মেয়েদের ইসলামিক নাম

এখানে অনেক গুলো মেয়েদের ইসলামিক নাম পাবেন । সৌদি মেয়েদের ইসলামিক নাম ও এখানে পাবেন । ক্রমে আমরা এখানে ম দিয়ে, র দিয়ে, স দিয়ে এবং কোরআন থেকে অর্থসহ মেয়েদের নাম এখানে দিয়েছি । আশাকরি এই নাম গুলো থেকে আপনি আপনার পছন্দের নাম টি পেয়ে যাবেন । আসুন তাহলে শুরু করি ।

মেয়েদের ইসলামিক নাম :

আনিফা:
এই নামটি মেয়ে শিশুর অসাধারণ ইসলামিক নাম। যার অর্থ হলো রূপসী।

আফিয়া আদিবা:
মেয়ে শিশুর জন্য খুব সুন্দর একটি ইসলামিক নাম এটি। এই নামটির অর্থ হলো পুণ্যবতী ইবাদতকারিনী।

আফরিন:
এই নামটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আফরিন নামটি খুবই জনপ্রিয়। যার অর্থ হলো সুন্দর, চমৎকার, ভালবাসাময়।

আকিফা:
এই নামের অর্থ হচ্ছে এমন একজন নারী যে কিনা তার জীবনকে আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করে এবং আল্লাহর জন্যই এবাদত করে।মেয়েদের ইসলামিক নাম

আমিরা:
উর্দু ভাষা থেকে আগত এই নামের অর্থ হলো সমৃদ্ধ অথবা পরিপূর্ণ জীবন।

আকিলা:
পুরুষবাচক শব্দ আখিল শব্দের স্ত্রীবাচক রূপক হচ্ছে আকিলা। যার মানে হচ্ছে জ্ঞানী বা বুদ্ধিমতি।

আজিমা:
আজিম শব্দের স্ত্রীবাচক রূপ হচ্ছে আজিমা। এই সুন্দর নামটির অর্থ হলো শক্তিশালী অথবা মর্যাদাশীল।

ইশরা:
এই সুন্দর নামটির সম্ভব দুটি অর্থ রয়েছে। মনে করা হয় এই নামটি তুর্কি আসরা থেকে এসেছে যার আরবি অর্থ রাতে ভ্রমণ করা।

ইরাম:
আপনার মেয়ে শিশুটিকে কি স্বর্গীয় দূতের মত মনে হচ্ছে? তাহলে এই নামটি ই হবে সুন্দর, যার অর্থ জান্নাত।

ঈশিতা:
খুব সুন্দর একটি ইসলামিক নাম হচ্ছে ঈশিতা। যার সুন্দর অর্থ হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত বস্তু।

ইসমাত মাকসুরাহ:
খুব সুন্দর একটি আরবি নাম হচ্ছে ইসমাত মাকসুরাহ। আর এই নামের অর্থ হলো সতী পর্দানশীল নারী।

ইফফাত জাকিয়া:
খুব সুন্দর একটি ইসলামিক মেয়ে শিশুর নাম। যার অর্থ দাঁড়ায় পবিত্রা বুদ্ধিমতি।

সানজিদা:
আরবি শব্দ সানজিদা। এই নামের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে সতী চিন্তাশীল।

ইয়াসমিন যারিন:
মেয়ে শিশুর জন্য একটি সুন্দর ইসলামিক নাম ইয়াসমিন যারিন। এই নামের অর্থ হলো সোনালী জেসমিন ফুল।

সুমাইয়া:
“সুমাইয়া” নামের অর্থ হলো ধৈর্যশীলা। মুসলিম মহিলাদের মধ্যে প্রথম শহীদ নারীর নাম সুমাইয়া।

সৌদি মেয়েদের ইসলামিক নাম :

হাত্তান:
এই নাম আরবি শব্দ। এই সুন্দর নামটির মানে হচ্ছে বৃষ্টি বর্ষণ।

আতেলাহ:
এই নামটি সৌদি মেয়ে শিশুদের জন্য খুবই সুন্দর। আর এই নামের পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে উচ্চ বংশীয় মেয়ে।

হেইদি:
এই নামের উৎস জার্মান ভাষা থেকে আগত। এর অর্থ হচ্ছে উচ্চ বংশোদ্ভূত কোন মহীয়সী মেয়ে।

আয়েদাহ:
আয়েদা হলো একটি মুসলিম মেয়ে শিশুর নাম। এই নামের অর্থ হচ্ছে প্রতিদান বা পুরস্কার।

আদরাহ:
আরবি এই নামের অর্থ হলো কুমারী শিশু। নিষ্পাপ কোনো ছবি নেই শিশু জন্য এ নামটি খুবই মানানসই।

আদিলাহ:
আরবি এই সুন্দর নামের পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে সমতা।

আহলাম:
সৌদির মেয়ে শিশুদের মধ্যে প্রচলিত এই নাম। যার অর্থ হচ্ছে চঞ্চলতা।

বাহামিন:
একটু ব্যতিক্রমধর্মী ইসলামিক মেয়ে শিশুর নাম। যার আরবি অর্থ হলো বসন্ত।

বাশীরাহ:
আরবি বশীর শব্দের স্ত্রী রূপ শব্দ হচ্ছে বাশীরাহ। এর অর্থ হচ্ছে কোন শুভ সংবাদের বার্তা বাহক।

বুকাইরাহ:
এই নামটি একজন মহিলা হাদিস বর্ণনাকারীর সাথে সম্পৃক্ত। আর তাছাড়া ঐতিহ্যে সমৃদ্ধশালী একটি নাম।

দানিয়া:
সৌদি মেয়ে শিশুদের মধ্যে প্রচলিত একটি নাম। দানিয়া শব্দের অর্থ বলতে বোঝায় সৃষ্টিকর্তার উপহার বা যে খুব সুন্দর।

দানিন:
আধুনিক এই নামের রূপক অর্থ হচ্ছে রাজকন্যা।

ইলাইয়াহ:
এই নামটি আরবি শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ হচ্ছে আল্লাহর সাথে ভালোবাসা। সৌদি মেয়ে শিশুদের জন্য খুবই উপযুক্ত নাম।

ফাদিলাহ:
ফাজিলা বলেও ডাকা হয়। আরবি এই শব্দের তাত্ত্বিক অর্থ হলো এমন ব্যক্তি যে কিনা সম্মান এবং মর্যাদা দেয়।

ফাকিহা:
আপনি যদি সৌদি মেয়ে শিশুর এই নামটি পছন্দ করেন। তাহলে এর অর্থটা জেনে নিন
“প্রফুল্ল”

ফারিয়াত:
সৌদি মেয়ে শিশুদের অন্যতম সুন্দর নাম হলো ফারিয়াত। যার অর্থ হচ্ছে উজ্জ্বল সূর্যকিরণ।

ফুরাত:
খুব সুন্দর নাম হলো ফুরাত। ফুরাত আরবি শব্দের অর্থ হলো মিষ্টি পানীয়।

কোরআন থেকে মেয়েদের পূর্ণাঙ্গ নাম :

এখানে আল কোরআন থেকে নেয়া মেয়দের ইসলামিক নাম দেয়া হয়েছে ।

মুনতাহা ইসলাম:
কুরআন থেকে নেয়া এই নামটির অর্থ হল পরীক্ষিত। আর ইসলাম মানে তো আমরা সবাই জানি শান্তি

লামিয়া:
লামিয়া আরবি শব্দ যা কুরআনের বর্ণিত আছে। এর অর্থ হল ভাগ্যবান।

সাবিকুন্নাহার রুখসার:
সাদিকুন্নাহার শব্দের অর্থ হলো দিনকে অতিক্রমকারী। আর রুখসার নামের অর্থ চেহারা বা লাল গোলাপ।

সাবিহা সুলতানা:
সাবিহা অর্থ হচ্ছে রূপসী। যেখানে সুলতানা নামের অর্থ হচ্ছে সুলতানের স্ত্রী।

হাবিবা আক্তার:
কুরআনের বর্ণিত হাবিবা নামের অর্থ হচ্ছে প্রিয় বা ভালোবাসা। আর আক্তার অর্থ হচ্ছে নক্ষত্র বা তারকা।

তোয়াসীনা আফনান:
তোয়াসীনা আরবি শব্দ। এর অর্থ আল্লাহ ভালো জানেন। আর আপনার শব্দের অর্থ হচ্ছে ফল সমৃদ্ধ গাছের কান্ড।

আফিদা:
কুরআন থেকে নেওয়া এই আরবি শব্দটি মুসলিম মেয়ে শিশুদের জন্য নাম হিসেবে রাখা হয়। যার অর্থ হৃদয় অথবা সচেতনতা।

আসমা রহমান:
আসমা নামটি আরবি শব্দ এর অর্থ হল নাম।
রহমান মানে তো দয়ালু।

হাফিজা আক্তার:
আরবি শব্দ হাফিজা যার অর্থ হলো রক্ষাকারী। আক্তার মানে হল তারা বা নক্ষত্র।

জান্নাতুল ফেরদৌস:
জান্নাতুল ফেরদৌস শব্দটি কুরআনের আরবি শব্দ। যার মানে হচ্ছে বেহেশত।

আতিকা কবীর:
আতিকা শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে সুন্দরী। আল্লাহর মহান নাম হচ্ছে আর কবীর।

মুবাশিরা আয়াত:
মুবাশিরা আরবি শব্দ যার অর্থ হলো সুসংবাদ বার্তা বাহক। আর আয়াত মানে হচ্ছে উক্তি।

মোমিনা খান:
মোমেনা শব্দটি কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপনকারী। আর খান মানে পারিবারিক পদবী।

মুহসীনা:
মহসীনা আরবি শব্দ যার অর্থ হচ্ছে নেক আমল কারী।

নাইমা হায়দার:
নাইমা শব্দটির অর্থ হচ্ছে বরকতময় বা আশীর্বাদ প্রাপ্ত। এবং হায়দার আরবি নামের অর্থ হলো সিংহ অথবা সাহসী।

রাফা করিম:
রাফা শব্দের অর্থ হচ্ছে দয়া অথবা সহমর্মিতা। আর করিম শব্দটি আল্লাহর গুণবাচক নাম গুলোর মধ্যে অন্যতম।

রিয়া জামান:
রিয়া শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে শক্তিশালী বাতাস। যেখানে জামান শব্দের অর্থ হলো নিয়তি বা বয়স।

সায়মা ওয়াহিদ:
সায়মা শব্দটি সিয়াম থেকে এসেছে। যার অর্থ হলো রোজাদার। এবং ওয়াহিদ নামের অর্থ হলো একক, অনন্য, অদ্বিতীয় যা কিনা আল্লাহকে বোঝায়।

তাহিয়া জাহান:
তাহিয়া শব্দের অর্থ হচ্ছে অভিবাদন জানানো। জাহান অর্থ হলো পুরো বিশ্ব।

জাকিয়া জেসমিন:
জাকিয়া নামটির আভিধানিক অর্থ হলো পবিত্র বা সুন্দর। আর জেসমিন মানে ফুল।

আবিদা কায়সার:
আবিদা শব্দটির অর্থ হলো আল্লাহর ইবাদতকারী। আর কায়সার শব্দটি সূরা আল-কায়সার থেকে এসেছে।

ইকরা আজিজ:
ইকরা আরবি শব্দের অর্থ হলো পড়া। আর আজিজ নামের অর্থ হল উচ্চ বংশ।

লায়লা হাসান:
লায়লা শব্দটি লাইল শব্দ থেকে এসেছে। লাইল শব্দের অর্থ হলো রাত।

মাওয়াজিন:
আরবি মাওয়াজিন শব্দের অর্থ হলো পরিমাপক, স্তর, সমতা।

মুসাফা:
আরবি শব্দ মুসাফার অর্থ হলো বিশুদ্ধ। এই শব্দটি মুস্তাফার সাথে কোনভাবেই দ্বিধান্বিত নয়।

নাহার:
আরবি নাহার শব্দের অর্থ হলো দিন। এটি ইসলামী মেয়ে শিশুদের নাম।

রায়হানা:
রায়হানা শব্দটি রায়হান শব্দের স্ত্রীবাচক রূপ। যার আরবি অর্থ হলো সুগন্ধি উদ্ভিদ।

ম দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ :

মারজিয়া আহমেদ:
মারজিয়া আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে কোন কিছু কামনা করা বা প্রার্থনা করা।

মুসতারিন:
সুন্দর এই আরবি নামের অর্থ হলো সুন্দর, শান্তি, যত্নশীল বা আলোকিত।

মায়মুনা:
মায়মুনা আরবি শব্দ। আর এই মিষ্টি নামের অর্থ হলো ভাগ্য ভালো।

মায়রা আহসান:
মায়রা নামের অর্থ হলো চাঁদ অথবা প্রিয়। আহসান নামের অর্থ হল সুদর্শন।

মায়শা:
খুব সুন্দর একটি ইসলামিক নাম। এর অর্থ হল করুণাময়।

মায়সারা হোসেন:
মেয়ে শিশুদের আরবি নাম হচ্ছে মায়সারা। এর দ্বারা বোঝায় সহজ। আর হোসেন মানে রাসুল (স) এর নাতির নাম।

মাবরুরা আক্তার:
এই নামটি আরবি শব্দের উৎস হতে এসেছে। যার অর্থ একজন ধার্মিক মহিলা বা পরহেজগার।

মালিহা আনোয়ার:
মালিহা নামের অর্থ হচ্ছে উত্তম সুন্দর মিষ্টিভাষী। আর আনোয়ার অর্থ হলো পরিষ্কার স্বচ্ছ।

মুনিরা খান:
সাধারণত মুনিরা নামের অর্থ হলো উজ্জ্বল। তাছাড়াও বিভিন্ন উৎস হতে পাওয়া যায় মুনিরা নামের অর্থ হলো আলোকিত পূর্ণ।

মাভিশা:
আরবি এই শব্দের অর্থ হলো জীবনের আশীর্বাদ।

মারওয়া হাসান:
মারওয়া আরবি শব্দ। মেয়ে শিশুর এই নামের অর্থ হল সুগন্ধি উদ্ভিদ অথবা পরিত্রান। এবং হাসান হল রাসুল (সাঃ) এর নাতি।

মারজান কাজী:
মারজান শব্দের অর্থ হচ্ছে ছোট অথবা সূক্ষ্ম মুক্তা। কাজী মানে যিনি বিচার করেন।

মায়রা হামিদ:
মায়রা নামের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে কোন কিছু সৃষ্টি করা। আর হামিদ নাম দ্বারা বুঝায় প্রশংসাভাজন।

মারজুকাহ হায়াৎ:
আরবি শব্দ মারজুকাহ এর পারিভাষিক অর্থ হলো আল্লাহর আশীর্বাদ বা ভাগ্যবান। আর হায়াত নামের অর্থ হলো জীবনকাল।

মারনিয়া:
মরনিয়া এর বাংলা অর্থ হলো প্রতিটি দিক থেকে ধনী বা সমৃদ্ধশালী।

মারহা আজিজ:
আরবি শব্দ মারহা এর অর্থ হল প্রাণবন্ত, আনন্দময়, উচ্ছ্বল। সেখানে আজিজ শব্দের অর্থ হলো উচ্চ বংশ বা গোত্র।

মাহিয়া আমান:
মাহিয়া নামের আরবি অর্থ হল জীবন, পৃথিবী। যেখানে আমান নামের অর্থ হচ্ছে সৎ, শান্তিপূর্ণ, বিশ্বস্ত, নিরাপত্তা।

মাহিমা চৌধুরী:
মাহিমা নামের অর্থ হচ্ছে গৌরব অথবা মহত্ত্ব। চৌধুরী হচ্ছে পারিবারিক পদবী।

মাকসুদা:
মাকসুদা আরবি ভাষা হতে উদ্ধৃত। যার অর্থ হচ্ছে লক্ষ্য, আকাঙ্ক্ষিত, অভীষ্ট।

মাছুমা সারোয়ার:
মাসুমা নাম দিয়ে আরবি অর্থ হলো সুরক্ষিত, পবিত্র, নিষ্পাপ।
আর সারোয়ার অর্থ হচ্ছে মুখ্য, নেতা, সর্দার। ‌

মানছুরা রহমান:
মানছুরা নামের বাংলা অর্থ হলো বিজয়িনী, সাহায্যপ্রাপ্ত। এবং রহমান শব্দ মানেই হচ্ছে আল্লাহর গুণবাচক নাম।

মাদিহা আফরিন:
মাদিহা নামের আরবি আভিধানিক অর্থ হলো প্রশংসিত। আফরিন নামের অর্থ হচ্ছে ভাগ্যবান।

মাশকুরা জাহান:
আরবি শব্দ মাশকুরা এর অর্থ হল কৃতজ্ঞ, বাধিত। আর জাহান অর্থ হলো বিশ্ব, পুরো পৃথিবী।

মাশুকা:
মাশুকা শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রিয় পাত্রী। এই নামটি মেয়ে শিশুদের জন্য খুবই চমৎকার।

মাহজাবিন তারেক:
খুব অসাধারণ একটি আরবি শব্দ মাহজাবীন এর অর্থ হল সুদর্শনা। আর তারেক হলো সুকৃতি অথবা ভাগ্য।‌

মারিফা:
মেয়ে শিশুর ইসলামীক নাম মারিফা শব্দের মানে হলো জ্ঞান, সচেতনতা।

আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম :

আয়রা :
এটি একটি মুসলিম মেয়ের নাম যা উর্দু ভাষা থেকে উৎপত্তি হয়েছে । আয়রা নামের অর্থ হল “দৃষ্টি-পূর্ণ, চোখ-দুর্বল বা সম্মানজনক”।

আসমা :
আসমা নামটি আরবি ভাষা থেকে উৎপত্তি হয়েছে । এই নামের মূল অর্থ হল “ উচ্চ বা মহান “।
আসমা নবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এর ভাতিজি এবং আবু বকরের (রাঃ) কন্যা ছিলেন ।

আমিনা :
আমিনা একটি ইসলামিক মেয়ের নাম, যা আরবি ভাষা থেকে উৎপত্তি হয়েছে । আমিনা নামের অর্থ হল “সৎ, বিশ্বস্ত “। আর আমিনা বিনতে ওয়াহব ছিলেন আমাদের সবার প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এর মা ছিলেন ।

আফিয়া :
আফিয়া একটি ইসলামিক মেয়ের নাম, যা উর্দু ভাষা থেকে এসেছে। আফিয়া নামের অর্থ হল “সুস্বাস্থ্য,অসুস্থতা থেকে মুক্তি । হাদীসের বর্ণনাকারী, ইবনে আইয়ুব এই নামটি রেখেছিলেন।

আলিয়া :
আলিয়া একটি ইসলামিক মেয়ের নাম, যা আরবি ভাষা থেকে এসেছে। ইসলামে এই নামের মর্যাদা অনেক । তাছাড়া এই আলিয়া নামের অর্থ হল “রক্ষক, উচ্চ, লম্বা, সুউচ্চ,উচ্চ-মর্যাদাসম্পন্ন, মহৎ বা উচ্চতর”।

আমনা :
আমনা নামের উৎপত্তি হয়েছে আরবি ভাষা থেকে । আর এই আমনা নামের অর্থ হল “শান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ “।

আফিফাহ :
আফিফাহ নামটির উৎপত্তি হয়েছে রোমান উর্দু ভাষা থেকে । এই নামের জনপ্রিয়তা রয়েছে সাথে এই নামের সুনামও রয়েছে । এই নামের অর্থ হলো “ বিনয়ী, ভদ্র, গুণী, সৎ” ।

আফরোজা :
আফরোজা নামটিরও উৎপত্তি হয়েছে রোমান উর্দু ভাষা থেকে । আর এই আফরোজা নামের অর্থ হলো একটি প্রদীপের বাতি বা আলোকিত করা ।

আবিদা :
আবিদা একটি মুসলিম মেয়ের নাম যা আরবি ভাষা থেকে এসেছে। আবিদা নামের অর্থ হল “উপাসক, ভক্ত বা ভক্ত” । তাছাড়া আভিধানিক অর্থ রয়েছে যা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার করে ।

আফরিন জাহা :
আফরিন জাহা নামটি মূলত আরবি ভাষা থেকে উৎপত্তি হয়েছে । আর এই নামের মুল অর্থ হলো
“ধন্যবাদ জানাতে”, “অভিনন্দন জানাতে” ।

আইমা আমরিন :
আইমা আমরিন নামটি মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।আইমা নামটি উর্দু ভাষা থেকে এসেছে। আইমা নামের অর্থ হল “নেতা, শাসক বা উচ্চপদস্থ” এবং আমরিন নামের অর্থ হলো নীল আকাশ । আর ঠিক এই দুই নামের মাধ্যমে নামটির অনন্যতা বেড়ে গেছে ।

আলিয়াহ জয়নাব :
এই নাম অনেক অসাধারণ এবং অনেকে এই নাম সম্পর্কে জানে না । তবে এই নামটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে এবং এর অর্থটি খুবই চমৎকার, কারণ এই নামের অর্থ হলো যিনি প্রায়শই কুরআন তেলাওয়াত করেন ।

আয়েশা আইনাজ :
এই নামটি খুবই অসাধারন এবং মধুর নাম । আর এই নামটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে । আর এই নামের অর্থ হলো চাঁদের মত সুন্দর । যা এই নামকে আরো বেশি সুন্দর করে তোলে ।

আমিনা নেহা :
এই নামটির উৎপত্তি হয়েছে আরবি ভাষা থেকে। আর এই নামের অর্থ হলো সৌন্দর্যের সাথে সৎ ।

আলিয়া মেহরিন :
এই নামটির অর্থ হলো “উচ্চ ধরনের” । আর এই নামটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে ।

আনাম আয়রিন :
এই নামটির মধ্যে আনাম নামটি আরবি ভাষা থেকে আসলেও আয়রিন শব্দটি কুর্দি ভাষা থেকে এসেছে । তবে এই নামের অর্থ খুবই সুন্দর, “যা হলো আল্লাহর রহমত” ।

আজমিন মেহনূর :
এই নামটি আনকমন মেয়েদের ইসলামিক নামগুলোর মধ্যে পড়ে । আর এই নামটির উৎপত্তি হয়েছে আরবি ভাষা থেকে । আর এই নামের অর্থ হলো “ তারা বা চাঁদের আলো “ । যার ফলে এই নামের সৌন্দর্যতাকে আরো বৃদ্ধি করে ।

আইজা নওরীন :
এই নামটিও অনেক আনকমন । আর এই নামটি ইসলামিক নামগুলোর মধ্যে পড়ে । আর এই নামের অর্থ হলো “মহৎ বা উজ্জ্বল আলো “ ।

র দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম :

রেহানা :
রেহানা একটি মুসলিম মেয়ের নাম । আর এই নামটির উৎপত্তি হয়েছে ফার্সি ভাষা থেকে । রেহানা নামের অর্থ হলো “সুগন্ধি”।

রিফা :
রিফা নামটি অনেক সুন্দর একটি নাম । আর এই নামের উৎপত্তি হয়েছে উর্দু ভাষা থেকে । রিফা নামের অর্থ হল “সুখ বা সমৃদ্ধি।”

রহিমা :
রহিমা নামটি অনেক সবার প্রিয় একটি নাম এবং এটি ইসলামিক মেয়েদের নামের মধ্যে পড়ে । আর এই নামটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে। রহিমা নামের অর্থ “সহানুভূতিশীল’ ।

রিজওয়ানা :
রিজওয়ানা একটি ইসলামিক নাম আর এই নামটি আনকমন নামগুলোর মধ্যে পড়ে । আর এই নামটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে। রিজওয়ানা নামের কয়েকটি অর্থ রয়েছে, আর সেইগুলো হল ” সুন্দর, জান্নাতের অভিভাবক বা সম্মতি” ।

রুকসানা :
রুকসানা নামটি অনেক সুন্দর এবং আনকমন একটি নাম । আর এই নামটি ইসলামিক নামগুলোর মধ্যে পড়ে । আর এই নামের অর্থ হলো “ সুন্দরী ” ।

রাহা :
রাহা একটি ইসলামিক মেয়েদের নাম আর এই নামটি অনেক আনকমন । আর এই নামটির উৎপত্তি হয়েছে আরবি ভাষা থেকে। আর রাহা নামের অর্থ “মুক্ত”।

রাবাব তাসনিম :
রাবাব তাসনিম নামটি অনেক আনকমন নাম । আর এই নামের উৎপত্তি হয়েছে আরবি ভাষা থেকে । এই নামের অর্থগুলো অনেকগুলো রয়েছে,সেই অর্থগুলো হলো “সাদা মেঘ, ঝর্ণা বা “বসন্ত ” ।

রিয়া তাহরিন :
এই নামটির উৎপত্তি হয়েছে আরবি ভাষা থেকে । আর এই নামের অর্থ হলো মানে “ সুন্দর ফুল “ ।

রুবা জাহিন :
এই নামটি অনেক সুন্দর এবং আনকমন একটি নাম । আর এই নামটি ইসলামিক মেয়েদের নাম ।এই নামটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে । আর এই নামের অর্থ হলো “ পাহাড়” বা “ বুদ্ধিমান “ ।

রাবিয়া মাহনূর :
এই নামটি আরবি এবং ফারসি ভাষা থেকে এসেছে । আর এই নামের অর্থ অনেক সুন্দর, আর তা হলো “ পথপ্রদর্শক আলো “ ।

স দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম :

সারা :
সারা নামটি অনেক সুন্দর নামগুলোর মধ্যে পড়ে আর এই নামটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে। সারা নামের অনেকগুলো অর্থ রয়েছে, আর তা হল ” শুদ্ধ, সুখী, সুখ, হাসি এবং আনন্দ “।

সানা :
সানা ইসলামিক নামগুলোর মধ্যে একটি । আর এই নামটির উৎপত্তি হয়েছে আরবি ভাষা থেকে । সানা নামের অর্থ হল “আলো, দীপ্তি, আলোকিত হওয়া বা উজ্জ্বলতা” ।

সানিয়া :
সানিয়া একটি মুসলিম মেয়ের নাম যা শিয়া ভাষা থেকে এসেছে । সানিয়া নামের অর্থ হল “উজ্জ্বল, উজ্জ্বল, উচ্চ বা উচ্চতর”।

সায়মা :
এই নামটি একটি ইসলামিক মেয়ের নাম যা আরবি ভাষা থেকে এসেছে। সায়মা নামের অর্থ হল “ধর্মপরায়ণ মহিলা যিনি প্রায়শই উপবাস করেন, উপবাসকারী মহিলা “।

সালমা :
সালমা একটি মুসলিম মেয়ের নাম যা আরবি ভাষা থেকে এসেছে। সালমা নামের অর্থ হল “শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, সুস্থ, বা নির্মল “ ।

সেহের জামান :
এই নামটি অনেক আনকমন একটি নাম । এই নামটির উৎপত্তি হয়েছে আরবি ভাষা থেকে । সেহের নামের অর্থ হলো “ সকাল “ এবং জামান নামের অর্থ হলো “ নিয়তি ” ।

সানজা মেহরিন :
এই নামটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে । আর এই নামের অর্থ হলো “ সাফল্য, উন্নয়ন, প্রেমময় “ । আর এই নামের অর্থের জন্য এই নামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ফেলে ।

সাদিয়া আমানি :
এই নামটি অনেক সুন্দর একটি নাম । আর এই নামের উৎপত্তি হয়েছে আরবি ভাষা থেকে । আর সাদিয়া নামের অর্থ হলো “ ভাগ্যবান” বা ধন্য “ এবং আমানি নামের অর্থ হলো “ শান্তি ” ।

সাফিয়া ইয়াসমিন :
এই নামটি একটি ইসলামিক মেয়ের নাম । আর এই নামটি আরবি ও ফারসি ভাষা থেকে এসেছে । আর এই নামের অর্থ হলো “ বিশুদ্ধ বা আন্তরিক ” ।

সাবরিনা হানা :
এই নামটি অনেক আনকমন এবং ইসলামিক একটি নাম । এই নামটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে । এই নাম এর অর্থ হলো “ ধৈর্যশীল “ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *