শালিক পাখির ছবি

শালিক পাখির ছবি । আমাদের দেশের গ্রাম গঞ্জে এবং শহরে সবার পরিচিত একটি পাখির নাম শালিক। অন্য পাখির তুলনায় শালিক পাখির মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠতা একটু বেশিই বটে। কারন এরা মানুষের খুব কাছাকাছি থাকে। এবং এদের সাথে মানুষের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও রয়েছে। কারন শালিক পাখি মানুষের ন্যায় কথা বলাটা খুব সহজেই রপ্ত করতে পারে। যে ক্ষমতা অন্য পাখির মধ্যে খুবই কমই দেখা যায়। এ কারনে শালিক পাখি অনেক শখ করে পুষে থাকেন। এর আরেকটি কারন হলো এদের পোষ মানানোও খু্বই সহজ। এদের অনেকে ভাতশালিক বলেও ডাকে। পাখির ছবি

শালিক পাখি বাসা বাধে বেশিরভাগ কাছের কোঠরে।গাছের যেখানে ছোট আকৃতির ছিদ্র থাকে এবং ছিদ্রটি নিচের দিকে গভীর এমন স্থান হলো শালিকের জন্য উত্তম আবাস স্থল। এরা গাছে এই কোঠরের মধ্যে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে বাসাটি তাদের বাসযোগ্য করে তোলার জন্য। এসকল কিছুর মধ্যে প্রধান হলো গাছের পাতা,বাকল, কাগজ, পলিথিন ছাড়াও এরা বাসা বাধতে সাপের খোসাও ব্যাবহার করে। শালিক পাখি মূলত জোরায় জোরায় থাকে। এবং তাদের এই বাসায় তারা মার্চ এবং এপ্রিল মাসের দিকে ডিম পাড়ে ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। একজোড়া শালিকের একসাথে ২-৫ টি বাচ্চা হয়। মা শালিক তাদের খুব যত্নের সাথে বড় করে তোলে। বিভিন্ন স্থান হতে খাবার সংগ্রহ করে তা বাচ্চাদের খাওয়ার এবং বাচ্চা বড় হয়ে গেলে যখন উড়তে শিখে যায় তখন মা শালিক এর থেকে বাচ্চারা আলাদা হয়ে যায়।

Read More  শুভ সন্ধ্যা এসএমএস মেসেজ কবিতা

শালিক পাখির ছবি

শালিক পাখির ছবি

শালিক পাখির ছবি ১

শালিক পাখির পিক

শালিক পাখি

কালো শালিক

একটি শালিক সারাদিনে বিভিন্ন কাজ করে এর একটি সাধারণ গড় বিজ্ঞানীরা বের করেছে তা হলো সারাদিনে বাসা বানাতে ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে একটি শালিক তার ৪২ শতাংশ সময় ব্যায় করে, এরা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে তাই এলাকা পরিদর্শন করতে ২৮ শতাংশ সময়, চলাফেরায় ১২ শতাংশ, খাওয়াদাওয়া করতে ৪ শতাংশ, ৭ শতাংশ সময় ডাকাডাকিতে এবং পালকের সাজসজ্জায়, দলবদ্ধ কাজে ও অন্যান্য কাজে ৭% সময় ব্যয় করে তারা।
শালিকের প্রধান খাদ্য হলো পোকা মাকড়, বিভিন্ন শস্য, কেচো ছাড়াও এরা মানুষের উচ্ছিষ্ট খাবার ও খায়। খুব কম মানুষই আছে যারা শালিক পাখি পছন্দ করে না। এ কারনেই মানুষকে এরা কম ভয় পায়। এবং খাবারের লোভ দেখালে এরা মানুষের খুব কাছে চলে আসতেও ভয় পায় না। এবং এরা নির্ভয়ে খাবার খায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *