৃত হয়
– বুখারী

13. আল্লাহ্‌ আমার কাছে এই কথা প্রকাশ করেছেন যে, তোমাদের অবশ্যই বিনয়ী হতে হবে। কেউ কারও ওপর অহংকার করবে না, এবং কেউ কারও ওপর অত্যাচার করবে না
– মুসলিম

14. একবার এক লোক রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময়ে রাস্তার ওপর কষ্টদায়ক কাঁটা যুক্ত একটি ডাল পড়ে থাকতে দেখল। লোকটি কষ্টদায়ক বস্তুটি রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলল। আল্লাহ তাকে ধন্যবাদ দিলেন, এবং তার সব অপরাধ ক্ষমা করে দিলেন
– বুখারী

15. অতিরিক্ত সম্পদের বোঝা কাঁধে নিয়ে সত্যিকার সুখের পথে হাঁটা মানুষের জন্য কঠিন
– মুসলিম

ইসলামিক পোস্ট :

1.আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল আউয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়া।

2. ভোরে যে নামাজ পড়তে যায় তার হাতে ঈমানের পতাকা থাকে।

3. জোহরের আগে চার রাকাত নামাজ তাহাজ্জুদের চার রাকাতের সমতুল্য।

4. মানুষ যখন নামাজে দাড়ায় তখন আল্লাহর রহমত তার দিকে রুজু হয়।

5. মধ্য রাতের নামাজ শ্রেষ্ঠতর নামাজ, কিন্তু কমসংখ্যক লোকই তা আদায় করে থাকে।

6. রাতের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়ার সবকিছু থেকে উত্তম। তা আদায় করা কষ্টকর না হলে আমি তা উম্মতের উপর ফরজ করে দিতাম।

7. অবুঝ শিশুরা যেমন কেঁদে কেঁদে সমস্ত সমস্যার সমাধান করে তার মায়ের কাছে, ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের উচিৎ আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে সব সমস্যার সমাধান করে নেওয়া।

8. জীবন সাজাই নামায দিয়ে, মন সাজাই ঈমান দিয়ে, শরীর সাজাই নবীর সুন্নত দিয়ে, আর বন্ধু বানাই ইসলামের দাওয়াত দিয়ে..!

9. নামাজ পড় মুসলিম বোন ও ভাই,নামজ ছারা দুনিয়াতে শান্তি নাই। নামাজের কথা রেখো স্মরন,নামজ দিয়ে সাজাও জীবন। নামাজ ছেরে করোনা ভুল,নামাজ হল ইবাদতের মূল..

10. তাহাজ্জুদের নামাজ অবশ্যই পড়বে। কারণ তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া নেক বান্দাদের তরীকা আর আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার কারণ। তাহাজ্জুদ গোনাহ থেকে বিরত রাখে। তা কৃত অন্যায় থেকে ক্ষমা পাওয়ার উপায়। এ দ্বারা দেহের সুস্থতাও লাভ করা যায়।

11. আমার কাছে হজরত জিবরাইল (আ:) এসে বললেন, হে মোহাম্মদ (সা:)! যতদিন আপনি বেচে থাকুন না কেন, একদিন আপনাকে মৃত্যু বরণ করতেই হবে, আর যাকেই ইচ্ছা ভালবাসুন না কেন, একদিন তার কাছ থেকে পৃথক হতেই হবে আর ভাল খারাপ যে আমলই করুন না কেন তার প্রতিদান অবশ্যই পাবেন। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, মোমেনের শারাফত ও বুজুর্গী তাহাজ্জুদের মধ্যে।

শেষ কথা :

প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের এই ইসলামিক স্ট্যাটাস ও পোস্ট গুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগলো ? তা আমাদের জানাতে পারেন নিচে কমেন্ট করে । আমরা এই ইমোশনাল পোস্টে আর নতুন নতুন স্ট্যাটাস যোগ করবো । তাই আমাদের সাথেই থাকুন আর আমাদের সাইট ভিজিট করুন । বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন । আর এই ইসলামিক পোস্ট গুলো দিতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়েছে, তাই মন থেকে আমাদের জন্য দোয়া করবেন । ধন্যবাদ ।