পহেলা বৈশাখের কবিতা

পহেলা বৈশাখের কবিতা শেয়ার করা হলো আপনাদের জন্য । কবিতা গুলো ছন্দ মিলানো, তাই আমার কাছে ভালো লেগেছে, আপনারাও পড়ুন, অনেক মজা লাগবে । কবিতা গুলো লিখেছেন ” সাকিসেফ উম্মে ফাতেমা ” তো চলুন দেখে নেই সেই অসাধারণ কবিতা গুলো ।পহেলা বৈশাখের কবিতা

পহেলা বৈশাখের কবিতা

রঙ্গিন বৈশাখ

লাল পেড়ে সাদা শাড়ি বৈশাখেতে পড়ো
হাতটি ধরে নাগরদোলায় ভিতু হয়ে চড়ো।
হাতে রেখো রেশমী চুড়ি, পায়ে দিও মল
নৌকা-ভ্রমনে যাবো যখন, ছুয়ে দেখো জল।

কাজল কালো করো তোমার মায়াবি দুটো চোখ,
আলতো করে দিবো ছুয়ে ঐ রাঙা ঠোঁট।
এলোকেশে এসো প্রিয়, কপালে দিও টিপ
বটতলাতে থেকো তুমি, খুজে নিবো ঠিক।

চাতক হয়ে থাকবো চেয়ে তোমার পথের পানে
বড্ড বেশি ভালোবাসি, তোমার মন তা জানে।
পান্তা-ইলিশ মণ্ডা-মিঠাই আয়েশ করে খেয়ো
মাটির বাসন, রঙ্গিন সিকে ইচ্ছে মতো নিয়ো।

শুরুর দিনের মতোই ভালো কাটবে বছর দেখো
মনের কোনে আমার জন্যে একটু জায়গা রেখো।
আসতে দিও কালবৈশাখী, চিন্তা নিও না
বিপদ যতই আসুক- তোমায় ছুতে দিবো না।

Read More  ভাই বোনের কবিতা

 

উৎসব

চারিদিকে রব উঠে, বৈশাখ এসে গেছে
সাজ সাজ চারিদিকে- পড়ে না কেউ পাছে।
গান সাথে কবিতা- মুখরিত চারিদিক
কোথা দিয়ে দিন যায়; ঘড়িবাবুর টিকটিক।

ভোর হতে শোভাযাত্রা ঠাই পাওয়া দায়
নাচ-গান-আবৃত্তি কি নেই মেলায়!
শাড়ি-পাঞ্জাবিতে ছেলেবুড়ো চলে
বৃক্ষ শাখ ভরে ফুলে ফলে।

মাটির বাসনে করে পান্তা-ইলিশ
রাজপথে আল্পনা – নতুনের পালিশ।
শীত গেছে তাতে কি, উৎসবে পিঠাপুলি
হাঁটি হাঁটি পা পা করে নতুনের খোঁজে চলি।

দোকানে দোকানে চলে হালখাতা উৎসব
মণ্ডা-মিঠাই খাবো আর সব দিয়ে বাদ।
সকাল গড়িয়ে সাঁঝ এসে যায়
তবু যেন উৎসবের শেষ না হয়।

 

আরো আছেঃ >> ফাল্গুনের কবিতা

 

বৈশাখী কবিতা

বর্ষবরণ

বৈশাখ মানে বাঙালীয়ানা, অন্য রকম সাজ
ছুটোছুটি, হুড়োহুড়ি সবার অনেক কাজ।
গ্রামবাংলার চৈতালি কিংবা পাহাড়ের বৈসবি
মহাজনের হালখাতাটাও বর্ষবরন উৎসবই।

কাচা-লঙ্কা, বেগুনভাজা, পান্তা-ইলিশ হবে
শেষ পাতেতে মণ্ডা-মিঠাই পেট পুরে সব খাবে।
রাতজেগে সব আল্পনা দেয়, ভোরের শোভা যাত্রা
পিঠাপুলি নাগরদোলা এসব নিয়েই মেলা।

ধুতি আর পাঞ্জাবিতে ছেলের দল সাজে
গানের আসরে ঢোল তবলা হারমনিয়াম বাজে,
লাল-সাদায় বঙ্গ নারীর কি অপরূপ বেশ
ঢাক-ঢোলের জামা গায়ে বাচ্চাদের হাসির রেশ।

Read More  কষ্টের ছন্দ

পশু-পাখী- হরেক সাজে শোভাযাত্রা যায়
বছরটাকে এভাবে যেন করবে মঙ্গলময়।
নৃত্য-গীতের আসর তাতে হুল্লোড়ের নেই শেষ
বেলাশেষেও কাটতে চায়না উৎসবেরই রেশ।

 

এসেছে বৈশাখ

দামাল হওয়া জানান দেয় বৈশাখ যে দ্বারে
পেছন ফিরে চেয়ে দেখি বসন্ত যায় চলে
আমের শাখে গুটি দেখি, কাঠাল বাগে ইঁচড়;
দামাল হাওয়ার জানান দেয় পাপিয়া, চাতক খেচর।

চৈত্র্যের সেই কাঠফাটা রোদ, চৌ-চির মাঠ-ঘাট
চৈতালী শেষে বৈশাখেতেও বসে মেলা-হাট।
হিমচাপা আর কৃষ্ণচূড়ায় নন্দিত দৃষ্টি,
জারুল পানে শ্রান্তি আসে, প্রতিক্ষাতে বৃষ্টি।

বৃক্ষতলে শ্রান্তি মেলে রাখাল বাজায় বাশি-
বাউলেরা গান ধরে যে, তপ্ত রোদেও হাসি।
নদীর বুকের জল যে কমে- শুষ্ক হাওড়-বাওড়
কখন যেন ঝড় উঠে তাই যায়না করা ঠাওর।

নবরূপে নবসাজে নতুন বছর আসে
চোখের তারায় জমা হয়ে পুরোনো স্মৃতি ভাসে।
প্রাক্তন কে ফিকে করে নব দিনে পা
বৈশাখ যে এসে গেছে বরন করে যা।

 

About the Author:

Habibur Rahman is an expert writer about Bangla poems, romantic stories, captions, status and quotes. He is writing about all romantic and motivational quotes, poems, captions, and status messages from the past 12 years. He has completed honors and master's degrees in literature from Dhaka University.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *