অপেক্ষা নিয়ে কবিতা

এখানে অনেক গুলো সুন্দর সুন্দর অপেক্ষা নিয়ে কবিতা দেয়া হয়েছে । এই কবিতা গুলো লিখেছেন মোঃ মুসাফির ভাই । উনার এই কবিতা গুলো ছন্দ মেলানো । আমি সব গুলো খুব ভালো করে পড়ে দেখেছি, অনেক ভাল লেগেছে । আপনারাও পড়ে দেখুন । আশাকরি আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে । কবিতা গুলো আপনি অন্য কোথাও পাবেন না, কারণ এই কবিতা গুলো মুসাফির ভাই শুধু মাত্র আমাদের এই সাইটের জন্য লিখেছেন । অন্য কোথাও এগুলো দেখতে পেলে তারা আমাদের এগুলো কপি করেছে, তাই তাদের সাইট ভিজিট করবেন না । ধন্যবাদ ।
অপেক্ষা নিয়ে কবিতা

অপেক্ষা নিয়ে কবিতা :

অপেক্ষা মানে নয় তো শুধু একা বসে থাকা
অপেক্ষা মানে মনে মনে দুঃখের ছবি আকা
সেই যে কবে পেয়েছিলাম সুখের আস্বাদন
এতদিনে সব ভুলেছি শুনে সেই বারণ

অপেক্ষা অপেক্ষা করে করেই আজ এই যে হাল
কথা বলতে না পারায় ঘরে নেই কো ডাল
বলেছিলো লকডাউন শেষে আসবে সে ঘরে আবার
লকডাউন শেষ তারপরও আজ নেই কো কোনো খাবার

বলেছিলো সে আসবে আবার বন্ধু হতে আমার
অপেক্ষায় সেই বসেই থাকতাম রোজ শনিবার
কিন্তু সে যে আসলো না আর আমায় নিয়ে যেতে
শুনেছি আজ পড়ে নাকি ভালো ভার্সিটিতে

গরীবের জীবন মানে অপেক্ষায় ভেসে যাওয়া
অপেক্ষা শেষে আবার হতে পারে কিছু না পাওয়া
এ ভাবেই দুনিয়াটা চলছে নিজের গতিতে
জানি না সে সামনে কি রেখেছে নিয়তিতে

অপেক্ষা শুধু অপেক্ষা নয়, এ এক পরিবর্তনের সময়
গড়ো নিজেকে এমনভাবে, দেখাও আর করো না ভয়
পৃথিবীর কাছে রেখো না কোনো আবদার আর
রেখো না কোনো মানুষের জন্য মুখটা করে ভার

Read More >>  সোনার তরী কবিতা

অপেক্ষা, এ তো নিয়তির খেলা
আজো বসে কত মানুষ এই অবেলা
ভাসছে দেখো কতো দুঃখের ভেলা
ঐ দেখো কতো হতাশার মেলা

বসন্তের পর বসন্ত, কাটছে অপেক্ষায়
তবুও যে আর পাচ্ছি না চাকরি এ দেখায়
বলো তবে,
এভাবে কি আর থাকা যায় চাকরি ছাড়া
জীবন থেকেও কবে যে আমি গিয়েছি গো মারা

ফ্যামিলি থেকে বলছে এখন চাকরি খোজো দ্রুত
মনে মনে বলছি আমি এ বাজারে ভিড় যত
অপেক্ষা সেই করছি আমি শেষ ইয়ার থেকে
সব বন্ধু চাকরি পেয়ে বিয়ে করলো আমায় একা রেখে

Read more:>>> অপেক্ষা নিয়ে স্ট্যাটাস

অপেক্ষা শুধু অপেক্ষাই বাড়ায়
শেষ পর্যন্ত এ এক অনিশ্চয়তায় দাঁড়ায়
জানি না কো মিলবে কি না এই অবেলায়
তবু আছি, থাকব হেথায় মন চায় যেথায়

লকডাউনে ছিলাম নিয়ে এই আশা মনে
কিছু একটা করব রাখতে পরিবারকে যতনে
কিন্তু কোথাকার দমকা হাওয়া উড়িয়ে দিল সব
অপেক্ষা তাই করছি আজো কবে ঠিক হবে সব

প্রেমিকার জন্য অপেক্ষা সে তো খুব করো
রবের জন্যও সময়টা একটু বের করো
ইবাদাতে মন আনতে সময়টুকু দাও
আখিরাতে নিজের জন্য জান্নাতটা কিনে নাও

রবের আদেশের অপেক্ষা করেই সার্থক গুণিজন
করেছিলেন এই ভরসায় যে, রবকে করতে পেরেছিলেন আপন
আপনি আমি সবাই যদি আস্থা রাখতে পারি
তবে আমরা দিতে পারব জান্নাতের ওপারে পাড়ি

জীবনটা অপেক্ষা আর না পাওয়ার মিশেল
জীবন যুদ্ধে হেরে গেলে এ রাস্তায় তুমি ফেল
প্রতিটা জায়গায় নিজের মতো সব তো পাবে না
কিভাবে আজ জিততে হবে এই তো ভাবনা

Read More >>  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা

চুপটি করে বসে আছি একা এই মাঠে,
জানি না কবে দেখা হবে মানুষগুলোর সাথে
অপেক্ষায় আজ কাটছে আমার প্রতিটি প্রহর
প্রতি ইঞ্চি জীবনকে আজ বিষিয়ে তুলছে এ শহর

অপেক্ষা নিয়ে আরো দুইটা কবিতা দিলাম আপনাদের জন্য । কবিতা গুলো লিখেছেন কাজী মোঃ জয়নাল আবেদীন । এখানে দুটি কবিতা দেখতে পাবেন । দুটি কবিতাই খুব সুন্দর । আমার কাছে পরে ভালো লেগেছে । তাই আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে । তো চলুন তাহলে পড়ে নেয়া যাক ।

কবিতা ১ঃ

এই নিশিতে হৃদকমলে যে ঝরে শোকের পাতা
এই অপেক্ষার প্রহরে যন্ত্রণার নহরে যে বিষে বাড়ে হৃদয়ের ব্যাথা।
অপেক্ষা প্রহর জমাট বাধা হৃদয়ে
বিষাদের পোকারা হৃদয়ের বাম অলিন্দ নিলয়ে
রোজ টুকরে টুকরে খায় আমার অনুভূতিগুলোকে।
নিষ্প্রতিভ মরীচিকাময় প্রেমাষ্পদের প্রান্তরে
সহস্রাংশ লোকের ভীড়ে,
প্রিয়’র শোকে চোখ জ্বলে খুব যতনে।
কেন যে হৃদয় হলো মরুময়, তপ্ত দাবানলে পুড়েছি দিবানিশি
মেঘেদের কোলাহলে নিজেরে সঁপেছি তোমার নামে।
এই শূন্যপথে দিগন্ত মাড়িয়ে চলার সঙ্গী পাইনি আজও
গোধূলির আলোয় রংচটা কোন চেহেরায় পাইনি আজও উষ্ণতা।
নিয়ন বাতির ঝলাসানিতে নেত্রখানি কাউকে আর খুঁজে না,
রাত-বিরেতে প্রেম-প্রণয়ের গল্পটা আর চলে না।
কতো আষাড়ের ব্যাঙের গোঙানি থেমে
শ্রাবণের ধারায় ফুটিল বর্ষার প্রেমিক কদম,
শরতে সাদা মেঘের উঁকিঝুঁকিতে কদমগুচ্ছও গেল হারিয়ে,
তবুও কেন আজও রাখলে মোরে তোমার অপেক্ষাতে।
প্রণয়েও সুর বাজে, হৃদয়ও হার না মানে
তবু কেন বিষাদ ছেড়ে বিরহ বাড়ে,
কত রেল জংশনে
বিরহ ব্যাথায় ভুগে বসেছি তোমার অপেক্ষাতে,
নয়নযুগল হয়েছে ব্যর্থ, তুমি আর আসলে না অবশেষে।
প্রচণ্ড শীতের শেষে, চৈত্রের খরতাপ কাটিয়ে
কৃষ্ণচূড়া হাসে মৃদুমন্দে দোলে
অতঃপর কোকিলের ডাক শুনে, রক্তকরবীর ঘ্রাণে
লাগিলো যে যে ঘোর, সে ঘোর কাটিল আনমনে।

Read More >>  মাকে নিয়ে কবিতা

কবিতা ২ঃ

অভিমানে বুক জ্বলে গিয়ে
এখনো কি চোখ ভাসে নিরবে?
কতখানি বিষাদ জমলে বুকে আগলে রাখা
হাত ছেড়ে যায় অন্য কোনখানে?
জ্যোৎস্না ভরা রাতে হাড়কাঁপানো শীতে
শিশিরের মুক্তোঝরানো শুভ্রতার পরশে যেসব তারকারাজিরা ছুটতো নীল আসমানে,
সেসব গেল কই? হারালো কই?
বলেছে কি তারা ফিরবে আবার কবে?
এই যে আমাদের দেখা হয় না
হয় না কথা কারও সনে,
রাত নামলেই বাড়ে ব্যথা
লোকে ভাবে আমরা আছি প্রহসনে।

উড়িয়েছি নীল খামে হৃদয়ের কতো শোকগাথা
বাজিয়েছি কতো বীণা বিষাদের,
পেয়েছো সেই সব দিনের চিঠি?
দেখেছো কি খুলি, কত অনুভূতি
জমা বুকে প্রেয়সীর লাগি।
কি যে যাতনে করিত ক্রন্দন
এক চাতক পাখি
বিরহের ঘাটে ভীরে,
ধরিত গান বেহুলা সুরে,
করিত গান আমমনে।
ভর দুপুরে তপ্ত রোদে ক্লান্ত পথিক দৌড়ায়
কার খুঁজে?
আমি-তুমি বন্দী নাবিক
স্মৃতির কারাগারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *