বসন্তের ৩ টি কবিতা ও ছন্দ দিলাম এখানে । কবিতা গুলো ছন্দ মিলানো। এছাড়াও নিচে অনেক গুলো ছন্দ দেয়া হয়েছে । তাই আশাকরি অনেক ভালো লাগবে বসন্তের এই ছন্দ মিলানো কবিতা গুলো । এই কবিতা গুলো লিখেছেন, আমাদের একজন বোন সাকিসেফ উম্মে ফাতেমা । তো চলুন দেখে নেয়া যাক আমাদের সেই প্রিয় কবিতা গুলো ।
বসন্তের কবিতা ও ছন্দ
বসন্তের অপেক্ষা
বসন্তের করাঘাত রিক্ত হিয়ার দ্বারে
কোকিলের সুর উদাসী করেছে মোরে,
সুরের ঐকতান কোথা হারালো
এমনি করে কতো বসন্ত পেরোলো।
অষ্টাদশী হৃদয়ে প্রনয়ের মনোভাব
বৃক্ষ শাখে পক্ষীর কলোরব,
মহুয়া মালতী রুদ্রপলাশ
তবো উপেক্ষায় হলেম হতাশ।
তবুও প্রতিক্ষার প্রহর হয় না শেষ-
বসন্তের সজ্জায় মিশে প্রনয়ের রেশ;
ভ্রমরা চেনাবে সখা পথ,
কুসুমিত কোমল পুষ্প রথ।
হৃদয় আঙ্গিনায় প্রজ্জ্বলিত আশার প্রদীপ,
বসন্ত তবো হিয়ায় জাগবে অন্তরীপ!
কন্টক নয় ফুলেল বান যে চাই
আপনাকে ভুলি আপনারই তরুছায়ায়।
ফাগুন হাওয়ায় হিল্লোল উঠে শাখে
সে নেত্রে কি মোর প্রতিচ্ছবি রাখে?
দেবদারু ফুল উড়ায় শঙ্খচিলে
প্রেমের পসরা লুটায় হেলায় পড়ে।
বসন্তরূপ
বসন্ত এলো যে ধরায়
উদাসি কোকিলের সুর মন ভরায়,
কৃষ্ণচূড়ায় রাজপথ সাজে
সঙ্গীতের কলতান কানে বাজে।
মদন দেবের আশীর্বাদ
আবির রাঙ্গা চারিপাশ,
বউ কথা কও পাখি ডাকে
ছেলে বুড়ে সব আনন্দে মাতে।
ভ্রমরায় দল বেধে চলে
ফুল ফোটে কাননে কাননে,
বৃক্ষে নতুন পত্র-পল্লব জাগে
সবকিছু অপরূপ লাগে।
শীতের আমেজ মুছে যায়
প্রকৃতির রঙ্গিন সজ্জায়,
এতসব নতুনের ভিড়ে
রুক্ষতা কাটে ধীরে ধীরে।
নজরুল-রবি বন্দনা করছে যায়
সকল অঞ্জলি এখনও শুধু যে তার
বসন্তকে করিতে বরন-
পথে-প্রান্তরে চলে মহারন।
শুভাগমন
রিক্ত শীতের বিদায় হবে, বসন্ত যে দ্বারে,
পক্ষীরা সব সুর তুলেছে- বন্দনা তার তরে।
বৃক্ষ শাখে নব পল্লব- আমের শাখে মুকুল,
হোলিও এই বসন্ততেই; সবাই কৃষ্ণ গোকুল।
ললনারা রূপবতী বাসন্তী রং শাড়িতে,
কানাইরা সব লড়তে রাজি; দধি আছে হাড়িতে।
আগুনরঙা পলাশ ফুলে দৃষ্টির ঝলসানি,
মৌমাছিরা দল বেধেছে- আসছে ঋতুর রানি।
দোলনচাঁপা, কাঠালচাপা, ক্যামেলিয়ার ঘ্রানে;
প্রকৃতির নব সজ্জায় হাওয়া লাগে প্রানে।
বরিতে ঋতুরাজে, প্রয়াস চলে শত
উৎসবে মাতোয়ারা, মানবেরা যত।
ঘোড়া-দৌড় আর লাঠিখেলার ঐতিহ্যটাও আছে,
শরৎ এ তে উড়লে ঘুড়িও, বসন্তের রং আছে।
শুল্কপক্ষে গানের আসর, চৈতালী উৎসব-
সাধে কি আর ঋতুরাজে বন্দনা করে সব!
তুমি ফালগুন
সাইফুল
ফাগুন যে এসেছে ধরায়
বসন্তের আহবানে
ফুল কলিরা দুলছে দেখ
হাওয়ায় নেচে গেয়ে ।
ফাগুন যে এসেছে ধরায়
শীত গেল তাই চলে
কোকিল পাখি ডাকছে দেখ
কুহু কুহু বলে ।
ফাগুন যে এসেছে ধরায়
হলুদ গাধার ভীরে
রমণী রা আজ সাজছে দেখ
ফুল মালঞ্চ দিয়ে ।
বসন্তের ছন্দ কবিতা :
বসন্ত মাস ভালোবাসায় ভরপুর
তুমি আর আমি ঘুরবো সারা দুপুর
বসন্তের ফুল গুঁজে দেবো তোমার খোঁপায়
ভালোবাসার এটাই তো সেরা সময় ।
কত বসন্ত আসে
কত বসন্ত যায়
কত কোকিল পথ হারিয়ে
কণ্ঠ থেমে যায় অবলীলায়
শুধু আমি কোথাও যেতে পারলাম না
তোমাকে ছেড়ে কোথাও না ।
দেখো বসন্তের বাতাস বইছে আজি
এসো বসন্তের রঙে সাজি,
আজ ঘুরে ফিরে চাইছে না যে
আমার এ মনের মাঝি ।
হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্র সংগীতে যত আছে
হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস সুরে
হয়তো কুসুম কলি ঘিরে
আকাশে মেলিয়া আখি
তবুও ফুটেছে জবা, দুরন্ত শিমুল গাছে
তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্ত পথিক ।
Read more:>>> ফাল্গুন নিয়ে ক্যাপশন
গাছে গাছে নতুন পাতা..
ফুল ফুটছে বেস।
সব পাখির মন খারাপ..
শীতের হলো শেষ।
নতুন রুপে,নতুন সাজে..
নিভাবে মনের আগুন।
তাইতো আজ প্রকৃতি জুড়ে।।
বসন্তের ফাগুন।
বসন্তের রং ছাপিয়েছে একুল
আমের মুকুলে ভ্রমর খাচ্ছে দুল
সবাইকে জানায় পহেলা ফাল্গুনের শুভেচ্ছা
একটি কবিতা একটি পলাশ একটি কোকিল
তুমি আর আমি সব মিলিয়ে আজ বসন্ত
বসন্তের আগমনে কোকিলের সুর
গ্রীস্মের আগমনে রোদেলা দুপুর
বর্ষার আগমনে সাদা কাশফুল
এই দুপুরে তোমাকে দেখতে মন হল ব্যাকুল
হে বসন্ত ক্ষণিকের মায়ায় যাসনে তুই চলে
যদিও যাবি যাস তুই আমায় একটু বলে
যাবার সময় দিস আমায় তোর রংয়ের একটুখানি ছোঁয়া
দিবি কি আমায় ? আমি এই অল্প খানি চাই
সারাজীবন থাকবো আমি তোরই অপেক্ষায়
প্রকৃতি সেজেছে আজ অপরূপ সাজে
মনের মাঝে একটি সুর বাজে
শিমুলের বনে আজ লেগেছে আগুন
আজ কি তবে আবার এসেছে ফাগুন
আজ আমি বৃষ্টিতে ভিজেছি
আর মন খুলে কেঁদেছি
কেউ বুঝতেই পারিনি যে আমার
চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ছে বৃষ্টির জল
নাকি চোখের জল
তাইতো বৃষ্টি এলেই আমি
নিজেকে ভাসিয়ে দেই বৃষ্টির জলে