পহেলা বৈশাখ রচনা
ভূমিকাঃ পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীর জাতীয় জীবনে একটি অন্যতম দিন। এই দিনে বাঙ্গালী জাতি দল-মত, ধনী-গরীব নির্বিশেষ উৎসবে মেতে উঠে। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাস সুপ্রাচীন।পহেলা বৈশাখ একসময় গ্রামীণ জীবনের অংশ থাকলেও বর্তমানে গ্রাম এবং শহর উভয়েই সমানভাবে পালিত হয়। কয়েকটি গ্রাম মিলে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। এছাড়াও ঢাকার রমনা বটমূলে পালিত হয় মনো মুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার।পান্তা ভাত এবং ইলিশ বাংলা নববর্ষের অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ। Read more: শীতের সকাল রচনা
পহেলা বৈশাখের ইতিহাসঃ পহেলা বৈশাখ ইতিহাস সম্পর্কে কারো কারো ধারনা পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ পালন শুরু হয় সপ্তম শতাব্দীর রাজা শশাঙ্কের সময় কাল থেকে। পরবর্তিতে মোঘল সম্রাট আকবর পরিবর্তিত করেন রাজস্ব আদায়ের কারনে। মোঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর থেকে সম্রাটরা হিজরি সাল মোতাবেক খাজনা আদায় করত। হিজরি সন চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল হওয়ার কারনে সম্রাটদের খাজনা আদার করার ব্যাঘাত ঘটতো। এর প্রধান কারন হলো তারা কৃষকের ফসল ওঠার পরে খাজনা আদায় করতো। কিন্তু ফসল ওঠা এবং হিজরি সালের তারতম্য ঘটার কারনে ঠিকভাবে খাজনা আদায়ের কাজে ব্যাঘাত ঘটতো। আর এ কারনেই সম্রাটরা তাদের জোতির্বিদদের দিয়ে বাংলা পঞ্জিকার প্রণয়ন করে। এবং এ সনের নাম দেওয়া হয় ফসলি সন। পরবর্তি কালে তা বঙ্গাব্দ নামকরন করা হয় এবং এ সন কার্যকর করা হয় ৫-ই নভেম্বর ১৫৫৬ সালে যখন সম্রাট আকবর সিংহাসন আরোহণ করেন। এ সনের প্রথম মাস বৈশাখ এবং বৈশাখের ১ তারিখ অর্থাৎ পহেলা তারিখে বিভিন্নি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এবং এর নাম দেওয়া হয় পহেলা বৈশাখ বা বর্ষবরণ।
পহেলা বৈশাখ যেভাবে উৎসবে পরিনত হলোঃ পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা বার্তা হলো “শুভ নববর্ষ” আধুনিক নববর্ষের নিদর্শন পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। এসময়ে ব্রিটিশদের জয়লাভ কামনা করে পূজা এবং হোম কির্তনের আয়োজন করা হয়। আর এর থেকেই আধুনিক নববর্ষ পালন শুরু হয়।
যেভাবে পালন করা হয়ঃ এই দিনে মানুষ নতুন জামা কাপড় পরে উৎসব উদযাপন করে।পহেলা বৈশাখ ও পান্তা ইলিশ একসাথে যেন গাথা। এই পহেলা বৈশাখের বিশেষত্ব হলো ইলিশ মাছ। পান্তা ইলিশ নববর্ষে ঐতিহ্য। এই দিনে ধনি গরিব সকলেই পান্তা ভাত ইলিশ খেয়ে থাকে।বাংলাদের বিভিন্ন স্থানে আনুষ্ঠানিকভাবেও পান্তা ইলিশের আয়োজন করা হয়। মূলত এ দিনটি পুরাতনকে ভুলে,পুরনো দুঃখ কষ্ট শোক ভু্লে নতুন বছরের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করাই হলো দিনটির বিশেষত্ব। বাংলাদেশে নববর্ষের অন্যতম অংশ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। নববর্ষের দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা।এটি বিভিন্ন প্রানির প্রতিকৃতি ও মুখোশ দিয়ে রং বেরংয়ের সাজে সজ্জিত হয় এই শোভাযাত্রা।
বৈশাখী মেলা: বাংলাদেশ উৎসবের দেশ। এদেশের নানা উৎসবের মধ্যে একটি উল্লেখযােগ্য উৎস হচ্ছে নববর্ষ উদযাপন বা পহেলা বৈশাখ। এ দিনে যে মেলা বসে তাকেই বলা হয় বৈশাখী মেলা। এই মেলা একদিনে শেষ হয়, আবার কোথাও কোথাও দু তিন বা তারও বেশি সময় ধরে চলে। নতুন বছরের আগমনে মানুষের মনে যে আনন্দ শিহরণ জাগে সে আনন্দ জাগরণের বহিঃপ্রকাশই বৈশাখী মেলা বা পহেলা বৈশাখ । এটি কোনাে বিশেষ ধৰ্মাৰ্চনার মেলা নয়। এটি বাঙালির প্রাণের মেলা। জাতি-ধর্ম, ছােট-বড় নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষ মনের টানে এ মেলায় আসে এবং আনন্দ উল্লাস করে। এই বৈশাখী মেলা কবে, কে, কেন চালু করেছিল তার হদিস পাওয়া যায় না। তবে এ মেলা যে এখন জাতীয় উৎসবে রূপ পেয়েছে, সার্বজনীনতা পেয়েছে এতে কোনাে সন্দেহ নেই।
উপসংহার : পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বা বৈশাখী মেলার আনন্দ অবর্ণনীয়। দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। আর এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে, এ উৎসবটি বাঙালির জাতীয় চিন্তা-চেতনা, কৃষ্টি-কালচারের এক বিশেষ দিক; যা ধর্ম-বর্ণ ও সকল সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে।
very nice paragraph.
nice paragraph
Well but some more points should be included. It may be 16 to 20 points. But overall it was good. Good wishes for Bangla Love SMS♥️♥️
very nice