মধুর উপকারিতা ও ঔষধি গুন

মধুর উপকারিতা ও ঔষধি গুন: বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য মধু ব্যবহার হয়ে আসছে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে।মধুর গুনাগুন বর্তমানে কোন বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত। তেমনি সকল ধর্মীয় শাস্ত্রমতে মধু একটি উপকারী এবং রোগ নিরাময়ের পথ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শিশু জন্মের পরে তার মুখে মধু দেওয়ার রীতি বাঙালি সমাজে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এর ফলে শিশুর ব্যবহার সুন্দর হবে বলে আশা করা হয়। কিন্তু এই বিষয়টির ভিত্তি বৈজ্ঞানিক ভাবে না থাকলেও মূলত মধুর গুনাগুন এবং এর সু-মিষ্টি স্বাদের জন্য এই রীতির প্রচলন হয়।

মধুর উপকারিতা ও ঔষধি গুন

আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হলো মধুর গুনাগুন এবং এর উপকারিতা। আমরা মধুর গুনাগুন এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ও মধু আমাদের শরীরে কি কি উপকার করে এবং মধুতে কোন কোন পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইত্যাদি ।মধুর উপকারিতা

মধু-তে যে সকল ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলো-
মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি১ , ভিটামিন বি২ , ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৬, এছাড়াও রয়েছে জিংক, কপার ও আয়োডিন এর মত উপাদান। এছাড়াও মধুতে রয়েছে ৪৫ টি খাদ্য উপাদান। মন্টোজ , সুকরোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোজ ছাড়াও রয়েছে এমাইনো এসিড লবণ ও এন কাইম। তবে উল্লেখ্য যে ২৮৮ ক্যালোরি পাওয়া যায় ১০০ গ্রাম মধু থেকে এবং মধুতে কোন চর্বি বা প্রোটিন নেই। এবং সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে মধুতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের শরীরের বাহিরে এবং অভ্যান্তরে জীবাণুর বিস্তার প্রতিরোধ করে।

Read More  মেথির উপকারিতা এবং ঔষধি গুন

মধুতে যে সকল উপাদান রয়েছে তা জানতে পারলাম। আসুন মধু খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেই:

সর্দি কাশি এবং গলা ভাঙ্গায় মধু– সর্দি কাশি এবং গলা ভাঙ্গার মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে। সাধারণ সর্দি , কাশি এবং স্বরভঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে মধুর ব্যবহার খুবই উপকারী। চায়ের সঙ্গে মধু খেতে পারেন সাথে একটু আদার রস । এক্ষেত্রে মিশ্রণটিতে সমপরিমাণ মধু এবং আদার রস মিশাবেন (1 চামচ করে) এটি সর্দি এবং শ্লেষার জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও কাশির ক্ষেত্রে বাসক পাতার রসের সাথে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে দাড়ুন উপকার পাওয়া যায়। এবং সৈন্ধব লবণ, আমলকী, পিপুল, মরিচ ইত্যাদির সঙ্গে সমান পরিমানো মধু মিশিয়ে এক চা চামচ করে খেলে কফ ও স্বর ভাঙ্গা ভালো হয়।

কাটা ছেঁড়ায় মধুর ব্যাবহার– অনেক সময়ই আমাদের বিভিন্ন ভাবে হাত পা কেটে যাওয়া ও ছুঁড়ে যাওয়া মত ঘটনা ঘটে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় এন্টিসেপটিক সকল সময় বাসায় থাকেনা। এক্ষেত্রে ঘড়ে যদি মধু থাকে তা এন্টিবায়োটিকের বদলে ব্যাবহার করতে পারেন। কারন মধুতে রয়েছে দাড়ুন এন্টিসেপটিক গুনাগুন।

Read More  Benefits of life insurance

রূপচর্চার কাজে মধু– রূপচর্চার ক্ষেত্রেও মধু ব্যাবহার করতে পারেন।ত্বকের লাবন্য বৃদ্ধি, ব্রোনের মত সমস্যা দুর করতে, বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি ক্ষেত্রে মধুর মত প্রাকৃতিক উপাদান দ্বিতীয় পাবেন না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে– রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মধুর জুরি মেলা ভার।কারন মধুতে একদিকে যেমন রয়েছে ৪৫ টি পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন। ঠিক তেমনি রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল গুনাগুন।মধুর এন্টিব্যাকটেরিয়াল গুন এতটাই প্রখর যে, যে কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া মধুর মধ্যে ১ ঘন্টার বেশি টিকে থাকতে পারেনা।

স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে মধু – স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতেও মধু খেতে পারেন।নিয়মিত মধু সেবনে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।

মেদ বা চর্বি কমানোর জন্য – মেদ বা অতিরিক্ত চর্বি বর্তমান সময় সকল মানুষের প্রধান দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। সকাল বেলা খালি পেটে মধু এবং লেবুর রস মিশ্রণ পানি পান করলে খুব দ্রুত চর্বি কমানো সম্ভব।

মধু-কে এক কথায় বলা যায় সর্ব রোগের মহা ঔষধ। এ কারনেই আমাদের সকলেন নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *