আজ আমরা এখানে ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস ও মেসেজ নিয়ে আলোচনা করবো । ছেলেদের জীবনে অনেক ধরণের কষ্ট থাকে । যেগুলো কেউ কোন দিন বলে না । যার কারনে অনেকেই ছেলেদের কষ্ট গুলো বুঝতে পারে না । সংসারের অনেকেই ছেলেদের কে ভুল বুঝে । তার একমাত্র কারণ কেউ ছেলেদের কষ্ট গুলো বুঝতে চায় না । আসুন আমরা আজ এখানে ছেলেদের নিয়ে লেখা গুলো পড়ে দেখি । পড়ার পর কেমন লাগলো, তা আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন ।
ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস ও মেসেজ :
ছেলেরা খুব সহজে কান্না করে না, যদি না কস্টটা পাহাড় সম হয় ।
ছেলেরা কখনো একজনকে নিয়ে চিন্তা করে না, তাদের মাথায় থাকে ৪ নারী । মা, বোন, স্ত্রী ও কন্যা ।
হাজার কস্টের মাঝেও ছেলেরা দায়িত্ব নিতে জানে । কারণ এটাই তাদের বৈশিষ্ট্য ।
ছেলেদের মন খারাপ বলতে কিছু নেই। তাদের থাকে অভাব। হয় টাকার, নয়তো ভালোবাসার।
বেশীর ভাগ ছেলেরাই সংসারে সবার কথা ভাবে, সবাইকে ভালো রাখতে চেষ্টা করে ।
ছেলেদের কান্নায় কখনও ছলনা থাকে না । তাদের কান্নাই প্রকৃত বাস্তবতা ।
ছেলেরা কখনই টাকা বা খাবার এর জন্য নষ্ট হয় না, তাঁরা নষ্ট হয় অযত্ন আর অবহেলায় ।
বাস্তবতার কঠিন রূপ একমাত্র মধ্যবিত্তের ছেলেরাই দেখতে পায় ।
ছেলেদের ভালোবাসায় কোন অভিনয় থাকে না, যাকে ভালোবাসে মন থেকেই তাকে পেতে চায় ।
প্রেমের জন্য ছেলেরাই সবচেয়ে বড় নিদর্শন গুলো রেখে গিয়েছে ।
পরিবারকে ভালো রাখতে ছেলেরা সব কঠিন কাজকেই বরণ করে নেয় ।
ছেলেরাই নিজেকে বাজি রেখে পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখে ।
ছেলেরা কখনই নিজের কথা ভাবে না, সংসারের সবার কথা তাদের ভাবায় ।
সংসারের বড় ছেলেরা যে পরিমান ত্যাগ করে সে পরিমান ত্যাগ আর কেউ করে না ।
একটি পরিবারে বড় ছেলের অবদান সবচেয়ে বেশী থাকে ।
একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে বাস্তবতা যতটা উপলব্ধি করে তা আর কেউ করে না ।
যে পরিবারে বাবা থাকে না, সে পরিবারের বড় ছেলেই সব দায়িত্ব কাঁদে নিতে হয় ।
একজন ছেলেই কেবল তার সব সুখ বিসর্জন দিয়ে পরিবারকে সুখে রাখতে পারে ।
নিজের পরিবারকে সুখে রাখার জন্য একজন পুরুষ প্রায় সব কাজই করতে পারে ।
ছেলেদের ইমোশনাল স্ট্যাটাস :
প্রিয় বন্ধুরা আমরা এখানে আরো ২০ টি ছেলেদের ইমোশনাল স্ট্যাটাস দিয়েছি । এই ছেলেদের ইমোশনাল স্ট্যাটাস গুলো যদি আপনি পড়ে দেখেন, তাহলে একটু হলেও ছেলেদের কষ্ট নিয়ে নতুন কিছু জানতে পারবেন । দেখুন তাহলে আমাদের লিখা এই ছেলেদের ইমোশনাল স্ট্যাটাস গুলো ।
১. একজন ছেলের আসলে কষ্ট হয় তার অভাবে, স্বভাবে নয়। হয়তো সেটা টাকার অভাব না হয় ভালোবাসার অভাব।
২. ছেলেরা কখনো মায়া কান্না করতে জানেনা। তাদের প্রতিটি অশ্রু জল ই প্রকৃত বাস্তবতা।
৩. নির্ঘুম রাত আর একটা সিগারেট ই জানে, একজন ছেলের প্রকৃত অবস্থাটা কি। কতটা অসহায়ত্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সে।
৪. প্রাণোচ্ছল কিশোর ছেলেটাও একসময়, দায়িত্বের বোঝা মাথায় নিয়ে চুপচাপ হয়ে যায়। তার সুন্দর হাসিটা এক সময় মিলিয়ে যায়।
৫. আজকে যে ছেলেটা সফল ব্যক্তি হয়ে সবার মন জয় করে নিয়েছে, আপনি আমি হয়তো জানি না এই ছেলেটা কত স্বপ্ন মাটি চাপা দিয়ে এসেছে।
৬. প্রতিটি মধ্যবিত্ত ছেলেই জানে, জীবনটা যে রূপকথার গল্প নয়।
৭. কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, অনেক ছেলেকেই নিজের খুশিকে বিসর্জন দিতে হয়। তাইতো এক সময় প্রত্যেকটা ছেলে প্রচন্ড রকমের গম্ভীর হয়ে যায়।
৮. একজন ছেলে তখনই খুব কষ্ট হয়, যখন কেউ কাছে এসে তারপর দূরে সরে যায়।
৯. হয়তো চাকরির অভাবে কত ছেলে, তার ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেলে। যার চলে যায়, সেই বুঝে হায় বিচ্ছেদে কি যন্ত্রনা!
১০. যে ছেলেগুলো ছোটবেলা থেকেই কারো ভরসার প্রতীক হয়ে ওঠে, তারাই দিনশেষে পরাজিত সৈনিকের মত ডুকরে কেঁদে মরে।
১১. সদ্য কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পা রাখা ছেলেটাও, প্রচন্ড উচ্ছ্বাস নিয়ে জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। অথচ শেষ পর্যন্ত কত স্বপ্নকেই গলা টিপে হত্যা করতে হয়।
১২. একজন ছেলের অর্থনৈতিক মানদন্ড ই তার পরিচয়। তার যত বেশি অর্থ, এই সমাজে সে তত বেশি সমাদৃত।
১৩. বয়স ত্রিশ পেরিয়ে গেলে, একজন ছেলের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা যায়। চেহারায় বয়সের বলিরেখার ছাপ পড়ে। আর অবশ্যই সেটা দুঃখের আঘাতে।
১৪. একজন ছেলে চাকরি পাওয়ার পরেই সে নিজের জন্য নয়, বরং বাবার জন্য নতুন চশমা কিনে, কেউ কিনে মায়ের জন্য নতুন শাড়ি।
১৫. প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ছেলেরাই দেবদাস হয়। খুব কম মেয়েরাই পার্বতী কিংবা চন্দ্রমুখী হতে পারে।
১৬. একজন ছেলে যখন বাবা হয়ে ওঠে, তখন তার শার্টটা আর পুরনো হয় না। এক জুতো দিয়ে সে কয়েক বছর পার করে দেয়।
১৭. একজন মা যখন সন্তান ধারণ করে তখন শুধুমাত্র সেই সন্তানের চিন্তা টুকুই করে। অথচ একজন ছেলে তখন বাবা হিসেবে পুরো সংসারের চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরে।
১৮. একজন ছেলে যখন বেকার থাকে। তখন সে আর আগের মতো আড্ডাবাজ হয় না, হাসি খুশি থাকেনা। খুব আর যন্ত্রণায় তার প্রতিটি মুহূর্ত কাটতে থাকে।
১৯. একজন ছেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিশ্চুপ বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে। হয়তো প্রিয়জনকে হারিয়ে, নয়তো চাকরি হারিয়ে, নয়তো ঋণের বোঝা কাধে নিয়ে।
২০. একজন ছেলে কখনোই হাউমাউ করে কাঁদে না। বরং তার কান্না হয় নিঃশব্দে, নিভৃতে। যাতে কেউ না দেখে, কেউ না বোঝে, কেউ না শোনে।
শেষ কিছু কথাঃ
এখানে আমরা শুধু মাত্র ছেলেদের কষ্টের কথা গুলোই বলেছি । তার মানে এই নয় যে মেয়েরা কোন কষ্ট করে না । জগত সংসারে ছেলেদের যেমন ত্যাগ আছে, তেমনি মেয়েদেরও আছে । আজ আমরা শুধু মাত্র ছেলের কথাই বললাম, কারণ আমাদের আজকের বিষয়ই হলো ছেলেদের নিয়ে । পরে অন্য কোন পোস্টে চেষ্টা করবো মেয়েদের কষ্টের কথা গুলো তুলে ধরতে । সে পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন । অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের এই লিখাটি মন দিয়ে পড়ার জন্য ।