আল কুরআন নিয়ে উক্তি (Bangla Quotes about Quran): পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহ তায়ালার বিধিনিষেধ সম্পর্কিত কথামালা। ইসলামের শেষনবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর সুদীর্ঘ ২৩ বছর ধরে প্রয়োজন অনুসারে এই কুরআন নাযিল হয়। এটি পৃথিবীর সমস্ত ধর্মীয় গ্রন্থের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট গ্রন্থ। তাই তো অসংখ্য বেধর্মীরাও কুরআনের প্রেমে পড়ে বিভিন্ন উক্তি করেছেন। আর আমাদের আজকের আয়োজনে থাকছে পবিত্র আল কুরআন নিয়ে উক্তি। আশা করছি এসব বাণী পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আল কুরআন নিয়ে উক্তি বাণী হাদিস আয়াত :
বিশুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করো। – সূরা মুজ্জাম্মিলঃ ৪।
কোরআনের বিধানবলী স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ। – আর্নল্ড টয়েনবি
কুরআন মাজিদ একটি শিক্ষণীয় গ্রন্থ, এটা কোনো মৃত বিবেকের জন্য নয়। – সংগৃহীত।
মহাগ্রন্থ আল কুরআন লাওহে মাহফুজে লিপিবদ্ধ। – সূরা বুরুজঃ ২১
আল কুরআন অন্তরের ব্যাধির সুস্থতা দান করে। – সূরা ইউনুসঃ ৫৭।
জীবনের প্রতিটি শাখায় কার্যকরী বিধান কুরআনে গচ্ছিত রয়েছে। – গিবন
যার অন্তরে কোরআন নেই, সে যেন পরিত্যক্ত বাড়ির মতো। – তিরমিজি।
আমিই এই কুরআন নাজিল করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষণকারী। – আল কুরআন।
রমজানের সবচেয়ে বিস্ময়কর নেয়ামত হচ্ছে আল কোরআন। – সংগৃহীত।
পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন তেলাওয়াত করা সর্বোত্তম ইবাদত। – বুখারি।
তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়। – মুহাম্মদ (সাঃ)।
অবশ্যই এই কোরআন আমিই অবতীর্ণ করেছি আর নিঃসন্দেহে এর রক্ষার দায়িত্ব আমারই। – সূরা হিজরঃ ৯।
কুরআন হলো একটা নির্দেশিত গ্রন্থ, যারা এটার অবমাননা করে তাদের জন্য এটা মোটেও না। – সংগৃহীত।
আল্লাহ কোরআন শেখানোর উদ্দেশ্যে মানব সৃষ্টি করলেন এবং তাকে ভাব প্রকাশ করা শেখালেন। – সূরা আর রহমানঃ১-৪।
আমি কুরআনে এমন কিছু আয়াত নাযিল করেছি, যার মাধ্যমে মুমিনদের রোগমুক্তি ও শান্তি অর্জিত হয়। – সূরা ইসরাঃ ৮২।
কুরআন আল্লাহর অদ্বিতীয়ত্বের গৌরবময় সাক্ষ্য। – এডওয়ার্ড গিবন (বই-দি ডিক্লাইন অ্যান্ড ফল অব রোমান এম্পায়ার)।
কুরআন গরীবের বন্ধু ও কল্যাণকামী। ধনীদের বাড়াবাড়িকে কোরআন সর্বক্ষেত্রেই নিন্দা করেছে। – গর্ড ফ্রে হগনস।
যখন তাদের প্রতি (মুমিনদের) কোরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন তা তাদের ঈমান বাড়িয়ে দেয়। – সূরা আনফালঃ২।
যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করবে, সে একটি নেকি পাবে, আর একটি নেকি দশটি নেকির সমতুল্য। – মুসনাদে আহমাদ।
আমি প্রশংসা করি আমার সৃষ্টিকর্তার এবং আমার শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে পবিত্র নবী ও পবিত্র কুরআনের প্রতি। – নেপোলিয়ান বোনাপার্ট।
কোরআন বুঝে পড়লেও সওয়াব, না বুঝে পড়লেও সওয়াব, পড়া শুনলেও সওয়াব। আর কুরআনকে আকঁড়ে ধরলে সে কখনো বিপথগামী হবে না। – মিশকাত।
আল কোরআন সম্পর্কিত আরো কিছু কথা :
আর আমি কুরআনকে খণ্ডাকারে নাজিল করেছি যাতে করে আপনি এটা লোকেদেরকে বিরতি সহকারে পাঠ করে শোনাতে পারেন। – সূরা ইসরাঃ ১০৬
কুরআন কখনো মুহাম্মদের নিজ মনের রচনা নয়। এটা আল্লাহ কর্তৃক তার নিকট নাযিল হয়েছে। – প্রফেসর এলভি ভিজিলিয়েনের।
বেদ পুরানের যুগ চলে গেছে, এখন বিশ্ব পরিচালনার জন্য পবিত্র কুরআনই একমাত্র গ্রন্থ। – শিখ ধর্মীয় নেতা গুরু নানক।
মুহাম্মদের এ দাবী আমি মনেপ্রাণে স্বীকার করি যে কুরআন মুহাম্মদ (সাঃ) এর একটি সর্বকালীন শ্রেষ্ঠ মোজেযা। – মিঃ বোরথ সমুখ।
যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তা শোন এবং মনোযোগ দাও যাতে তোমাদের উপর রহমত বর্ষিত হয়। – সূরা আরাফঃ২০৪।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কুরআন তেলাওয়াত করতেন প্রতিটি হরফ স্পষ্ট উচ্চারণ করে এবং প্রতিটি আয়াতে বা বাক্যে থেমে থেমে। – তিরমিজি।
যখন আপনি কুরআন তেলাওয়াত করেন তখন মনে করবেন আপনি আল্লাহর সাথে কথা বলছেন করছেন এবং তিনি সরাসরি আপনাকে বলছেন। – ইমাম ইবনুল কাইয়ুম।
দ্বীন ও দুনিয়া একসাথে অর্জন করতে চাইলে কুরআন ও সুন্নাহ্ ব্যতীত অন্য কোনো পথ নেই। যদিও মনে হবে দুনিয়া অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। – ড. বিলাল ফিলিপ্স।
নিঃসন্দেহে কুরআন আরবি ভাষায় সর্বোত্তম এবং বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ। কোনো মানুষের পক্ষেই এ ধরনের একটি অলৌকিক গ্রন্থ রচনা করা হয়নি। – জর্জ সেল।
এরা কি লক্ষ করে না কুরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারো পক্ষ থেকে হতো, তবে এতে অবশ্যই বহু বিরুদ্ধতা দেখতে পেত।। – সূরা নিসা, আয়াত-৮।
যে ব্যক্তি কোরআন অধ্যয়নে মগ্ন থাকায় (অতিরিক্ত) জিকর ও দোয়ার সময় পায় না। আমি তাকে দোয়া প্রার্থীদের চেয়েও অধিক দিয়ে থাকি। – তিরমিজি।
আমি এই কুরআনে মানুষকে বিভিন্ন উপকারের মাধ্যমে সব রকম বিষয়বস্তু বুঝিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ লোকই অস্বীকার না করে থাকেনি। – সূরা কাহফঃ৫৪।
নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা কোরআনের কারণে বহু জাতিকে মর্যাদা দিবেন আবার এই কোরআনের জন্যই( কোরআনকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে) কোনো কোনো জাতিকে ধ্বংস করে দিবেন। – মুসলিম।
বিশ্বের মানবমণ্ডলী নিজেরা পুরোপুরি অনুসন্ধান চালিয়ে দেখুক। পড়ুক তারা পবিত্র আল কুরআন। আর বুঝতে চেষ্টা করতে থাকুক, তখন তারা পেতে পারে সেই শান্তি, সবাই যার অনুসন্ধান করছে। – ডেভিড উয়োহার্টি (গ্রন্থঃ দ্য স্পিরিট অব দ্য ইস্ট)।
কুরআনের সকল বিধানাবলি রাজা-বাদশা থেকে শুরু করে কুটিরে বসবাসকারী পর্যন্ত সবার জন্যই সমান উপযোগী ও কল্যাণকর। বিশ্বের অন্য কোনো ব্যবস্থায় এর বিকল্প খুঁজে পাওয়া একেবারেই অসম্ভব। – পণ্ডিত স্যার ডায়মন্ডবার্স।
তেরশত বছর পরেও কোরআনের শিক্ষাসমূহ এতই জীবন্ত যে আজও একজন ঝাড়ুদার মুসলমান হয়ে (কোরআনের প্রতি ঈমান এনে) যে কোনো খান্দানী মুসলিমদের সাথে সমতার দাবী করতে পারে। – ভুপেনন্দ্রেনাথ বোস।
কেবল কুরআনই এমন একটি গ্রন্থ যাতে এক হাজার ৩০০ বছরের ব্যবধানেও কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। ইহুদি ও খ্রিষ্টান ধর্মের এমন কোনো নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ নেই, যা আদৌ কোনো দিক থেকে কুরআনের সমকক্ষ হতে পারে। – বিখ্যাত খ্রিষ্টান ঐতিহাসিক বাডল।
যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করল, তা অনুধাবন করল, এর হালালকে হালাল জানল এবং হারামকে হারাম জ্ঞান করল। আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার স্বজনদের এমন দশজনকে শাফায়াত করে জান্নাতে নেওয়ার সুযোগ দেবেন, যাদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল।’ (বায়হাকি)।
মহান আল্লাহ প্রদত্ত আল কোরআন মানুষের বিভিন্ন ধরনের জীবন সমস্যা সমাধানে পরিপূর্ণ গ্রন্থ। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত যেকোনো সমস্যা সমাধানে কুরআনের বিধিমালা মেনে চলা। সেইসাথে আজকের কুরআন সম্পর্কিত উক্তি বা বাণী ভালো লাগলে তা বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।